কলকাতা, 10 জানুয়ারি: 94টি শূন্যপদে কীভাবে নতুন করে নিয়োগ সম্ভব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মামলাকারী-সহ অন্যান্য সব পক্ষকে বসে আলোচনার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। সিবিআই রিপোর্টের ভিত্তিতে এই 94 জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আলোচনা করে তাদের প্রস্তাব আদালতকে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা রাস্তায় বসে আন্দোলন করছে তাদের যাতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা যায়, সেটাই হবে আলোচনার মূল বিষয়বস্ত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, আলোচনার পর আদালতকে জানাতে আগামী 6 ফেব্রুয়ারি।
বিচারপতি অমৃতা সিনহা বুধবার রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, যোগ্য প্রার্থী, যারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাদের জন্য রাজ্য কী পদক্ষেপ করেছে ? তাতে রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্য তিন হাজারের বেশি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করেছিল। কিন্তু রাজ্যের সেই সিদ্ধান্তের উপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করায় নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, "মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ হোক।
কিন্তু যেহেতু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আগেই জানিয়েছে 2016 সালের নিয়োগের জন্য ছয় বছর আগে তৈরি করা তালিকা এখন তাদের কাছে নেই। ফলে কিসের ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ করা হবে সেটাই মূল প্রশ্ন।"
দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে এরপর বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রস্তাব দেন, সব পক্ষ বসে আলোচনা করে এই বিষয়ে কী করা যেতে পারে তা আদালতে জানাবে তারা। অন্যদিকে, বিচারপতি অমৃতা সিনহার ঘরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সংক্রান্ত মামলা থেকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্তকে সরতে বললেন বিচারপতি সিনহা। কারণ হিসাবে বিচারপতি জানান, কিশোর দত্ত এজি হওয়ার আগে থেকেই সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী হিসাবে আদালতে সওয়াল করছেন। ফলে রাজ্যের প্রতিনিধি এবং কোনও ব্যাক্তির প্রতিনিধি হিসাবে আদালতে সওয়াল করলে একই সঙ্গে তাতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব হতে পারে বলে অভিমত বিচারপতির।
পাশাপাশি এদিন ইডি নিয়োগ দুর্নীতি এবং লিপস এণ্ড বাউন্স কোম্পানি সংক্রান্ত আরও তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে আদালতে। রিপোর্ট দেখার পর পরবর্তী শুনানিতে এই বিষয়ে নির্দেশ দেবেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: