মথুরাপুর, 27 জুন: সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে । সেই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যকে তাঁর নিজের গাড়ি থেকে নামিয়ে বেশ কয়েকজন তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছেন এবং তাঁকে মারধর করছেন । ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দক্ষিণ 24 পরগনায় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷
গতকাল মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্য । তাঁর গাড়ি যখন মথুরাপুর এলাকায় পৌঁছয়, সেই সময় বেশ কয়েকজন বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়ি আটকায় এবং তাঁকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, গাড়ি থেকে নামার পর বেশ কয়েকজন মিলে প্রদ্যুৎ বৈদ্যের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেন এবং তাঁকে মারধর করা হয় ৷
যদিও ঘটনাস্থলে মথুরাপুর থানার পুলিশ থাকার কারণে নিরাপদে বিজেপি জেলা সভাপতি প্রদ্যুৎ বৈদ্যকে উদ্ধার করা হয় । সেই ঘটনারই ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি হয়েছে ৷ ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ দাবি করছে যে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে ।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা মোজাম্মেল রাজ বলেন, বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা এমন কাজ করতে পারেন না । তৃণমূলের কিছু কর্মী সমর্থক ওই মিছিলে ঢুকে পড়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন । বিজেপির মধ্যে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল এই এলাকায় নেই । রাজ্যের শাসক দল নিজেদের লোক পাঠিয়ে এই গন্ডগোল করিয়েছে ।
আরও পড়ুন: শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত বাসন্তী, আহত পুলিশ-সহ 2 তৃণমূল কর্মী
যদিও গেরুয়া শিবিরের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপি হালদার বলেন, "তৃণমূলের এত খারাপ সময় আসেনি যে, বিজেপির মিটিংয়ে তাদেরকে লোক পাঠাতে হয় গন্ডগোল করার জন্য । এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ৷ এ বিষয়ে আমাদের দলের কোনও কর্মী সমর্থক বা আমাদের দল কোনও ভাবেই জড়িত নয় ।" বিজেপি নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে পারছে না বলেই তৃণমূলের উপর মিথ্যা দোষারোপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি ।
এর আগেও বিজেপির এই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা । ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় তদন্ত শুরু করেছে মথুরাপুর থানার পুলিশ ।