কলকাতা, 7 জুন: আদালতের হস্তক্ষেপে প্রায় 10 বছর পর চাকরি পেতে চলেছেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা আমনা পারভিন । কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, 2020-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মামলাকারীর ইন্টারভিউ নিতে হবে । পাশাপাশি, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে 50 হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত । তার মধ্যে 10 হাজার টাকা দিতে হবে মামলাকারীকে । আর 40 হাজার টাকা জামা দিতে হবে আদালতে । গোটা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ।
2014 সালের টেট-এ পাশ না করতে পেরে, আরটিআই করেছিলেন মামলাকারী । পরে তিনি জানতে পারেন, ওই বছরের পরীক্ষায় 6টি প্রশ্ন ভুল ছিল । এই নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে, আদালত নির্দেশ দেয় 6 নম্বর দিতে হবে মামলাকারীকে । আর এই নম্বর বৃদ্ধি পাওয়ার পর পাশ করে গেলে তাঁকে দিতে হবে চাকরি । কিন্তু 82 নম্বর পেয়ে পাশ করে গেলেও চাকরি না পেয়ে ফের আদালতের দারস্থ হন মামলাকারী । সেই মামলাতেই আজ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ইন্টারভিউ নিয়ে তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: ভদ্র না অভদ্র, কে গ্রেফতার হয়েছে? কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
উল্লেখ্য, গত 12 মে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 32 হাজার কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন । 2014 সালের টেট-এর ভিত্তিতে 2016 সালে প্রায় 42,942 জন শিক্ষক নিয়োগ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । কিন্তু নিয়োগে একাধিক গলদ রয়েছে বলে দাবি করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুপর্ণা নস্কর নামে এক প্রার্থী-সহ প্রায় 140 জন ।
যদিও সেই নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দেয় । তবে 32 হাজার কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষককে অন্যান্যদের সঙ্গে নতুন করে ইন্টারভিউ দিয়ে যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার যে নির্দেশ সিঙ্গল বেঞ্চ দিয়েছিল, তা বহাল রাখেন বিচারপতি।