ETV Bharat / state

SSKM Cabin 12 and Half: মুখ্যমন্ত্রী ভর্তি ছিলেন সাড়ে বারো নম্বর কেবিনে, কেন এমন নাম ? কী বিশেষত্ব ? কারা থেকেছেন ?

author img

By

Published : Jul 7, 2023, 5:35 PM IST

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভর্তি হয়েছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের সাড়ে বারো নম্বর কেবিনে ৷ কেন এমন নাম এই কেবিনের ? কী বিশেষত্ব ? কারা কারা থেকে গিয়েছেন এখানে ? বিস্তারিত জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন ৷

SSKM Cabin 12 and Half
SSKM Cabin 12 and Half

কলকাতা, 7 জুলাই: বাঁ পায়ের হাঁটুতে ফ্লুইড জমার কারণে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে 12 নম্বর কেবিন তাঁর জন্য প্রস্তুত করা ছিল ৷ সেখানেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এর আগের বার যখন তিনি প্রথম এই হাসপাতালে যান অর্থাৎ 27 জুন, সে দিনও তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ওই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে । উডবার্ন ওয়ার্ডে মোট 36টি ওয়ার্ড রয়েছে । তাহলে কেন বারবার ওই একই ঘরে রাখা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ? কেনই বা ওই কেবিনের নামের আগে রয়েছে 'সাড়ে' শব্দটি ? কী বা বিশেষত্ব এই কেবিনের ?

কেন কেবিনের এমন নাম ? সময় 1901 সাল, চলছে ইংরেজদের রাজত্ব । কলকাতার বুকে তখন গড়ে উঠল উডবার্ন ওয়ার্ড । তৎকালীন গর্ভনর লর্ড উডবার্নের নাম অনুসারে নামঙ্কিত করা হয় পিজি হাসপাতালের ওই বিশেষ ওয়ার্ড । উডবার্ন ওয়ার্ডের পাশেই তৈরি করা হয়েছিল ঘোড়া রাখার জায়গা । ইংরেজদের কাছে যেহেতু 13 শব্দটি অশুভ, তাই ওই ওয়ার্ডের নাম 13 না রেখে করা হয় সাড়ে 12 । তাই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনের পরে আবার দেখা যায় 14 নম্বর কেবিন ।

SSKM Cabin 12 and Half
সাড়ে বারো নম্বর কেবিনের শৌচালয়

কী কী আছে এই কেবিনে ? সেই ঘটনার 122 বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও এসএসকেএম হাসপাতালে তৈরি হয়নি 13 নম্বরের কোনও কেবিন । এই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনটি পুরো ওয়ার্ডের একতলার একেবারে শেষে অবস্থিত । প্রায় 1500 বর্গফুট জায়গা নিয়ে রয়েছে ওই কেবিন । কেবিনের ভিতরে রয়েছে ফ্রিজ, টিভি ও গদিযুক্ত চেয়ার ৷ এ ছাড়াও শৌচালয়ে রয়েছে বাথটব । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি এই হাসপাতালকে নবরূপে সাজিয়ে তুলেছেন । তিনিও উডবার্নে ওয়ার্ডের এই কেবিনের কোনও বদল করেননি বা নামও বদলে 13 নম্বর করেননি ।

আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর অভিষেকের কাঁধে ভর দিয়েই বাড়ি ফিরলেন মমতা

কাদের জন্য বরাদ্দ এই বিশেষ কেবিন ? এই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে প্রবেশের মুখেই মাটিতে পাতা লাল কার্পেট ৷ বিভিন্ন ছোট গাছ দিয়ে সাজানো ঘরটি । কোনও সাধারণ মানুষ ওই কেবিনে ভর্তি হতে পারেন না । ভিভিআইপিদের জন্যেই খোলা হয় এই কেবিনের দরজা । রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরাই ওই কেবিনে ভর্তি হতে পারেন । এ ছাড়াও বাইরের দেশ থেকে উচ্চপদস্থ কেউ এলে তাঁকেও রাখা হয় ওই কেবিনে । ফলে বছরের বেশি সময় ধরেই তালা থাকে ওই কেবিনে । কিন্তু পরিষ্কারের কাজ চলে নিয়ম মাফিক ।

SSKM Cabin 12 and Half
মুখ্যমন্ত্রী ভর্তি ছিলেন এই কেবিনে

কারা থেকেছেন এখানে ? হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত দীর্ঘদিন ওই হাসপাতালে সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে ভর্তি ছিলেন । এছাড়াও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসা হয়েছে ওই কেবিনে । প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসান ভর্তি ছিলেন ওই কেবিনে । কিছুদিনের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও এই হাসপাতালের সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে ভর্তি ছিলেন ।

কেবিনটি নিয়ে রয়েছে বিতর্কও: তবে ওই কেবিনকে ঘিরে বিতর্কও রয়েছে । তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ওই কেবিনে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু কেন ভিভিআইপিদের জন্য রাখা কেবিনে একজন নেতাকে রাখা হবে ? সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা । ফলে রাতারাতি তাঁকে অন্য কেবিনে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় । শোনা যায়, মদন মিত্র রাজ্যের মন্ত্রী থাকার দরুণ তাঁকে ওই কেবিনে রাখা হয়েছিল কিছুদিনের জন্য । অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গায়ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ওই কেবিনে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছিল বলে জানা যায় ।

