ETV Bharat / sukhibhava

Capsicum Cultivation at Home: বাড়িতেই সহজে ক্যাপসিকাম ফলাতে চান ? রইল চাষের পদ্ধতি

author img

By

Published : Aug 13, 2023, 10:43 PM IST

Updated : Aug 13, 2023, 11:03 PM IST

বাড়িতে ক্যাপসিকাম গাছ রয়েছে ? বা এটি বাড়িতে চাষ করার কথা ভাবছেন ? তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনাকে সাহায্য করতে পারে ৷ জেনে নিন এই চাষে কী কী করণীয় ৷

Etv Bharat
ক্যাপসিকাম

হায়দরাবাদ: আমিষ হোক বা নিরামিষ, মোটামুটি সমস্ত ধরনের রান্নাতেই ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা যায়৷ বাজারে সবসময় পাওয়া যায় না এই সবজি ৷ পাওয়া গেলেও তার দাম অনেকটাই বেশি থাকে ৷ আর তাছাড়া বাড়িতে চাষ করা টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা ৷ এটা রাসায়নিক বর্জিত ও স্বাস্থ্যকর ৷ তাই আসুন আজ জেনে নিই কীভাবে এর বীজ ব্যবহার করে বাড়িতে ক্যাপসিকাম চাষ করা যায় ৷

কীভাবে বীজ ব্যবহার করে ক্যাপসিকাম চাষ করবেন :

1. প্রথমেই নার্সারি থেকে উচ্চ মানের ক্যাপসিকাম বীজ নিয়ে আসতে হবে ৷ সবুজ, লাল, হলুদ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপসিকাম বীজ পাওয়া যায় ৷ আপনার পরিবেশ অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো ফলন হবে এমন ক্যাপসিকাম বীজই বেছে নিন ৷ তবে জেনে রাখুন, আমাদের দেশের পরিবেশ সবুজ রঙের ক্যাপসিকামের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত ৷

2. এবার জল নিষ্কাশনের জন্য গর্ত আছে এমন একটি পাত্র নিন ৷ এটি গাছের গোড়ায় জল জমা প্রতিরোধ করে গাছকে সুস্থ রাখবে ৷

3. পাত্র বা টবের মধ্যে ভালো করে মাটি মিশিয়ে নিন ৷ এবার তাতে 1/4 ইঞ্চি গভীরে বীজগুলি দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন ৷ এরপর কিছুটা জল স্প্রে করুন ৷

4. ক্যাপসিকাম উষ্ণ আবহাওয়ায় দ্রুত বাড়ে ৷ গাছটিকে 8 থেকে 10 দিন বাড়ির ভিতরে রাখুন ৷

5. ক্যাপসিকাম বাড়তে প্রচুর পরিমাণ পরোক্ষ সূর্যালোক প্রয়োজন ৷ বাড়ির সেই মতো জায়গায় গাছটিকে রাখুন ৷ যেখানে সূর্যের আলোর উষ্ণতা রয়েছে ৷

6.শীঘ্রই আপনি দেখতে পাবেন বীজগুলি থেকে প্রথম পাতা বেরিয়েছে ৷ যখন সেগুলি 3 থেকে 4 ইঞ্চি লম্বা হয় তখন বাগানে প্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত হয় ৷

7.এবার অন্য একটি পাত্রে চারাগুলি লাগান ৷ এক সপ্তাহের জন্য তাদের বাইরে রাখুন ৷ আপনার বাড়ির বাগানে এমন একটি জায়গা বাছুন যেখানে গাছগুলি প্রতিদিন 6 থেকে 8 ঘণ্টা সূর্যালোক পাবে ৷

8. মাটি আর্দ্র বা ভিজে হতে হবে ৷ তবে পাতায় জল দেবেন না ৷ গাছের বৃদ্ধি ও সুন্দর ফসল পেতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারেন মাটিটাকে ঢেকে দিয়ে ৷ অর্থাৎ, পাতলা ও স্বচ্ছ প্লাসটিকের কভার দিয়ে গাছের জায়গাটুকু গোল করে কেটে নিয়ে বাকিটা ঢেকে দিন ৷ এটি মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও কীটনাশক বৃদ্ধি রুখতে সাহায্য করে ৷

9. ক্যাপসিকামের সঠিক রং ও আকার দেখা গেলেই তা তুলে নিন ৷ এক্ষেত্রে কাঁচি ব্যবহার করে আলতো করে ক্যাপসিকাম কেটে নিতে হবে ৷

কীভাবে দ্রুত ক্যাপসিকাম গাছের বৃদ্ধি হয় ?

