কালিম্পং, 6 এপ্রিল: টানা পাঁচদিন নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে খোঁজ মিলল ভারতীয় সেনার ৷ তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে দুর্ঘটনার কবলে পরা ভারতীয় সেনার ওই জওয়ানের দেহ। সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দলের লাগাতার তল্লাশি অভিযানের পর বুধবার ওই জওয়ানের দেহ পাওয়া যায় তিস্তা নদী থেকে ৷ কয়েকদিন আগে একটি দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভারতীয় সেনার ওই জওয়ান ৷
সেনা ও কালিস্পং জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই সেনার নাম ঠাকুর রাসাঙজি সাভাজি (25)। তিনি ভারতীয় সেনায় সিপাই পদমর্যাদায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর খোঁজেই তিস্তা নদীতে তিস্তা র্যাফটার ও রাজ্য পুলিশের বিশেষ ডুবুরির দল নামানো হয়। সঙ্গে ছিলেন সেনার দক্ষ আধিকারিকরা ৷ জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে নদী থেকে ওই সেনার দেহ উদ্ধার হয়েছে।
গত 1 এপ্রিল শনিবার সিকিম থেকে সেভক মিলিটারি স্টেশনে ফেরার সময় কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার এলাকার কাছে 10 নম্বর জাতীয় সড়কে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় তলিয়ে যায় সেনার একটি ট্রাক। পুলিশ সূত্রে খবর, সেই ট্রাকে থাকা অন্য় এক জওয়ান খাদ দিয়ে গাড়িটি পরার সময় লাফিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম হলেও, ট্রাক-সহ নদীতে তলিয়ে যান ঠাকুর রাসাঙজি সাভাজি। খবর পেয়েই নদীতে তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা, পুলিশ, তিস্তা র্যাফটার ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। টানা পাঁচদিন তল্লাশির পর দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হন তারা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, গুজরাটের মেহসানা জেলার সিলিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই জওয়ান। এদিন তাঁর দেহ কালিম্পং জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর সেনার হাতে তুলে দেয় পুলিশ প্রশাসন। সেখান থেকে শিলিগুড়ি সংলগ্ন সেভক মিলিটারি স্টেশনে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়ে অবশেষে দেহ তাঁর বাড়ির উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার পাঠানো হবে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। পরিবারে ওই জওয়ানের স্ত্রী ও 9 মাসের একটি সন্তান রয়েছে বলে খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: নাগরিকদের জন্য দুঃসংবাদ, বকেয়া করে ছাড় দেওয়া বন্ধ করছে কলকাতা কর্পোরেশন
বিগত চার বছর ধরে সিকিমের মতো পাহাড়ি রাস্তায় সেনার ট্রাক ও বিভিন্ন গাড়ি চালানোর কাজে নিযুক্ত ছিলেন ঠাকুর রাসাঙজি নামে ওই জওয়ান। তার আগে জম্মু-কাশ্মীরেও মোতায়েন ছিলেন তিনি। ওইদিন ঘটনাটি কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও সেনা আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনার কর্নেল অঞ্জন কুমার বাসুমাতারি বলেন, "খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তবে সেনা, পুলিশ ও এনডিআরএফের যৌথ অভিযানে ওই সেনার দেহ উদ্ধারে সক্ষম হয়েছে। ঘটনাটি কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"