ETV Bharat / entertainment

কীভাবে হয় রমা'র সুচিত্রায় জন্মান্তর? জন্মদিনে রইল সেই বিশেষ কাহিনি - HBD Suchitra Sen

HBD Suchitra Sen: বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ বললেই সবার আগে দু'জনের নাম মনে পড়ে। বাংলার, বাঙালির সবথেকে হিট জুটি উত্তম ও সুচিত্রা। আজ সুচিত্রা সেনের জন্মবার্ষিকী। তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি সুচিত্রা সেন নামে পরিচিতি দিয়েছিলেন ৷ তার আগে তিনি ছিলেন রমা সেন ৷ কী করে তিনি রমা থেকে সুচিত্রা হলেন জন্মদিনে সেই বিশেষ গল্প তুলে ধরা হল ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 6, 2024, 2:21 PM IST

HBD Suchitra Sen
HBD Suchitra Sen

কলকাতা, 6 এপ্রিল: মহানায়িকার আজ 93তম জন্মদিন। প্রতি বছরই তাঁর বর্ণময় জীবন আরও একবার ঝালিয়ে নিলে তা পুরনো মনে হয় না। আজ জন্মদিনে তাঁর রমা সেন থেকে সুচিত্রা সেন হয়ে ওঠার গল্প দু-এক কথায়।

সুচিত্রা সেনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি সুকুমার দাশগুপ্ত পরিচালিত 'সাত নম্বর কয়েদি'। এই সময়ে তিনি রমা সেন। এই নামটি নায়িকা হিসেবে অচল, বলেছিলেন পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্ত। তখন তাঁর সহকারী পরিচালক নীতিশ রায় বললেন সুচিত্রা নাম দিলে কেমন হয়? পছন্দ হল পরিচালকের। তিনি বলেছিলেন, "অপূর্ব, সুচিত্রা সেন, স্ক্রিন নেম হিসেবে রিয়েলি এক্সিলেন্ট!" রমা হয়ে গেলেন সুচিত্রা সেন। 'সাত নম্বর কয়েদি'র আগে অন্য ছবি করলেও 1953 সালে 'সাত নম্বর কয়েদি'ই ছিল তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি।

এই সিনেমা ঘিরে আরও একটি গল্প জানা যায় ৷ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বর্ষীয়ান সাংবাদিকদের লেখা থেকে, যাঁরা তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। স্বামী দিবানাথ সেন চাইতেন রমা সেন সিনেমায় আসুক। তাই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মানুষদের তিনি বলেছিলেন রমার ব্যাপারে। বিজলী সিনেমার তৎকালীন ম্যানেজার ছিলেন বিশ্ববসু রায়চৌধুরী। তিনিই রমাকে যোগাযোগ করিয়ে দেন পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তর সঙ্গে। রমাকে দেখে পরিচালকের পছন্দ হলেও তাঁর বাংলায় পূর্ববঙ্গীয় টান তাঁকে ভাবাতে শুরু করে।

তবে, রমা সেনও কম যাননি। তিনি প্রত্যয়ের সঙ্গে সুকুমার দাশগুপ্তকে বলেন, "সপ্তাহখানেক সময় পেলেই তিনি পূর্ববঙ্গীয় টান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।" সময় দিয়েছিলেন সুকুমারবাবু। নিজের ছবির চিত্রনাট্য নয়, 'রামের সুমতি' উপন্যাসটি রমার হাতে তুলে দেন এবং এর থেকে সংলাপ মুখস্থ করতে বলেন। রমার ধ্যান, জ্ঞান হয়ে ওঠে সংলাপ মুখস্থ করা। তাঁর সেই অধ্যবসায় লক্ষ্য করেছিলেন তাঁর শ্বশুরমশাই আদিনাথ সেন। উৎসাহিত করেন বউমাকে।

এক সপ্তাহ পরে রমা সেন সুকুমার দাশগুপ্তর কাছে যখন গেলেন তখন তিনি অন্য রমা। রমা সেনের হাতে তুলে দিলেন 'সাত নম্বর কয়েদি' ছবির চিত্রনাট্য। সেখান থেকে কিছু অংশ অভিনয় করে দেখাতে বললেন। রমার অভিনয় আর সংলাপ নিবেদনে মুগ্ধ হন সুকুমার দাশগুপ্ত। আর ব্যস 'সাত নম্বর কয়েদি'র নায়িকা হয়ে গেলেন সুচিত্রা সেন। সেই ছবিটিই ছিল মহানায়িকার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি।

1953 সালটা সুচিত্রার জীবনে ম্যাজিক ইয়ার। এই বছরই তৈরি হয় বাংলা সিনেমার সোনার জুটি উত্তম-সুচিত্রা। এই জুটির প্রথম ছবি 'সাড়ে চুয়াত্তর'। 'সাত নম্বর কয়েদি' মুক্তির দু'সপ্তাহ পরেই মুক্তি পায় এই ছবিটি।

আরও পড়ুন:

