হায়দরাবাদ, 27 অক্টোবর: আইপিসি, সিআরপিসি এবং এভিডেন্স অ্যাক্টের প্রতিস্থাপনকারী তিনটি নতুন বিল শীঘ্রই সংসদে পাশ করা হবে ৷ শুক্রবার এ কথা জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে বলেও দাবি করেন শাহ ।
হায়দরাবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে আইপিএস পরীক্ষার্থীদের পাসিং আউট প্যারেডে বক্তৃতা দিতে গিয়ে শাহ বলেন, এখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থেকে জিরো টলারেন্স কৌশল এবং জিরো টলারেন্স অ্যাকশনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে । শাহের কথায়, ভারত ব্রিটিশ শাসনকালে প্রণীত আইন মেনে চলছে এবং নতুন আত্মবিশ্বাস ও নতুন আশা নিয়ে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করছে ।
অমিত শাহ বলেন, "ব্রিটিশ আমলে 1850 সালের দিকে প্রণীত তিনটি আইন যা আমাদের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার চালিকাশক্তি, সেই সিআরপিসি, আইপিসি এবং এভিডেন্স অ্যাক্টে সরকার আমূল পরিবর্তন করেছে এবং তিনটি নতুন আইন দেশের সংসদে উপস্থাপন করেছে ।"
শাহ জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সংসদীয় কমিটি এগুলি নিয়ে গবেষণা করছে এবং খুব শিগগিরই এ সব আইন পাশ করা হবে ।
তিনি আরও বলেন, এই আইনের ভিত্তিতে নতুন ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থা শুরু হবে । যদিও পুরনো আইনগুলির লক্ষ্য ছিল (ব্রিটিশ) প্রশাসনকে রক্ষা করা, নতুন আইনগুলির লক্ষ্য হল মানুষের অধিকার রক্ষা করা এবং সেই সমস্ত শক্তিকে পরাজিত করা যা জনগণের অধিকারকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে বাধা দেয় ।
আরও পড়ুন:উত্তর পূর্ব ভারতে মাওবাদ-সন্ত্রাসবাদ-বিদ্রোহ 65 শতাংশ কমেছে, দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, নতুন আইনের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ, সংগঠিত অপরাধের বিষয়ে নতুন ব্যাখ্যা এবং আন্তর্জাতিক চক্র বন্ধ করার জন্য অনেক নতুন বিধান আনা হয়েছে । যদিও সাহসী পুলিশ কর্মীদের প্রচেষ্টার কারণে সন্ত্রাসবাদ, বামপন্থী চরমপন্থা এবং মাও হিংসা নিয়ন্ত্রণে আনতে গত 10 বছরে যথেষ্ট পরিমাণে সাফল্য এসেছে, তবুও চ্যালেঞ্জগুলি রয়ে গিয়েছে ।
শাহ এ দিন বলেন, "সংগঠিত অপরাধ, সাইবার অপরাধ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধ-সহ বেশকিছু নতুন চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে ৷ কেন্দ্র যথাক্রমে আইপিসি, সিআরপিসি এবং এভিডেন্স অ্যাক্ট প্রতিস্থাপনের জন্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, 2023, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা, 2023 এবং ভারতীয় সাক্ষ্য বিল, 2023 প্রস্তাব করেছে ।