চন্দননগর, 6 ফেব্রুয়ারি: একশো দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগে হুগলির চন্দননগরে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযান ৷ সেখানকার হরিদ্রাডাঙায় সন্দীপ সাধুখাঁ নামে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়কের বাড়িতে মঙ্গলবার বেলায় হানা দেন ইডির তদন্তকারীরা ৷ সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ৷ যদিও সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না সন্দীপ ৷ বাড়িতে তাঁর মা ও স্ত্রী ছিলেন ৷ তাঁরা অবশ্য এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারেননি ৷
সন্দীপ এখন হুগলির খানাকুলের জগৎপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক হিসেবে কাজ করেন ৷ এর আগে তিনি ছিলেন ধনিয়াখালির বেলমুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৷ ওই পঞ্চায়েতেই একশো দিনের কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নেমে এ দিন বেলা 12টা নাগাদ সন্দীপের বাড়িতে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা ৷
![Enforcement Directorate Raid](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/06-02-2024/wb-hgl-edraidshouseofpanchayatns-7203418_06022024123714_0602f_1707203234_908.jpg)
যদিও এ দিন সকালে প্রথমে ভুল ঠিকানায় চলে গিয়েছিল ইডির তদন্তকারী দল ৷ হুগলির চুঁচুড়ার ময়নাডাঙা এলাকায় চলে যান তদন্তকারীরা ৷ সেখানেও একজন সন্দীপ সাধুখাঁ থাকেন ৷ তবে তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ৷ নাম বিভ্রাটেই সেখানে চলে যান তদন্তকারীরা ৷ পরে ভুল বুঝতে পেরে তাঁরা হাজির হন চন্দননগরের হরিদ্রাডাঙায় ৷
![Enforcement Directorate Raid](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/06-02-2024/wb-hgl-edraidshouseofpanchayatns-7203418_06022024123714_0602f_1707203234_146.jpg)
ইডি সূত্রে খবর, হুগলির ধনিয়াখালিতে একশো দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ৷ সেই নিয়েই অভিযোগ দায়ের হয় সন্দীপের বিরুদ্ধে ৷ সেই সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতেই মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছান তদন্তকারীরা ৷ সেই সময় সন্দীপ বাড়িতে না থাকলেও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় তদন্তকারীদের তরফে ৷
![Enforcement Directorate Raid](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/06-02-2024/wb-hgl-edraidshouseofpanchayatns-7203418_06022024132133_0602f_1707205893_1042.jpg)
এই নিয়ে সন্দীপের স্ত্রী মৌসুমী সাধুখাঁ বলেন, ‘‘আমার স্বামী আগে ধনিয়াখালির বেলমুড়ি পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক পদে চাকরি করতেন । বর্তমানে খানাকুলের একটি পঞ্চায়েতে আছেন । প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও তিনি কাজে বেরিয়ে যান । বাড়িতে ইডি অফিসাররা এসে জিজ্ঞেস করেন আমার স্বামীর কথা, তখন আমি তাদের ফোন নম্বর দিই ৷ তাঁরা ফোনে কথা বলেন । কী দুর্নীতি, কেন তদন্ত, এসব বিষয় আমার অজানা ।’’
![Enforcement Directorate Raid](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/06-02-2024/wb-hgl-edraidshouseofpanchayatns-7203418_06022024132133_0602f_1707205893_84.jpg)
বাড়িতে ছিলেন সন্দীপের মা মলিনা সাধুখাঁও ৷ তিনি বলেন, ‘‘সন্দীপের বাবা অমল সাধুখাঁ 2008 সালে প্রয়াত হন ৷ তিনি রেলে চাকরি করতেন ৷ ছেলে বাবার মৃত্যুর আগেই পঞ্চায়েতে চাকরি পায় । ইডি কেন এল, কিসের তদন্ত, সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না ।’’
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে একশো দিনের কাজের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে নেমেছে ৷ এই ঘটনায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একাধিক এফআইআর হয়েছে ৷ সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালায় ইডি ৷
আরও পড়ুন: