ETV Bharat / international

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের প্রধান শিকার নারী ও শিশুরা, প্রাণ গিয়েছে 16 হাজারের; দাবি রাষ্ট্রসংঘের

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 20, 2024, 8:26 PM IST

অক্টোবর মাস থেকেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা। একটি তথ্য বলছে, নিহত অসামরিক নাগরিকদের 67% পুরুষ এবং কমপক্ষে 14% মহিলা ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

রাষ্ট্রসংঘ, 20 জানুয়ারি: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মূল শিকার নারী আর শিশুরাই ৷ এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় 16 হাজার। শুধু তাই নয়, ইজরায়েল ও হামাসের আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি ঘন্টায় দু'জন মহিলার মৃত্যু হচ্ছে ৷ রাষ্ট্রসংঘের লিঙ্গ সমতা প্রচারকারী সংস্থা শুক্রবার এমনই তথ্য সামনে এনেছে ৷ 100 দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের ফলে, কমপক্ষে তিন হাজার মহিলা বিধবা হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ অন্যদিকে কমপক্ষে 10 হাজার শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থাটি যুদ্ধের কারণে হওয়া লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, মহিলা এবং শিশুরা কীভাবে এই যুদ্ধের কারণে বারবার ঘরছাড়া হয়েছেন সেটাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের 2.3 মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে, 1.9 মিলিয়ন মানুষই বাস্তুচ্যুত ৷ প্রায় এক মিলিয়নের কাছাকাছি মহিলা এবং মেয়ে আশ্রয় এবং নিরাপত্তার সন্ধান করছে।

ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাউস বলেন, "7 অক্টোবর হামাসের হামলা তার আগের 15 বছর ধরে চলা লড়াইয়ের একটি নিষ্ঠুর পরিবর্তন ৷" এর আগে, তিনি বলেছিলেন, গাজায় নিহত সমস্ত অসামরিক নাগরিকদের 67% ছিল পুরুষ এবং কমপক্ষে 14% মহিলা ছিল ৷ তিনি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানের কথাই ফের একবার বলেছেন ৷ 7 অক্টোবর ইজরায়েলে বন্দী হওয়া সমস্ত পনবন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ৷

বাহাউস রিপোর্টের সঙ্গে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে গাজায় থাকা বিভিন্ন বয়সি মহিলাদের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যতই সরব হই না কেন, আগামিদিনে সীমাহীন মানবিক সহায়তা এবং ধ্বংস ও হত্যার সমাপ্তি ছাড়াই আরও বেশি করে শোক পালন করতে হবে। এই নারীরা নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা এবং আশ্রয় থেকে বঞ্চিত। আসন্ন অনাহার এবং দুর্ভিক্ষেরও মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের। তাঁরা ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত ৷”

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সংঘর্ষে প্রায় 25 হাজার নাগরিকের নিহত হয়েছে ৷ যাদের 70% নারী ও শিশু। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, গাজার অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ - জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ - অনাহারে রয়েছেন। ইজরায়েলে, 7 অক্টোবর হামাসের আক্রমণের সময় প্রায় 1,200 জন নিহত হয়েছিল যা যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল এবং প্রায় 250 জন জঙ্গিদের হাতে জিম্মি হয়েছিল। গাজায় এখনও 100 জনের বেশি জিম্মি বন্দী রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রসংঘ, 20 জানুয়ারি: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের মূল শিকার নারী আর শিশুরাই ৷ এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা প্রায় 16 হাজার। শুধু তাই নয়, ইজরায়েল ও হামাসের আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি ঘন্টায় দু'জন মহিলার মৃত্যু হচ্ছে ৷ রাষ্ট্রসংঘের লিঙ্গ সমতা প্রচারকারী সংস্থা শুক্রবার এমনই তথ্য সামনে এনেছে ৷ 100 দিনেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষের ফলে, কমপক্ষে তিন হাজার মহিলা বিধবা হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ অন্যদিকে কমপক্ষে 10 হাজার শিশু তাদের বাবাকে হারিয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থাটি যুদ্ধের কারণে হওয়া লিঙ্গ বৈষম্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, মহিলা এবং শিশুরা কীভাবে এই যুদ্ধের কারণে বারবার ঘরছাড়া হয়েছেন সেটাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই অঞ্চলের 2.3 মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে, 1.9 মিলিয়ন মানুষই বাস্তুচ্যুত ৷ প্রায় এক মিলিয়নের কাছাকাছি মহিলা এবং মেয়ে আশ্রয় এবং নিরাপত্তার সন্ধান করছে।

ইউএন উইমেনের নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহাউস বলেন, "7 অক্টোবর হামাসের হামলা তার আগের 15 বছর ধরে চলা লড়াইয়ের একটি নিষ্ঠুর পরিবর্তন ৷" এর আগে, তিনি বলেছিলেন, গাজায় নিহত সমস্ত অসামরিক নাগরিকদের 67% ছিল পুরুষ এবং কমপক্ষে 14% মহিলা ছিল ৷ তিনি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বানের কথাই ফের একবার বলেছেন ৷ 7 অক্টোবর ইজরায়েলে বন্দী হওয়া সমস্ত পনবন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন ৷

বাহাউস রিপোর্টের সঙ্গে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে গাজায় থাকা বিভিন্ন বয়সি মহিলাদের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যতই সরব হই না কেন, আগামিদিনে সীমাহীন মানবিক সহায়তা এবং ধ্বংস ও হত্যার সমাপ্তি ছাড়াই আরও বেশি করে শোক পালন করতে হবে। এই নারীরা নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা এবং আশ্রয় থেকে বঞ্চিত। আসন্ন অনাহার এবং দুর্ভিক্ষেরও মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের। তাঁরা ন্যায়বিচার থেকেও বঞ্চিত ৷”

হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, সংঘর্ষে প্রায় 25 হাজার নাগরিকের নিহত হয়েছে ৷ যাদের 70% নারী ও শিশু। রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, গাজার অর্ধ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ - জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ - অনাহারে রয়েছেন। ইজরায়েলে, 7 অক্টোবর হামাসের আক্রমণের সময় প্রায় 1,200 জন নিহত হয়েছিল যা যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল এবং প্রায় 250 জন জঙ্গিদের হাতে জিম্মি হয়েছিল। গাজায় এখনও 100 জনের বেশি জিম্মি বন্দী রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

( সংবাদ সূত্র- এপি)

আরও পড়ুন

যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন ! 24 ঘণ্টায় গাজায় 166 জনকে হত্যা করেছে ইজরায়েল

ইজরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু দেশেরই 3 বন্দির, অনুতপ্ত সেনা; প্রাণ গেল সাংবাদিকেরও

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.