ETV Bharat / bharat

সিএএ বিধিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ

Citizen Amendment Act: বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ-র কার্যকর করার পরেই বিধিগুলি বাস্তবায়নের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ৷ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেদের বিরুদ্ধে কোনও জবরদস্তিমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ার দাবিতে শীর্ষ আদালতে আবেদন তাদের ৷ ইটিভি ভারতের সুমিত সাক্সেনার প্রতিবেদন ।

supreme court
supreme court
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 12, 2024, 8:35 PM IST

নয়াদিল্লি, 12 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধি বাস্তবায়নের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের (আইইউএমএল) । শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধর্মের লোকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এবং তাদের অধিকারকে সুরক্ষিত করা হবে ৷ তাই অবিলম্বে সিএএ আইনের বিধি কার্যকর স্থগিত করা হোক ৷ এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন ৷

আজ থেকে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019 কার্যকর হয়েছে ৷ এই আইনের অধীনে যোগ্য ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে ৷ সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর 2019 সালের ডিসেম্বর থেকে সিএএকে চ্যালেঞ্জ করে 230টিরও বেশি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে ৷ যেগুলি শুনানি আদালতে মুলতুবি রয়েছে ।

ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের আবেদনে বলা হয়েছে, "সিএএর বিভিন্ন বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে প্রায় 250টি পিটিশন এই আদালতেদাখিল করা হয়েছিল এবং সেগুলি বিচারাধীন ছিল । যদি এই আদালত শেষ পর্যন্ত সিএএকে অসাংবিধানিক হিসাবে ঘোষণা করে তবে এই ব্যক্তিরা যারা আইন এবং বিধির অধীনে নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হতে হবে বা তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে, যা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করবে ৷"

আইইউএমএলের দাবি, "শীর্ষ আদালত যতদিন না পিটিশনগুলি শুনানি করছে ততদিন পর্যন্ত সবার স্বার্থে সিএএ এবং তার বিধিগুলির বাস্তবায়ন স্থগিত করা হোক ৷ কারণ একটি ধর্মকে বাদ দেওয়ার উপর ভিত্তি করে এই আইন । যেহেতু সিএএ ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করে, তাই এটি ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার মূলে আঘাত করে, যা সংবিধানের মূল কাঠামো । অতএব, আইনটির বাস্তবায়ন করার একটি উপায় হল এটিকে ধর্ম নিরপেক্ষ করা এবং ধর্মীয় অবস্থান নির্বিশেষে সমস্ত অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়া ৷"

2019 সালের ডিসেম্বরের শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৷ পরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাক্ষরে এটি আইনে পরিণত হয় ৷ এই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে মতো দেশগুলি থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যারা 2014 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন, তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন । সিএএ'র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন এবং দিল্লি-সহ রাজ্য এবং অন্যান্য জায়গায় কয়েকজন আহত হন ।

আরও পড়ুন:

  1. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত
  2. মুসলিম ভোটার বেশি, পশ্চিমবঙ্গ-অসমে সিএএ কার্যকর করার প্রভাব নির্বাচনে!
  3. লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে লাগু সিএএ

নয়াদিল্লি, 12 মার্চ: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিধি বাস্তবায়নের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের (আইইউএমএল) । শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ধর্মের লোকদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এবং তাদের অধিকারকে সুরক্ষিত করা হবে ৷ তাই অবিলম্বে সিএএ আইনের বিধি কার্যকর স্থগিত করা হোক ৷ এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজন ৷

আজ থেকে দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন 2019 কার্যকর হয়েছে ৷ এই আইনের অধীনে যোগ্য ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে ৷ সোমবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটা ঘোষণা করা হয়েছে ৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর 2019 সালের ডিসেম্বর থেকে সিএএকে চ্যালেঞ্জ করে 230টিরও বেশি পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে জমা পড়েছে ৷ যেগুলি শুনানি আদালতে মুলতুবি রয়েছে ।

ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের আবেদনে বলা হয়েছে, "সিএএর বিভিন্ন বিধানকে চ্যালেঞ্জ করে প্রায় 250টি পিটিশন এই আদালতেদাখিল করা হয়েছিল এবং সেগুলি বিচারাধীন ছিল । যদি এই আদালত শেষ পর্যন্ত সিএএকে অসাংবিধানিক হিসাবে ঘোষণা করে তবে এই ব্যক্তিরা যারা আইন এবং বিধির অধীনে নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন তাদের নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হতে হবে বা তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে, যা একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করবে ৷"

আইইউএমএলের দাবি, "শীর্ষ আদালত যতদিন না পিটিশনগুলি শুনানি করছে ততদিন পর্যন্ত সবার স্বার্থে সিএএ এবং তার বিধিগুলির বাস্তবায়ন স্থগিত করা হোক ৷ কারণ একটি ধর্মকে বাদ দেওয়ার উপর ভিত্তি করে এই আইন । যেহেতু সিএএ ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য করে, তাই এটি ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণার মূলে আঘাত করে, যা সংবিধানের মূল কাঠামো । অতএব, আইনটির বাস্তবায়ন করার একটি উপায় হল এটিকে ধর্ম নিরপেক্ষ করা এবং ধর্মীয় অবস্থান নির্বিশেষে সমস্ত অভিবাসীকে নাগরিকত্ব দেওয়া ৷"

2019 সালের ডিসেম্বরের শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পাশ হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ৷ পরে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির সাক্ষরে এটি আইনে পরিণত হয় ৷ এই আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে মতো দেশগুলি থেকে মুসলিম ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যারা 2014 সালের 31 ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে এসেছেন, তারা এদেশের নাগরিকত্ব পাবেন । সিএএ'র বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তরপ্রদেশে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন এবং দিল্লি-সহ রাজ্য এবং অন্যান্য জায়গায় কয়েকজন আহত হন ।

আরও পড়ুন:

  1. দেশজুড়ে লাগু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আবেদন কীভাবে ? যোগ্য কারা ? রইল বিস্তারিত
  2. মুসলিম ভোটার বেশি, পশ্চিমবঙ্গ-অসমে সিএএ কার্যকর করার প্রভাব নির্বাচনে!
  3. লোকসভা ভোটের আগে দেশজুড়ে লাগু সিএএ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.