কলকাতা ও নয়াদিল্লি, 21 মার্চ: দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার হতেই তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক মহ
লে ৷ তৃণমূল থেকে শুরু করে সিপিএম ও কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলের নেতারা গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ করেছেন ৷ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারিকে অসাংবিধানিক বলে দাবি করেছেন ৷ অন্যদিকে, স্বভাবতই ইডিকে সাধুবাদ জানিয়ছে বিজেপি ৷
- প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি এক্সে লেখেন, " এক ভীত সন্তস্ত্র স্বৈরাচারী নেতা দেশের মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভান্ন প্রতিষ্ঠান কিনে ফেলেছেন ৷ বিরোধী দল ভেঙেছেন ৷ বিভিন্ন সংস্থা থেকে তোলা তুলেছেন ৷ প্রধান বিরোধী দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছেন ৷ তাই এখন মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা সাধারণ ব্যাপার ৷"
- কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এনিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, "নির্বাচনের আগে এধরনের নিম্ন মানসিকতার কাজ প্রধানমন্ত্রী বা বিজেপি'কে শোভা দেয় না ৷ রাজনীতির স্তর এতটা নীচে নামানো উচিত নয় ৷ নির্বাচনের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে টার্গেট করা অসাংবিধানিক ৷ রাজনীতিতে আপনার প্রতিপক্ষ'র সঙ্গে ব্যালট বক্সে লড়াই করুন ৷ তার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলুন৷ কিন্তু এই ধরনের কাজ করবে না ৷"
- তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন গ্রেফতারের অব্যবহিত পরেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে তীব্র প্রতিবাদ জানান ৷ তিনি লেখেন, "আমরা একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে গ্রেফতার করার তীব্র বিরোধিতা করছি ৷ এখন আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি বলবৎ রয়েছে ৷ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ৷ এমতাবস্থায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল ৷ অন্য বিরোধী দলের প্রধানদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে, নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে ৷ এসব চললে ভারতের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় ৷ আসুন আমরা সকলে মিলে গণতন্ত্রকে বাঁচাতে একজোট হই ৷"
- সিপিএম নেতা তথা দমদমের বামপ্রার্থী সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনায় ঘুরিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন ৷ এক ভিডিয়ো বার্তায় তিনি বলেন, "বিজেপি যা শুরু করেছে তাতে যারা ওদের সাহায্য় করবে তাদের কিছু হবে না ৷ আপ, বিজেপির কথা শোনেনি বলেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হল ৷ এরাজ্যে পিসি-ভাইপো'র বিরুদ্ধে লোক দেখানো বিরোধিতা করে বিজেপি ৷ তার চেয়ে বেশিকিছু করবে না ৷ অন্য বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেফতার করবে ৷ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেবে ৷"
- কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভটাচার্য বলেন, "অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে ৷ সাময়িকভাবে এটা বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে একটা ধাক্কা ঠিকই কিন্তু মানুষ সব বুঝতে পারবে ৷ এটা করে বিজেপি বুঝিয়ে দিল তারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করে ৷ বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিল ৷ আমরা এটাকে ইস্যু করে অবশ্যই রাস্তায় নামব ৷ দিল্লিতে আপ ও কংগ্রেস একসঙ্গে লড়াই করছে ৷ এই ঘটনার পর আমাদের ভোট অনেক বাড়বে এটা নিশ্চিত ৷ আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা কী হবে সেটা হাইকম্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবে ৷"
আরও পড়ুন: