আমতা, 26 ফেব্রুয়ারি : টিআই প্যারেডে মিলল না আনিশ খানের হত্যাকারী, জানিয়েছেন সালেম খান ৷ শুক্রবার হাওড়া কোর্টের তিনজন আইনজীবীকে নিয়ে সালেম খান, আনিশের দাদা সাবির খান-সহ সিট-এর সদস্যরা উলুবেড়িয়া উপ সংশোধনাগারে যান । সেখানে ছিলেন বারাসত আদালতের বিচারক । তাঁর উপস্থিতিতে হয় হবে টিআই প্যারেড ৷ এরপর ছেলে হারানো সালেম খানের সঙ্গে দেখা করতে হাওড়ার আমতায় যান বামফ্রন্টের প্রবীণ নেতা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র-সহ একটি প্রতিনিধি দল (Veteran Left Front leader Biman Bose meets Anish Khan Father in Amta Howrah) ৷
তাঁর সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল সরকারকে খোঁচা মেরে সাংবাদিকদের বিমান বসু বলেন, "আনিশের বাবার পিঠের শিরদাঁড়া সোজা আছে । নকল লোকেদের দাঁড় করিয়ে শনাক্তকরণ হয় না ৷" তাঁর দাবি, ঘটনার দিন রাতে যারা এসে আনিশকে খুন করল, তাদের গ্রেফতার করতে হবে । তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রবীণ নেতা বলেন, "সব বিষয় নিয়ে খেলে । তবে রাজনীতিটা খেলার জিনিস নয় । আজ তদন্তের ব্যাপারেও রাজ্য সরকার খেলছে ৷"
বিমান বসুর দাবি, টিআই প্যারেডে নকল লোকেদের সাজিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল । "আসল লোকেদের নিয়ে এলে, টিআই প্যারেডে আবার যাব", প্রবীণ বামনেতাকে জানিয়েছেন সালেম খান ৷ আনিশ খান নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের একজন মেধাবি ছাত্র ৷ তাকে সরিয়ে দিয়ে দেশের সম্পদ নষ্ট করা হল, আক্ষেপ করেন বামনেতা । তাঁর অভিযোগ, সরকারের চক্রান্তে এই ধরনের কাজ হচ্ছে এবং তা গণতন্ত্রের পক্ষে অশুভ ।
আরও পড়ুন : Anish Khan death case: বারাসত জেলা বিচারপতির উপস্থিতিতে টিআই প্যারেডে আনিশের বাবা
এই মামলায় প্রবীণ বাম নেতা আমতা থানার প্রাক্তন ওসিকে গ্রেফতারের দাবি জানান । এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত থাকা প্রসঙ্গে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, সেদিন রাতে গাড়িটা কোথায় ছিল ? তারা কোন পথ দিয়ে এল ? আর কোন পথ দিয়ে ফিরে গেল ? তিনি জানান, ওই রাতে যারা এসেছিল, তারা সিসিটিভি লাগানো রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা দিয়ে এসেছিল ৷ যাতে তাদের যাওয়া-আসার কোনও প্রমাণ না থাকে । তিনি বলেন, "তার মানে কোথাও পরিকল্পনা হয়েছে ৷"
সালেম খান জানিয়েছেন, এখনও প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার হয়নি । তিনি বলেন, "আমি কী ভাবে খুশি হতে পারি ?" তাঁর দাবি, ওইদিন রাতে যারা এসেছিল, তারা এই টিআই প্যারেডে নেই । তাই তাদের চেনারও প্রশ্ন নেই ।
উল্লেখ্য কলকাতা আদালতের নির্দেশে টিআই প্যারেডে ধৃত দুই পুলিশকর্মীকে দাঁড় করানো হয় । কিন্তু তাদের চিহ্নিত করতে পারেননি মৃত আনিশের বাবা । স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি প্রকৃত দোষী এখনও অধরা ? নাকি সত্যিই কোনও পূর্বপরিকল্পিত ছক রয়েছে । অন্যদিকে ধৃত এই দুই পুলিশকর্মী গতকাল দাবি করে, তাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে । 15 দিন বাদে আদালতে সওয়াল জবাবে আনিশ হত্যাকাণ্ডের মোড় নতুন দিকে ঘুরতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।
আরও পড়ুন : Anish Khan Death Case : কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ, অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে আমতা থানার ওসি