জলপাইগুড়ি, 11 অগস্ট: রাজ্যে ঘটে চলা দুর্নীতি নিয়ে এবার তৃণমূলকে তোপ দাগলেন বিমান বসু ৷ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির পার্টি অফিসে উপস্থিত হয়ে বিমান বসু বলেন, "তৃণমূল-কংগ্রেস সমাজকে কলুষিত করার জন্য 11 বছরের মধ্যে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা কেউ করে দেখাতে পারেনি ৷" এদিন তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মহঃ সেলিমও ৷ তিনি জানান, অবশেষে একজন 'ডন' গ্রেফতার (Mohammed Salim Biman Bose on Anubrata Arrest) ৷
বিমান বসু বলেন, "ইডি-র র্যাডারে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের গ্রেফতার করা উচিৎ, আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গিয়েছে যাঁদের, তাঁদেরই গ্রেফতারই হওয়া উচিৎ। এর শিখর আরও অনেক গভীরে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হয়ে গেলেই আয় করার সূত্রটা বেরিয়ে যায়। জেলা সভাপতি হলে তো পোয়া বারো। মন্ত্রী ও বিধায়ক হলে আরও সুযোগ সুবিধা হয়। পদে থেকে তাঁরা এই কাজগুলো করেন। পুলিশদের নামও জড়ান তাঁরা। সমাজকে দূষিত করছেন ওনারাই।
অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মহম্মদ সেলিম বলেন, "অবশেষে একজন বড় ডন গ্রেফতার হলেন।" মাফিয়া, চোর, ডাকাতদের সঙ্গী করে লুট করছে। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্যারালাল প্রশাসন তৈরি করে ডাকাতি চালিয়েছে। বীরভূমে বালির খাদান, বালির পাহাড়। জেলা শাসকের হাত বাঁধা। বহু সিপিএম কর্মী খুন হয়েছে। একটাও এফআইয়ার হয়নি, তদন্ত হয়নি। সমস্ত লুটের টাকা কালীঘাটে পৌঁছেছে।"
আরও পড়ুন: অনুব্রত গ্রেফতার হতেই গান বাঁধলেন অসীম, সুরে-ছন্দে কটাক্ষ কেষ্টকে
তিনি আরও বলেন, "সিবিআই অনেক দেরি করেছে। আমরা দাবি করছি, 2009 সাল থেকে বীরভূমের সমস্ত ঘটনার তদন্ত হোক। ঘনিষ্ঠতা, হাতে হাত না থাকলে এই অপারেশন চলে না। আমরা চাই, সমস্ত অপরাধ এক জায়গায় করে তদন্ত করা উচিত। রাজ্য সরকার সাহায্য না-করলে আমরা বামপন্থীরা সমস্ত ঘটনার অপরাধের তথ্য কম্পাইল করে দেব।"