ETV Bharat / state

কোচবিহারে জলঢাকা নদীর গর্ভে প্রায় 200 বিঘা কৃষিজমি , মাথায় হাত চাষিদের

author img

By

Published : Aug 1, 2020, 2:06 PM IST

জলঢাকা তীরবর্তী শতাধিক কৃষকের একমাত্র ভরসা নদীচরের উর্বর কৃষিজমি । এলাকার প্রায় 100 টি পরিবার কৃষিজমির উপর নির্ভরশীল । কিন্তু , সেই উর্বর জমিগুলি যেভাবে নদীর তলায় চলে যাচ্ছে , তাতে জমি হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা শতাধিক কৃষকের ।

Coochbehar
নদীগর্ভে প্রায় 200 বিঘা কৃষিজমি

কোচবিহার , 1 অগাস্ট : টানা বৃষ্টিতে কোচবিহারের জলঢাকা নদীর জলস্তর বাড়ছে । ফলে, ক্রমশ ক্ষয়ে পড়ছে নদীর পাড় । প্রায় কয়েকশো বিঘা জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে । গত বছরও জলঢাকা নদীর পাড় ভেঙে কয়েক বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে গিয়েছিল । এবারও একই ঘটনা ৷ ফলে, জীবিকাহীন হওয়ার আশঙ্কায় শতাধিক কৃষক ।

কোচবিহারের মাথাভাঙা 2 নম্বর ব্লকের ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শুধুমাত্র খারিজা ক্ষেতি গ্রামেই জলঢাকা নদীর তলায় চলে গিয়েছে ফসলসহ প্রায় 200 বিঘা জমি। স্বাভাবিকভাবেই নদী ভাঙন নিয়ে চিন্তিত এলাকার মানুষ । বাসিন্দারা দাবি তুলেছে , প্রশাসনের তরফে উদ্যোগ নিয়ে দ্রুত ভাঙন রোধের ব্যবস্থা করা হোক । তা না হলে এলাকার অনেক পরিবারের রুজি-রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে ৷

জলঢাকা তীরবর্তী শতাধিক কৃষকের একমাত্র ভরসা নদীচরের উর্বর কৃষিজমি । তাদের পূর্বপুরুষরা ওই জমিগুলিতে চাষ করত, বসতিও ছিল ৷ বর্তমানে সেই এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসতি বানিয়ে কেউ চাষাবাদ করছে । কেউ ঝুঁকি নিয়েই স্থায়ীভাবে বসবাস করছে ৷ প্রত্যেকের মূল জীবিকা নদী চরের উর্বরজমিতে চাষাবাদ করা ৷ এলাকার প্রায় 100টি পরিবার কৃষিজমির উপর নির্ভরশীল । কিন্তু, সেই উর্বর জমিগুলি যেভাবে নদীর তলায় চলে যাচ্ছে , তাতে জমি হারিয়ে রোজগারহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা শতাধিক কৃষকের ।

এলাকার বাসিন্দা জাকির আলম , আবেদ আলি , আইজ়ল মিঞারা জানান , এলাকার 100টি-র বেশি পরিবার নদীর এই পুরানো চরের কৃষিজমির উপর নির্ভরশীল । এখানকার কৃষিজমি আলু ও শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত । তাছাড়াও, এখানে প্রচুর পাট ও কলার চাষ হয় । এই মরশুমে আবাদি পাট খেত ও কলাবাগান নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে ৷ অভিযোগ , এলাকার নদী ভাঙনের বিষয়টি গত বছর প্রশাসনকে জানানো হলেও এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন ।

শুনে নিন এক চাষির বক্তব্য

ফুলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ধনঞ্জয় অধিকারী জানান , খারিজা ক্ষেতি এলাকায় নদী ভাঙনের বিষয়টি তিনি শুনেছেন । এই বিষয়ে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন ৷ পাশপাশি , ওই এলাকা পরিদর্শন করবেন ।

মাথাভাঙা মহকুমা সেচ বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে , সংশ্লিষ্ট ওই এলাকায় যে কৃষিজমি ভাঙছে , তা বাঁধের বাইরের অরক্ষিত জমি । তাই এই মুহূর্তে ভাঙন রোধের বিষয়ে পদক্ষেপ করা হচ্ছে না ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.