ETV Bharat / state

পুলিশের জালে মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড গৃহশিক্ষক

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 8, 2024, 10:37 AM IST

Madhyamik Examination 2024: মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড গ্রেফতার ৷ ধৃত গৃহশিক্ষকের 7 দিনের পুলিশ হেফাজত ৷ চক্রের শিকড় খুঁজছে পুলিশ ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি: অবশেষে গ্রেফতার মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড ৷ মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে মালদা মানিকচক থানার পুলিশ ৷ ধৃত ব্যক্তি পেশায় গৃহশিক্ষক ৷ ধৃতকে 7 দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের পর প্রতিবাদে বুধবার পথ অবরোধ করে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা ৷ পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয় ৷

ধৃতের নাম জীবন দাস ৷ বাড়ি মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামে ৷ সেখানেই ওই গৃহশিক্ষকের একটি টিউটেরিয়াল হোম রয়েছে ৷ এছাড়াও তিনি বাড়িতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ান ৷ 'এমপি 2024 কোশ্চেন আউট' নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি তৈরি করা হয়েছিল ৷ তার অ্যাডমিন হলেন এই জীবন দাস ৷ ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে 156 জন সদস্য ছিল ৷ তাদের বেশিরভাগই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷

মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই মালদায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে ৷ পরীক্ষা শুরুর দিনই মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন 7 পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায় ৷ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল সকলের পরীক্ষা ৷ এই 7 জনই গোপালপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া ৷ প্রশ্নপত্রের বারকোড লাল কালি দিয়ে মুছে ফেলার অভিযোগে সোমবার ওই স্কুলের আরও এক ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ ৷

এবিষয়ে তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় পর্ষদ ৷ তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে যেসব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে, তার সিংহভাগই গোপালপুরের ৷ ওই স্কুলের 8 জনের বাড়িই বালুপুরে ৷ পুলিশি তদন্তে প্রশ্ন ফাঁসের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন হিসাবে জীবন দাসের নামও উঠে আসে ৷ মঙ্গলবার রাতে বালুপুরের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ ৷

ঘটনা প্রসঙ্গেই মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথি হালদার বলেন, "মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তে নেমে বালুপুর গ্রামের বাসিন্দা জীবন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই ব্যক্তি প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম পাণ্ডা ৷ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছিল ৷ বিচারক ধৃতের 7 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ আমরা ওই ব্যক্তিকে জেরা করে এই চক্রের শিকড়ে পৌঁছোতে চাই৷” এখনও পর্যন্ত এই জেলার মোট 23 জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. মোবাইল ফোন দেখে লিখতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
  2. মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকলে বাঁধা, জলপাইগুড়িতে ক্লাসরুমে ভাঙচুর
  3. নামে অর্জুন, মনের জোরেও; সাপের ছোবল খেয়ে হাসপাতালে বসে দিল মাধ্যমিক

মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি: অবশেষে গ্রেফতার মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড ৷ মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে মালদা মানিকচক থানার পুলিশ ৷ ধৃত ব্যক্তি পেশায় গৃহশিক্ষক ৷ ধৃতকে 7 দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ ওই শিক্ষককে গ্রেফতারের পর প্রতিবাদে বুধবার পথ অবরোধ করে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা ৷ পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয় ৷

ধৃতের নাম জীবন দাস ৷ বাড়ি মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামে ৷ সেখানেই ওই গৃহশিক্ষকের একটি টিউটেরিয়াল হোম রয়েছে ৷ এছাড়াও তিনি বাড়িতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ান ৷ 'এমপি 2024 কোশ্চেন আউট' নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি তৈরি করা হয়েছিল ৷ তার অ্যাডমিন হলেন এই জীবন দাস ৷ ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে 156 জন সদস্য ছিল ৷ তাদের বেশিরভাগই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ৷

মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন থেকেই মালদায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে ৷ পরীক্ষা শুরুর দিনই মানিকচক ব্লকের এনায়েতপুর হাইস্কুলে পরীক্ষা চলাকালীন 7 পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া যায় ৷ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল সকলের পরীক্ষা ৷ এই 7 জনই গোপালপুর হাইস্কুলের পড়ুয়া ৷ প্রশ্নপত্রের বারকোড লাল কালি দিয়ে মুছে ফেলার অভিযোগে সোমবার ওই স্কুলের আরও এক ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল করে পর্ষদ ৷

এবিষয়ে তদন্তের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয় পর্ষদ ৷ তদন্তে নেমে পুলিশের নজরে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে যেসব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে, তার সিংহভাগই গোপালপুরের ৷ ওই স্কুলের 8 জনের বাড়িই বালুপুরে ৷ পুলিশি তদন্তে প্রশ্ন ফাঁসের জন্য তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন হিসাবে জীবন দাসের নামও উঠে আসে ৷ মঙ্গলবার রাতে বালুপুরের বাড়ি থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে মানিকচক থানার পুলিশ ৷

ঘটনা প্রসঙ্গেই মানিকচক থানার আইসি পার্থসারথি হালদার বলেন, "মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের তদন্তে নেমে বালুপুর গ্রামের বাসিন্দা জীবন দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এই ব্যক্তি প্রশ্নফাঁস চক্রের অন্যতম পাণ্ডা ৷ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে ধৃতকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছিল ৷ বিচারক ধৃতের 7 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ আমরা ওই ব্যক্তিকে জেরা করে এই চক্রের শিকড়ে পৌঁছোতে চাই৷” এখনও পর্যন্ত এই জেলার মোট 23 জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে ৷

আরও পড়ুন:

  1. মোবাইল ফোন দেখে লিখতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
  2. মাধ্যমিক পরীক্ষায় নকলে বাঁধা, জলপাইগুড়িতে ক্লাসরুমে ভাঙচুর
  3. নামে অর্জুন, মনের জোরেও; সাপের ছোবল খেয়ে হাসপাতালে বসে দিল মাধ্যমিক
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.