ETV Bharat / state

Panchayat Election Results 2023: মালদা তৃণমূলের, মুছে গেল বাম; শক্তি বাড়ল কংগ্রেসের

author img

By

Published : Jul 12, 2023, 8:54 PM IST

মালদা তৃণমূলের ৷ 15টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে 10টিতে জয় পেল ঘাসফুল ৷ বিজেপির হাতে গিয়েছে শুধুমাত্র হবিবপুর পঞ্চায়েতের সমিতি ৷ আর 43টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে 33টি তৃণমূল, 6টি কংগ্রেস ও 4টি পেয়েছে বিজেপি ৷

ETV Bharat
পঞ্চায়েত নির্বাচন

মালদা, 12 জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদার 15টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে 10টি শাসকদলের দখলে ৷ আর 43টি জেলা পরিষদ আসনের মধ্যে 33টি তৃণমূল, 6টি কংগ্রেস ও 4টি পেয়েছে বিজেপি ৷ সুতরাং ঘাসফুল এবার মালদা জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দখল করেছে ৷ মালদায় বিজেপির হাতে গিয়েছে শুধুমাত্র হবিবপুর পঞ্চায়েতের সমিতি ৷ গ্রামপঞ্চায়েতের বুথ স্তরে কোথাও কোথাও বাম-কংগ্রেস কিংবা পদ্মের দেখা মিললেও পঞ্চায়েত সমিতি কিংবা জেলা পরিষদ স্তরে শুধুই ঘাসফুলের জয়জয়কার ৷

মঙ্গলবার থেকে পঞ্চায়েতের ভোটগণনা চলছে ৷ রাতভর গণনা হয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে পরিষ্কার, এবারও মালদার গাঁয়ের মানুষ বামফ্রন্টকে পুরোপুরি দূরে সরিয়ে দিয়েছে ৷ 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামপঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত শূন্য থাকলেও জেলা পরিষদের দু'টি আসন দখল করেছিল সিপিএম ৷ 2023 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট আশা করেছিল দু'টি জায়গায় তারা জিতবে ৷ দু'টি আসনেই তাদের হার হয়েছে ৷

আরও পড়ুন: গণনা ঘিরে একাধিক খুন দক্ষিণ 24 পরগনায়, উত্তপ্ত ভাঙড়-রায়দিঘি

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, আগামী পাঁচ বছর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের কোনও জায়গায় বামেদের অস্তিত্ব থাকছে না ৷ তুলনায় খানিকটা শক্তি বেড়েছে কংগ্রেসের ৷ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার চারটি পঞ্চায়েত তাদের দখলে থাকলেও এবার তারা 7 টি গ্রামপঞ্চায়েত দখল করেছে ৷ তবে গতবার একটি পঞ্চায়েত সমিতির রাশ তাদের হাতে থাকলেও, এবার কোনও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে পারেনি বামফ্রন্ট ৷ বরং তাদের শক্তি খানিকটা বেড়েছে জেলা পরিষদে ৷ এখনও পর্যন্ত বামফ্রন্ট জেলা পরিষদের পাঁচটি আসন দখল করেছে ৷ উল্লেখ্য গত পাঁচ বছর মালদা জেলা পরিষদে তাদের কোনও প্রতিনিধি ছিল না ৷

পঞ্চায়েত নির্বাচনী ফলাফল প্রসঙ্গে বামফ্রন্টের জেলা আহ্বায়ক তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের প্রতিক্রিয়া, "এমন ফলই আশা ছিল ৷ প্রশাসনের সর্বস্তরের অসহযোগিতা, সন্ত্রাস, ছাপ্পা, বুথ লুট আমরা আটকাতে পারিনি ৷ তাই হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, মানিকচকের জেলা পরিষদ আসনে আমাদের হারতে হয়েছে ৷" তাঁর দাবি, পঞ্চায়েত ভোটই হয়নি ৷ তৃণমূলকে জেতাতে প্রশাসন ও পুলিশ সরাসরি ময়দানে নেমে পড়েছিল ৷

বাম নেতার অভিযোগ, হাতে গোনা কয়েকটি জায়গায় বিরোধী প্রার্থীরা জিতেছিলেন ৷ তাঁদের দীর্ঘ সময় বসিয়ে রেখে কোনও না কোনও উপায়ে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এই হারের নেপথ্যে আসন নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের পুরোপুরি সমঝোতা না-হওয়াকেও দায়ী করেছেন অম্বর মিত্র ৷ তিনি বলেন, "সেটা হলে আমাদের ফল ভালো হত ৷ অন্তত ভোট ভাগাভাগিটা হত না ৷ তবে সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে মানুষ লোকসভা আর বিধানসভা নির্বাচনে উপযুক্ত জবাব দেবে ৷"

আরও পড়ুন: গণনার রাতে অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, গুলিবিদ্ধ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোত্তাকিন আলমও দাবি করছেন, শাসক-প্রশাসনের যৌথ সন্ত্রাস রুখতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন ৷ তাঁর বক্তব্য, "ভোটের আগে থেকেই প্রশাসনের সহযোগিতায় শাসকদল গোটা রাজ্যের সঙ্গে মালদাতেও তুমুল সন্ত্রাস চালিয়েছে ৷ ভোটের দিন কী হয়েছিল, সেটা সবার জানা ৷ গতকাল গণনার সময় অসংখ্য ব্যালট বক্সে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর না-থাকা ব্যালট পেপার মিলেছে ৷" কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, কমিশন এসব ব্যালট বাতিল করার নির্দেশ দিলেও সেগুলি গোনা হয়েছে ৷ প্রশাসন যেভাবে খুল্লমখুল্লা শাসকদলকে সাহায্য করেছে, তাতে তৃণমূলের এই ফল হওয়া স্বাভাবিক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.