  1. জীবনে একবারই গান রেকর্ড সুচিত্রা সেনের, মহানায়িকার জন্মদিনে তা কোথায় পাবেন?
  2. জীবনের প্রথম ছবি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, প্রয়াণের এক দশক পূর্তিতে স্মরণে মহানায়িকা
  3. সুমিত্রা সেনের হাতের রান্না ভালোবাসতেন সুচিত্রা মিত্র, প্রয়াণ দিবসে ফিরে দেখা দুই কিংবদন্তিকে

কলকাতা, 6 এপ্রিল: মহানায়িকার আজ 93তম জন্মদিন। প্রতি বছরই তাঁর বর্ণময় জীবন আরও একবার ঝালিয়ে নিলে তা পুরনো মনে হয় না। আজ জন্মদিনে তাঁর রমা সেন থেকে সুচিত্রা সেন হয়ে ওঠার গল্প দু-এক কথায়।

সুচিত্রা সেনের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি সুকুমার দাশগুপ্ত পরিচালিত 'সাত নম্বর কয়েদি'। এই সময়ে তিনি রমা সেন। এই নামটি নায়িকা হিসেবে অচল, বলেছিলেন পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্ত। তখন তাঁর সহকারী পরিচালক নীতিশ রায় বললেন সুচিত্রা নাম দিলে কেমন হয়? পছন্দ হল পরিচালকের। তিনি বলেছিলেন, "অপূর্ব, সুচিত্রা সেন, স্ক্রিন নেম হিসেবে রিয়েলি এক্সিলেন্ট!" রমা হয়ে গেলেন সুচিত্রা সেন। 'সাত নম্বর কয়েদি'র আগে অন্য ছবি করলেও 1953 সালে 'সাত নম্বর কয়েদি'ই ছিল তাঁর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি।

এই সিনেমা ঘিরে আরও একটি গল্প জানা যায় ৷ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বর্ষীয়ান সাংবাদিকদের লেখা থেকে, যাঁরা তাঁকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছেন। স্বামী দিবানাথ সেন চাইতেন রমা সেন সিনেমায় আসুক। তাই ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মানুষদের তিনি বলেছিলেন রমার ব্যাপারে। বিজলী সিনেমার তৎকালীন ম্যানেজার ছিলেন বিশ্ববসু রায়চৌধুরী। তিনিই রমাকে যোগাযোগ করিয়ে দেন পরিচালক সুকুমার দাশগুপ্তর সঙ্গে। রমাকে দেখে পরিচালকের পছন্দ হলেও তাঁর বাংলায় পূর্ববঙ্গীয় টান তাঁকে ভাবাতে শুরু করে।

তবে, রমা সেনও কম যাননি। তিনি প্রত্যয়ের সঙ্গে সুকুমার দাশগুপ্তকে বলেন, "সপ্তাহখানেক সময় পেলেই তিনি পূর্ববঙ্গীয় টান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন।" সময় দিয়েছিলেন সুকুমারবাবু। নিজের ছবির চিত্রনাট্য নয়, 'রামের সুমতি' উপন্যাসটি রমার হাতে তুলে দেন এবং এর থেকে সংলাপ মুখস্থ করতে বলেন। রমার ধ্যান, জ্ঞান হয়ে ওঠে সংলাপ মুখস্থ করা। তাঁর সেই অধ্যবসায় লক্ষ্য করেছিলেন তাঁর শ্বশুরমশাই আদিনাথ সেন। উৎসাহিত করেন বউমাকে।

এক সপ্তাহ পরে রমা সেন সুকুমার দাশগুপ্তর কাছে যখন গেলেন তখন তিনি অন্য রমা। রমা সেনের হাতে তুলে দিলেন 'সাত নম্বর কয়েদি' ছবির চিত্রনাট্য। সেখান থেকে কিছু অংশ অভিনয় করে দেখাতে বললেন। রমার অভিনয় আর সংলাপ নিবেদনে মুগ্ধ হন সুকুমার দাশগুপ্ত। আর ব্যস 'সাত নম্বর কয়েদি'র নায়িকা হয়ে গেলেন সুচিত্রা সেন। সেই ছবিটিই ছিল মহানায়িকার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি।

1953 সালটা সুচিত্রার জীবনে ম্যাজিক ইয়ার। এই বছরই তৈরি হয় বাংলা সিনেমার সোনার জুটি উত্তম-সুচিত্রা। এই জুটির প্রথম ছবি 'সাড়ে চুয়াত্তর'। 'সাত নম্বর কয়েদি' মুক্তির দু'সপ্তাহ পরেই মুক্তি পায় এই ছবিটি।

আরও পড়ুন:

  1. জীবনে একবারই গান রেকর্ড সুচিত্রা সেনের, মহানায়িকার জন্মদিনে তা কোথায় পাবেন?
  2. জীবনের প্রথম ছবি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, প্রয়াণের এক দশক পূর্তিতে স্মরণে মহানায়িকা
  3. সুমিত্রা সেনের হাতের রান্না ভালোবাসতেন সুচিত্রা মিত্র, প্রয়াণ দিবসে ফিরে দেখা দুই কিংবদন্তিকে
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.