কলকাতা, 7 জুলাই: বাঁ পায়ের হাঁটুতে ফ্লুইড জমার কারণে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে 12 নম্বর কেবিন তাঁর জন্য প্রস্তুত করা ছিল ৷ সেখানেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এর আগের বার যখন তিনি প্রথম এই হাসপাতালে যান অর্থাৎ 27 জুন, সে দিনও তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ওই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে । উডবার্ন ওয়ার্ডে মোট 36টি ওয়ার্ড রয়েছে । তাহলে কেন বারবার ওই একই ঘরে রাখা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ? কেনই বা ওই কেবিনের নামের আগে রয়েছে 'সাড়ে' শব্দটি ? কী বা বিশেষত্ব এই কেবিনের ?

কেন কেবিনের এমন নাম ? সময় 1901 সাল, চলছে ইংরেজদের রাজত্ব । কলকাতার বুকে তখন গড়ে উঠল উডবার্ন ওয়ার্ড । তৎকালীন গর্ভনর লর্ড উডবার্নের নাম অনুসারে নামঙ্কিত করা হয় পিজি হাসপাতালের ওই বিশেষ ওয়ার্ড । উডবার্ন ওয়ার্ডের পাশেই তৈরি করা হয়েছিল ঘোড়া রাখার জায়গা । ইংরেজদের কাছে যেহেতু 13 শব্দটি অশুভ, তাই ওই ওয়ার্ডের নাম 13 না রেখে করা হয় সাড়ে 12 । তাই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনের পরে আবার দেখা যায় 14 নম্বর কেবিন ।

SSKM Cabin 12 and Half
সাড়ে বারো নম্বর কেবিনের শৌচালয়

কী কী আছে এই কেবিনে ? সেই ঘটনার 122 বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও এসএসকেএম হাসপাতালে তৈরি হয়নি 13 নম্বরের কোনও কেবিন । এই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনটি পুরো ওয়ার্ডের একতলার একেবারে শেষে অবস্থিত । প্রায় 1500 বর্গফুট জায়গা নিয়ে রয়েছে ওই কেবিন । কেবিনের ভিতরে রয়েছে ফ্রিজ, টিভি ও গদিযুক্ত চেয়ার ৷ এ ছাড়াও শৌচালয়ে রয়েছে বাথটব । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি এই হাসপাতালকে নবরূপে সাজিয়ে তুলেছেন । তিনিও উডবার্নে ওয়ার্ডের এই কেবিনের কোনও বদল করেননি বা নামও বদলে 13 নম্বর করেননি ।

আরও পড়ুন: অস্ত্রোপচারের পর অভিষেকের কাঁধে ভর দিয়েই বাড়ি ফিরলেন মমতা

কাদের জন্য বরাদ্দ এই বিশেষ কেবিন ? এই সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে প্রবেশের মুখেই মাটিতে পাতা লাল কার্পেট ৷ বিভিন্ন ছোট গাছ দিয়ে সাজানো ঘরটি । কোনও সাধারণ মানুষ ওই কেবিনে ভর্তি হতে পারেন না । ভিভিআইপিদের জন্যেই খোলা হয় এই কেবিনের দরজা । রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরাই ওই কেবিনে ভর্তি হতে পারেন । এ ছাড়াও বাইরের দেশ থেকে উচ্চপদস্থ কেউ এলে তাঁকেও রাখা হয় ওই কেবিনে । ফলে বছরের বেশি সময় ধরেই তালা থাকে ওই কেবিনে । কিন্তু পরিষ্কারের কাজ চলে নিয়ম মাফিক ।

SSKM Cabin 12 and Half
মুখ্যমন্ত্রী ভর্তি ছিলেন এই কেবিনে

কারা থেকেছেন এখানে ? হাসপাতাল সূত্রে খবর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত দীর্ঘদিন ওই হাসপাতালে সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে ভর্তি ছিলেন । এছাড়াও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসা হয়েছে ওই কেবিনে । প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসান ভর্তি ছিলেন ওই কেবিনে । কিছুদিনের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুও এই হাসপাতালের সাড়ে 12 নম্বর কেবিনে ভর্তি ছিলেন ।

কেবিনটি নিয়ে রয়েছে বিতর্কও: তবে ওই কেবিনকে ঘিরে বিতর্কও রয়েছে । তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ওই কেবিনে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু কেন ভিভিআইপিদের জন্য রাখা কেবিনে একজন নেতাকে রাখা হবে ? সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা । ফলে রাতারাতি তাঁকে অন্য কেবিনে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় । শোনা যায়, মদন মিত্র রাজ্যের মন্ত্রী থাকার দরুণ তাঁকে ওই কেবিনে রাখা হয়েছিল কিছুদিনের জন্য । অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা গায়ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ওই কেবিনে রেখে চিকিৎসা করা হয়েছিল বলে জানা যায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.