ETV Bharat / politics

কাজলের ডানা ছেঁটে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চন্দ্রনাথকে বেশি বিধানসভার দায়িত্ব মমতার

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 23, 2024, 8:31 PM IST

Updated : Jan 24, 2024, 6:38 AM IST

Trinamool Congress: বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা কাজল শেখের ডানা ছাঁটল দল ৷ তাঁকে সরানো হল বীরভূমের কোর কমিটি থেকে ৷ লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি মাত্র দু’টি লোকসভা আসনের সাংগঠনিক দায়িত্ব পেলেন ৷ মঙ্গলবার কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হওয়া বৈঠকেই এই নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত হয় ৷

Trinamool Congress
Trinamool Congress

বোলপুর, 23 জানুয়ারি: কাজল শেখের ডানা ছেঁটে সবচেয়ে বেশি বিধানসভার দায়িত্ব মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফলে কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের উপরই যে আস্থা অটুট রয়েছে মমতার, তা এর থেকেই প্রমাণ মিলেছে ৷ কারণ, বীরভূমের রাজনীতিতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অনুব্রতর কাছের লোক হিসেবে বরাবর পরিচিত ৷ আর কাজলকে অনুব্রত বিরোধী হিসেবে চেনে জেলার রাজনৈতিক মহল ৷

মঙ্গলবার কালীঘাটের বাড়িতে বীরভূমের সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে তিনি বীরভূমের কয়েকজন নেতাকে জেলার দু’টি লোকসভা আসনের মধ্য়ে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি রয়েছে, তার দায়িত্ব ভাগ করে দেন ৷ সবচেয়ে বেশি বিধানসভার দায়িত্ব পেয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা ৷ তাঁকে বোলপুর, নলহাটি, মুরারই ও ময়ূরেশ্বর - চারটে বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ আর ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ পেয়েছেন মাত্র দু’টি বিধানসভার (নানুর ও কেতুগ্রাম) দায়িত্ব ৷

গরুপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল । অনুব্রত জেলে চলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন দেখভালের জন্য 9 জনের কোর কমিটি গড়েছিলেন মমতা ৷ সেই কোর কমিটিতে জায়গা হয়েছিল কাজল শেখের ৷ পরে তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও হন ৷ অনেকে মনে করেছিলেন, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন বলেই হয়তো কাজল শেখের দায়িত্ব বাড়ছে ৷

কিন্তু মঙ্গলবার কাজলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বীরভূম জেলার কোর কমিটি থেকে ৷ নতুন করে পাঁচ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ সেখানে চন্দ্রনাথ সিনহা ছাড়াও রয়েছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানা, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ । এই চারজনও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ৷

এই চারজনকে বিধানসভা ভিত্তিক দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ৷ রামপুরহাট ও হাসন বিধানসভার দায়িত্বে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সিউড়ি ও দুবরাজপুর বিধানসভা সাংগঠনিক দায়িত্বে বিকাশ রায়চৌধুরী, সাঁইথিয়া ও লাভপুর বিধানসভা দেখবেন অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানা, দুবরাজপুর বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্বে সুদীপ্ত ঘোষ ।

ফলে এটা স্পষ্ট যে অনুব্রতর উপর আস্থা রাখার পাশাপাশি তাঁর অনুগামীদের গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ পাশাপাশি গুরুত্ব কমানো হচ্ছে জেলায় অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিতদের ৷ যা কাজল শেখের ডানাছাঁটা থেকেই স্পষ্ট ৷

এদিকে এই দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, "আমাদের নেত্রী প্রত্যেককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন । সেই মতো আমরা কাজ করব ৷ লোকসভায় দু’টি আসনই জিততে হবে ৷ তাই সকলে মিলেই কাজ করব ৷ যাঁকে যা দায়িত্ব দিয়েছেন নেত্রী, সেই দায়িত্ব পালন করার অঙ্গীকার করেছি আমরা ।"

আরও পড়ুন:

