জলপাইগুড়ি, 25 অগস্ট: তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করল সেচ দফতর । এ দিকে আগামী 24 ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টির পুর্বাভাসে পাহাড় ও সমতলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পং জেলায় আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে । সঙ্গে হড়পা বানেরও আশংকার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস ৷ পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর ।
ইতিমধ্যেই পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির ফলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে তিস্তা নদীতে । তিস্তা নদীর দোমহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে । ফলে আতঙ্কিত তিস্তাপাড়ের নিচু এলাকার বাসিন্দারা । যদিও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন ।
আরও পড়ুন: সকাল থেকেই বৃষ্টি কলকাতায়, দেখুন তিলোত্তমার জলছবি
অন্যদিকে, জেলা সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, এ দিন সকালে শুধু তিস্তার নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সংকেত জারি করা হয়েছে । তবে জলঢাকা-সহ অন্যান্য নদী গুলিতে কোনও সংকেত দেওয়া হয়নি । একইভাবে আলিপুরদুয়ারের তোর্ষা, কালজানি, সংকোষ নদীগুলিতে জল বৃদ্ধির খবর নেই বলে জানা গিয়েছে । জলপাইগুড়ি শহরের উপর দিয়ে বয়ে চলা করলা নদীতে জল বাড়তে শুরু করেছে । করলা নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে জলপাইগুড়ি পৌরসভার 1 ও 25 নং এলাকায় । বিশেষ করে পরেশ মিত্র কলোনিতে করলা নদীর জল ঢুকে গিয়েছে ।
গতকাল থেকেই জলপাইগুড়ি-সহ ডুয়ার্স এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে । শুধু তাই নয়, পাহাড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গিয়েছে । সমতল এবং পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে তিস্তাতে জল বেড়েছে বলে মনে করছে সেচ দফতর । অন্যদিকে, তিস্তা নদীর গাজোলডোবা ব্যরেজ থেকে প্রতি ঘণ্টায় জল ছাড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা সেচ দফতরের ফ্লাড কন্ট্রোল রুম । এ দিকে, জলপাইগুড়ি শহরের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলি বৃষ্টির জলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে । ফলে বিপাকে পড়েছেন শহরবাসী । বিশেষ করে পাণ্ডাপাড়া এলাকায় জল আটকে রয়েছে ।