ক্যাপসিকাম গাছ বৃদ্ধিতে উচ্চমানের মাটি ব্যবহার করুন ৷ মাটি হতে হবে পুষ্টিতে ভরপুর ৷ মাটির গুণমান উন্নত করতে কম্পোস্ট বা পচা সার ব্যবহার করুন ৷

প্লাসটিকের কভার দিয়ে মাটি ঢেকে রাখতে ভুলবেন না ৷ এই ঢেকে রাখার পদ্ধতি অর্থাৎ মালচিং সবসময় গাছের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ৷ এটি মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে গাছের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ৷

ক্যাপসিকামের ফলন বৃদ্ধির টোটকা:

  • প্রতি 4 থেকে 6 সপ্তাহে ক্যাপসিকাম গাছে সার দেওয়া প্রয়োজন ৷ নার্সারি থেকে একটি সার আনুন ৷ তবে মাথায় রাখবেন, অতিরিক্ত সার কিন্তু গাছকে নষ্ট করে দিতে পারে ৷
  • কীটপতঙ্গ ও রোগের জন্য গাছ পরীক্ষা করুন ৷ ক্যাপসিকাম গাছ সাদা মাছি ও শুঁয়োপোকাকে আকর্ষণ করে ৷ সুতরাং, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে একটি জৈব কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী বা কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন ৷
  • মনে রাখবেন, বৃদ্ধিরত ক্যাপসিকাম পুরোপুরি বাড়তে কয়েকমাস সময় নিতে পারে ৷ তার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে ও গাছের যত্ন নিতে হবে ৷ কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ আছে কি না, তা পরীক্ষা করুন নিয়মিত ৷ পাশপাশি বাগান বিশেষজ্ঞ দ্বারা গাছ পরিদর্শন করাতে পারেন ৷

আরও পড়ুন : মুখরোচক চিজ টোস্টে জমুক ব্রেকফাস্ট

হায়দরাবাদ: আমিষ হোক বা নিরামিষ, মোটামুটি সমস্ত ধরনের রান্নাতেই ক্যাপসিকাম ব্যবহার করা যায়৷ বাজারে সবসময় পাওয়া যায় না এই সবজি ৷ পাওয়া গেলেও তার দাম অনেকটাই বেশি থাকে ৷ আর তাছাড়া বাড়িতে চাষ করা টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা ৷ এটা রাসায়নিক বর্জিত ও স্বাস্থ্যকর ৷ তাই আসুন আজ জেনে নিই কীভাবে এর বীজ ব্যবহার করে বাড়িতে ক্যাপসিকাম চাষ করা যায় ৷

কীভাবে বীজ ব্যবহার করে ক্যাপসিকাম চাষ করবেন :

1. প্রথমেই নার্সারি থেকে উচ্চ মানের ক্যাপসিকাম বীজ নিয়ে আসতে হবে ৷ সবুজ, লাল, হলুদ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ক্যাপসিকাম বীজ পাওয়া যায় ৷ আপনার পরিবেশ অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো ফলন হবে এমন ক্যাপসিকাম বীজই বেছে নিন ৷ তবে জেনে রাখুন, আমাদের দেশের পরিবেশ সবুজ রঙের ক্যাপসিকামের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত ৷

2. এবার জল নিষ্কাশনের জন্য গর্ত আছে এমন একটি পাত্র নিন ৷ এটি গাছের গোড়ায় জল জমা প্রতিরোধ করে গাছকে সুস্থ রাখবে ৷

3. পাত্র বা টবের মধ্যে ভালো করে মাটি মিশিয়ে নিন ৷ এবার তাতে 1/4 ইঞ্চি গভীরে বীজগুলি দিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিন ৷ এরপর কিছুটা জল স্প্রে করুন ৷

4. ক্যাপসিকাম উষ্ণ আবহাওয়ায় দ্রুত বাড়ে ৷ গাছটিকে 8 থেকে 10 দিন বাড়ির ভিতরে রাখুন ৷

5. ক্যাপসিকাম বাড়তে প্রচুর পরিমাণ পরোক্ষ সূর্যালোক প্রয়োজন ৷ বাড়ির সেই মতো জায়গায় গাছটিকে রাখুন ৷ যেখানে সূর্যের আলোর উষ্ণতা রয়েছে ৷

6.শীঘ্রই আপনি দেখতে পাবেন বীজগুলি থেকে প্রথম পাতা বেরিয়েছে ৷ যখন সেগুলি 3 থেকে 4 ইঞ্চি লম্বা হয় তখন বাগানে প্রতিস্থাপনের জন্য প্রস্তুত হয় ৷

7.এবার অন্য একটি পাত্রে চারাগুলি লাগান ৷ এক সপ্তাহের জন্য তাদের বাইরে রাখুন ৷ আপনার বাড়ির বাগানে এমন একটি জায়গা বাছুন যেখানে গাছগুলি প্রতিদিন 6 থেকে 8 ঘণ্টা সূর্যালোক পাবে ৷

8. মাটি আর্দ্র বা ভিজে হতে হবে ৷ তবে পাতায় জল দেবেন না ৷ গাছের বৃদ্ধি ও সুন্দর ফসল পেতে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে পারেন মাটিটাকে ঢেকে দিয়ে ৷ অর্থাৎ, পাতলা ও স্বচ্ছ প্লাসটিকের কভার দিয়ে গাছের জায়গাটুকু গোল করে কেটে নিয়ে বাকিটা ঢেকে দিন ৷ এটি মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও কীটনাশক বৃদ্ধি রুখতে সাহায্য করে ৷

9. ক্যাপসিকামের সঠিক রং ও আকার দেখা গেলেই তা তুলে নিন ৷ এক্ষেত্রে কাঁচি ব্যবহার করে আলতো করে ক্যাপসিকাম কেটে নিতে হবে ৷

কীভাবে দ্রুত ক্যাপসিকাম গাছের বৃদ্ধি হয় ?

ক্যাপসিকাম গাছ বৃদ্ধিতে উচ্চমানের মাটি ব্যবহার করুন ৷ মাটি হতে হবে পুষ্টিতে ভরপুর ৷ মাটির গুণমান উন্নত করতে কম্পোস্ট বা পচা সার ব্যবহার করুন ৷

প্লাসটিকের কভার দিয়ে মাটি ঢেকে রাখতে ভুলবেন না ৷ এই ঢেকে রাখার পদ্ধতি অর্থাৎ মালচিং সবসময় গাছের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ৷ এটি মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে গাছের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ৷

ক্যাপসিকামের ফলন বৃদ্ধির টোটকা:

  • প্রতি 4 থেকে 6 সপ্তাহে ক্যাপসিকাম গাছে সার দেওয়া প্রয়োজন ৷ নার্সারি থেকে একটি সার আনুন ৷ তবে মাথায় রাখবেন, অতিরিক্ত সার কিন্তু গাছকে নষ্ট করে দিতে পারে ৷
  • কীটপতঙ্গ ও রোগের জন্য গাছ পরীক্ষা করুন ৷ ক্যাপসিকাম গাছ সাদা মাছি ও শুঁয়োপোকাকে আকর্ষণ করে ৷ সুতরাং, পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে একটি জৈব কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণকারী বা কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন ৷
  • মনে রাখবেন, বৃদ্ধিরত ক্যাপসিকাম পুরোপুরি বাড়তে কয়েকমাস সময় নিতে পারে ৷ তার জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে ও গাছের যত্ন নিতে হবে ৷ কোনও অস্বাভাবিক লক্ষণ আছে কি না, তা পরীক্ষা করুন নিয়মিত ৷ পাশপাশি বাগান বিশেষজ্ঞ দ্বারা গাছ পরিদর্শন করাতে পারেন ৷

আরও পড়ুন : মুখরোচক চিজ টোস্টে জমুক ব্রেকফাস্ট

Last Updated : Aug 13, 2023, 11:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.