ETV Bharat / state

বর্তমান সমাজ আমাদের বাসযোগ্য নয়, বাংলায় এসে জানালেন নোবেলজয়ী সত্যার্থী

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 9, 2024, 3:30 PM IST

Updated : Feb 9, 2024, 5:27 PM IST

Kailash Satyarthi: সমাজকে বাসযোগ্য করে তুলতে গেলে একে অপরের পাশে দাঁড়াতে হবে ৷ বুঝতে হবে অন্যের সমস্যা ৷ বর্তমান যুবসমাজকে অনুপ্রাণিত করতে বারাসতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বার্তা নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর ৷

Etv Bharat
নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছেন, "তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল/ এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি ৷" কিন্তু আমাদের চারপাশে এতো ঘৃণা ও বর্বরতার দেখা দিয়েছে, যে কারণে বর্তমান সমাজ বাসের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন নোবেলজয়ী ভারতীয় কৈলাশ সত্যার্থী ৷

শুক্রবার বারাসতের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী সমাজসেবী। সেখানেই সকল পড়ুয়াদের জীবনে আরও উন্নতি এবং সকল মানুষকে সমান সম্মান করার কথা বলেন তিনি। তখনই সকলের সামনে এই সমস্যা উঠে আসে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ওই মিছিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের 100 জনেরও বেশি সাংসদ যোগ দিয়েছিলেন। দিল্লিতে মিছিল শেষ হলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতা একসঙ্গে তাঁর কথা শুনতে রাজি হন। তার ঠিক এক বছরের মধ্যে সংবিধানে পরিবর্তন আসে ৷ এরপর কৈলাশ সত্যার্থী পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, "বর্তমানে আমাদের চারপাশে যা অবস্থা সেই পরিবেশ একেবারেই বাসযোগ্য নয়। আমাদের চারপাশে বর্তমানে ঘৃণা, বর্বরতা দেখা যাচ্ছে। সেই পরিবেশকে ফের বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের।"

ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের লড়াইয়ের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমি ভেবেছিলাম, দেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তবে শিক্ষাকে সর্বজনীন করতে হবে। সেই কারণে আমি সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবি। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ হয়ে কাজটা এত সহজ ছিল না। প্রচুর সমস্যার মুখে পড়েও আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা করি। বিরোধী দলের সোনিয়া গান্ধি এবং মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করি। তাতেও কোনও উপায় না বেরোনোয় 2001 সালে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর হয়ে দিল্লি পর্যন্ত মিছিল করেছিলাম আমরা।"

তিনি আরও বলেন, "অন্যের সমস্যা বুঝতে হবে। সমস্যা সমাধান করতে হবে। তোমাদের সকলের মধ্যেই নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।" এই কথা বলার সময় নোবেলজয়ীর মুখে উঠে আসে মাদার টেরেসা, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দের কথা। তিনি জানান, বিদেশ থেকে এখানে এখানকার সমাজের জন্য কাজ করে নোবেল পেয়েছিলেন মাদার টেরেসা। ভারতের হয়ে প্রথম নোবেল পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দেশকে স্বাধীন করার নেপথ্যে বিরাট বড় অবদান ছিল সুভাষচন্দ্র বসুরও।

আরও পড়ুন:

1. অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর গর্ভপাতে কেন তড়িঘড়ি ? হাইকোর্টে ব্যাখ্যা দিলেন চিকিৎসকরা

2. অশান্ত সন্দেশখালি, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার তিনটি পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের

3. বোনকে নিয়ে ইডি দফতরে রথীন্দ্রকুমার দে, 100 দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছেন, "তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল/ এ বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি ৷" কিন্তু আমাদের চারপাশে এতো ঘৃণা ও বর্বরতার দেখা দিয়েছে, যে কারণে বর্তমান সমাজ বাসের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন নোবেলজয়ী ভারতীয় কৈলাশ সত্যার্থী ৷

শুক্রবার বারাসতের এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবেলজয়ী সমাজসেবী। সেখানেই সকল পড়ুয়াদের জীবনে আরও উন্নতি এবং সকল মানুষকে সমান সম্মান করার কথা বলেন তিনি। তখনই সকলের সামনে এই সমস্যা উঠে আসে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ওই মিছিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের 100 জনেরও বেশি সাংসদ যোগ দিয়েছিলেন। দিল্লিতে মিছিল শেষ হলে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার এবং বিরোধী দলনেতা একসঙ্গে তাঁর কথা শুনতে রাজি হন। তার ঠিক এক বছরের মধ্যে সংবিধানে পরিবর্তন আসে ৷ এরপর কৈলাশ সত্যার্থী পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেন, "বর্তমানে আমাদের চারপাশে যা অবস্থা সেই পরিবেশ একেবারেই বাসযোগ্য নয়। আমাদের চারপাশে বর্তমানে ঘৃণা, বর্বরতা দেখা যাচ্ছে। সেই পরিবেশকে ফের বাসযোগ্য করে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের।"

ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নিজের লড়াইয়ের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "আমি ভেবেছিলাম, দেশকে যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তবে শিক্ষাকে সর্বজনীন করতে হবে। সেই কারণে আমি সংবিধান সংশোধনের কথা ভাবি। কিন্তু একজন সাধারণ মানুষ হয়ে কাজটা এত সহজ ছিল না। প্রচুর সমস্যার মুখে পড়েও আমি এবং আমার কয়েকজন বন্ধু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে দেখা করি। বিরোধী দলের সোনিয়া গান্ধি এবং মনমোহন সিংয়ের সঙ্গেও দেখা করি। তাতেও কোনও উপায় না বেরোনোয় 2001 সালে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর হয়ে দিল্লি পর্যন্ত মিছিল করেছিলাম আমরা।"

তিনি আরও বলেন, "অন্যের সমস্যা বুঝতে হবে। সমস্যা সমাধান করতে হবে। তোমাদের সকলের মধ্যেই নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।" এই কথা বলার সময় নোবেলজয়ীর মুখে উঠে আসে মাদার টেরেসা, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে স্বামী বিবেকানন্দের কথা। তিনি জানান, বিদেশ থেকে এখানে এখানকার সমাজের জন্য কাজ করে নোবেল পেয়েছিলেন মাদার টেরেসা। ভারতের হয়ে প্রথম নোবেল পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দেশকে স্বাধীন করার নেপথ্যে বিরাট বড় অবদান ছিল সুভাষচন্দ্র বসুরও।

আরও পড়ুন:

1. অন্তঃসত্ত্বা যুবতীর গর্ভপাতে কেন তড়িঘড়ি ? হাইকোর্টে ব্যাখ্যা দিলেন চিকিৎসকরা

2. অশান্ত সন্দেশখালি, শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার তিনটি পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীদের

3. বোনকে নিয়ে ইডি দফতরে রথীন্দ্রকুমার দে, 100 দিনের কাজে দুর্নীতির তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদ

Last Updated : Feb 9, 2024, 5:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.