ETV Bharat / state

বিজেপি নেতাদের সিএএ লাগুর ঘোষণা আদতে 'কুমির ছানা' দেখানো, কটাক্ষ তৃণমূলের - কুমির ছানা

Political Turmoil Over CAA Implementation: খুব শীঘ্র দেশে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা ৷ তাঁদের সিএএ লাগুর এই ঘোষণাকে 'কুমির ছানা' বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল ৷ এ নিয়ে সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে শশী পাঁজা ৷

TMC
তৃণমূল
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : January 29, 2024 at 3:35 PM IST

Updated : January 29, 2024 at 3:56 PM IST

2 Min Read
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা

কলকাতা, 29 জানুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করা হবে ৷ এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ৷ পাশাপাশি, জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দাবি করেছেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে দেশে সিএএ লাগু হবে । বিজেপি নেতাদের সিএএ নিয়ে এই ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷

সোমবার সিএএ লাগু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,"সিএএ বা এনআরসি- ভোট এলেই ধর্মীয় বিভাজন করতে কেন্দ্রীয় সরকার এগুলিকে কুমির ছানার মতো করে ব্যবহার করে । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন আমরা এসব হতে দেব না । তাঁর মতে, যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁরা সবাই দেশের নাগরিক । যাঁরা ভোট দেন, যাঁরা সরকারকে নির্বাচিত করেন তাঁদের আলাদা করে নাগরিকত্বের কী প্রয়োজন? তারা সকলেই নাগরিক ।" একইসঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, "অনুপ্রবেশের কথা বললেও বিজেপি দায় অস্বীকার করতে পারে না। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব তো বিএসএফের । সেই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের । তাহলে যাঁরা দেশে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে কেন ধর্মের নামে ভেদাভেদ করতে চাইছেন।"

শুধু কুণাল ঘোষ নন, এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও । তিনি বলেন, "বারবার এক কথা বলার প্রয়োজন নেই ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন বাংলায় সিএএ লাগু হবে না । কারণ, বিজেপি বাংলায় যাঁদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছে তাঁরা ইতিমধ্যেই নাগরিক ৷ তাঁদের নতুন করে নাগরিকত্বের প্রয়োজন নেই । তাঁরা যেমন রেশন পাচ্ছেন তেমন ভোটও দিচ্ছেন ৷ বিভিন্ন সরকারের প্রকল্পের সুবিধাও নিচ্ছেন। সুখে আছেন, শান্তিতে আছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন । প্রত্যেকবার নির্বাচন এলে সিএএর কথা বলা হয় । মূলত এসব করে রাজ্যে একটা অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি । ভারতীয় জনতা পার্টি বুঝে নিক বাংলায় আর যাই হোক সিএএ নিয়ে নতুন করে ভোট পাওয়া যাবে না।"

আরও পড়ুন:

  1. 'আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়ে লাগু হবে সিএএ', দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের
  2. লোকসভা ভোটের আগে কি মিলবে নাগরিকত্ব! রাজ্য রাজনীতিতে আবার জোরদার সিএএ তরজা
  3. সিএএ লাগু হচ্ছেই, গানে গানে মমতাকে আক্রমণ বিজেপি বিধায়কের

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা

কলকাতা, 29 জানুয়ারি: লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ বা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করা হবে ৷ এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক ৷ পাশাপাশি, জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও দাবি করেছেন, আগামী সাতদিনের মধ্যে দেশে সিএএ লাগু হবে । বিজেপি নেতাদের সিএএ নিয়ে এই ঘোষণার কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷

সোমবার সিএএ লাগু নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,"সিএএ বা এনআরসি- ভোট এলেই ধর্মীয় বিভাজন করতে কেন্দ্রীয় সরকার এগুলিকে কুমির ছানার মতো করে ব্যবহার করে । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন আমরা এসব হতে দেব না । তাঁর মতে, যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁরা সবাই দেশের নাগরিক । যাঁরা ভোট দেন, যাঁরা সরকারকে নির্বাচিত করেন তাঁদের আলাদা করে নাগরিকত্বের কী প্রয়োজন? তারা সকলেই নাগরিক ।" একইসঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, "অনুপ্রবেশের কথা বললেও বিজেপি দায় অস্বীকার করতে পারে না। সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোখার দায়িত্ব তো বিএসএফের । সেই দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের । তাহলে যাঁরা দেশে রয়েছেন তাঁদের মধ্যে কেন ধর্মের নামে ভেদাভেদ করতে চাইছেন।"

শুধু কুণাল ঘোষ নন, এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও । তিনি বলেন, "বারবার এক কথা বলার প্রয়োজন নেই ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন বাংলায় সিএএ লাগু হবে না । কারণ, বিজেপি বাংলায় যাঁদের নাগরিকত্ব দিতে চাইছে তাঁরা ইতিমধ্যেই নাগরিক ৷ তাঁদের নতুন করে নাগরিকত্বের প্রয়োজন নেই । তাঁরা যেমন রেশন পাচ্ছেন তেমন ভোটও দিচ্ছেন ৷ বিভিন্ন সরকারের প্রকল্পের সুবিধাও নিচ্ছেন। সুখে আছেন, শান্তিতে আছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন । প্রত্যেকবার নির্বাচন এলে সিএএর কথা বলা হয় । মূলত এসব করে রাজ্যে একটা অরাজকতা তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি । ভারতীয় জনতা পার্টি বুঝে নিক বাংলায় আর যাই হোক সিএএ নিয়ে নতুন করে ভোট পাওয়া যাবে না।"

আরও পড়ুন:

  1. 'আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশজুড়ে লাগু হবে সিএএ', দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের
  2. লোকসভা ভোটের আগে কি মিলবে নাগরিকত্ব! রাজ্য রাজনীতিতে আবার জোরদার সিএএ তরজা
  3. সিএএ লাগু হচ্ছেই, গানে গানে মমতাকে আক্রমণ বিজেপি বিধায়কের
Last Updated : January 29, 2024 at 3:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.