  1. জেলবন্দি কেষ্টর উপর আস্থা অটুট মমতার, ভোটে জিততে ভরসা অনুব্রত মডেলই
  2. 'কাজল আগে সম্মানীয় পদে ছিল না', সভাধিপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বললেন শতাব্দী
  3. জেল থেকেই ফোনে দল পরিচালনা করছেন অনুব্রত, বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতার

বোলপুর, 23 জানুয়ারি: কাজল শেখের ডানা ছেঁটে সবচেয়ে বেশি বিধানসভার দায়িত্ব মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফলে কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের উপরই যে আস্থা অটুট রয়েছে মমতার, তা এর থেকেই প্রমাণ মিলেছে ৷ কারণ, বীরভূমের রাজনীতিতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অনুব্রতর কাছের লোক হিসেবে বরাবর পরিচিত ৷ আর কাজলকে অনুব্রত বিরোধী হিসেবে চেনে জেলার রাজনৈতিক মহল ৷

মঙ্গলবার কালীঘাটের বাড়িতে বীরভূমের সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে তিনি বীরভূমের কয়েকজন নেতাকে জেলার দু’টি লোকসভা আসনের মধ্য়ে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি রয়েছে, তার দায়িত্ব ভাগ করে দেন ৷ সবচেয়ে বেশি বিধানসভার দায়িত্ব পেয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা ৷ তাঁকে বোলপুর, নলহাটি, মুরারই ও ময়ূরেশ্বর - চারটে বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ আর ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ পেয়েছেন মাত্র দু’টি বিধানসভার (নানুর ও কেতুগ্রাম) দায়িত্ব ৷

গরুপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল । অনুব্রত জেলে চলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন দেখভালের জন্য 9 জনের কোর কমিটি গড়েছিলেন মমতা ৷ সেই কোর কমিটিতে জায়গা হয়েছিল কাজল শেখের ৷ পরে তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও হন ৷ অনেকে মনে করেছিলেন, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন বলেই হয়তো কাজল শেখের দায়িত্ব বাড়ছে ৷

কিন্তু মঙ্গলবার কাজলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বীরভূম জেলার কোর কমিটি থেকে ৷ নতুন করে পাঁচ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ সেখানে চন্দ্রনাথ সিনহা ছাড়াও রয়েছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানা, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ । এই চারজনও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ৷

এই চারজনকে বিধানসভা ভিত্তিক দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে ৷ রামপুরহাট ও হাসন বিধানসভার দায়িত্বে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, সিউড়ি ও দুবরাজপুর বিধানসভা সাংগঠনিক দায়িত্বে বিকাশ রায়চৌধুরী, সাঁইথিয়া ও লাভপুর বিধানসভা দেখবেন অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানা, দুবরাজপুর বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্বে সুদীপ্ত ঘোষ ।

ফলে এটা স্পষ্ট যে অনুব্রতর উপর আস্থা রাখার পাশাপাশি তাঁর অনুগামীদের গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ পাশাপাশি গুরুত্ব কমানো হচ্ছে জেলায় অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিতদের ৷ যা কাজল শেখের ডানাছাঁটা থেকেই স্পষ্ট ৷

এদিকে এই দায়িত্ব ভাগাভাগি নিয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, "আমাদের নেত্রী প্রত্যেককে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন । সেই মতো আমরা কাজ করব ৷ লোকসভায় দু’টি আসনই জিততে হবে ৷ তাই সকলে মিলেই কাজ করব ৷ যাঁকে যা দায়িত্ব দিয়েছেন নেত্রী, সেই দায়িত্ব পালন করার অঙ্গীকার করেছি আমরা ।"

আরও পড়ুন:

  1. জেলবন্দি কেষ্টর উপর আস্থা অটুট মমতার, ভোটে জিততে ভরসা অনুব্রত মডেলই
  2. 'কাজল আগে সম্মানীয় পদে ছিল না', সভাধিপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বললেন শতাব্দী
  3. জেল থেকেই ফোনে দল পরিচালনা করছেন অনুব্রত, বিস্ফোরক অভিযোগ তৃণমূল নেতার
Last Updated : Jan 24, 2024, 6:38 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.