কলকাতা, 23 জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করার ষড়যন্ত্র করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ মঙ্গলবার এই অভিযোগ শোনা গেল তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতার মুখে৷ অশান্তিতে উস্কানি দিয়ে বিরোধী দলনেতার পদের মর্যাদাহানি করছেন শুভেন্দু, এমনও অভিযোগ করছেন শাসক দলের নেতারা ৷
আসলে মঙ্গলবার সংহতি যাত্রা থেকে ডিএ আন্দোলন, একাধিক ইস্যুতে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ দাগেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সংহতি মিছিল করেন তাকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেন বিরোধী দলনেতা ৷ হিংসা ছড়াতেই ওই মিছিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ৷ পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি দেন ৷ ডিএ আন্দোলনকারীদের কিছু হলে রাজ্যে আগুন জ্বলবে বলেও হুংকার দেন ৷
এর পরই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ শাসক দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের আশংকা, বাংলাকে অশান্ত করতে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে । শুভেন্দু আগেও একাধিকবার বাংলার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করেছেন । আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও তাতে তিনজনের প্রাণহানি থেকে শুরু করে সম্প্রতি আমজনতাকে প্ররোচিত করতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত ভুয়ো তথ্য পেশ করেছেন ৷ শুভেন্দু বারবার এমনটা করেছেন ।’’
কুণালের দাবি, ‘‘ডিএ আন্দোলনকারীরা সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে একটা আন্দোলন চালাচ্ছেন আসলে রাজ্যে বিরোধী নেতাদের জন্য একটা মঞ্চ খুলে রাখার জন্য । তারই সুযোগ নিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীর মতো নেতারা ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে বাংলার হকের বিপুল টাকা আটকে রেখেছে, তা নিয়ে এই আন্দোলনকারীরা কিছুই বলছেন না । অথচ, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের সীমিত সাধ্যের মধ্যেই তাঁদের দাবি পূরণের প্রয়াস করেছেন ।’’
এই নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও । তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের প্ররোচনামূলক কথাবার্তা একজন বিরোধী দলনেতার মুখে মানায় না । আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে, যা মনে চায় তাই বলছেন । ভাবতে হবে এই কথাগুলি কি আইনসিদ্ধ ! বিরোধী দলনেতার কাছ থেকে এর থেকে বেশি আর কি বা আশা করা যায় । বাংলায় অশান্তি ও আগুন জ্বালানোর পরিকল্পনা তৈরি করছেন ৷ সম্প্রীতি বা সংহতি শব্দটা বোধহয় পছন্দের নয় । সেই কারণেই আগুনের কথা বলছেন ।’’
এই নিয়ে রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী চান বাংলা জ্বলুক । বাংলার একজন নেতা হয়ে বাংলায় অশান্তির পরিকল্পনা করছেন তিনি । এই শুভেন্দু অধিকারী বাংলার প্রাপ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য দিল্লি গিয়ে তদ্বির করেন । কারণ, বাংলা শান্তিপূর্ণ থাকলে এরা রাজনীতিতে হালে পানি পাবে না । সেই কারণে পরিকল্পনা করে বাংলায় অশান্তির চেষ্টা করছেন শুভেন্দু ।’’
আরও পড়ুন: