জোহানেসবার্গ, 14 ডিসেম্বর: গত ম্যাচেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৷ সিরিজের শেষ ম্যাচেও সূর্য তেজের সাক্ষী জোহানেসবার্গ ৷ পোর্ট এলিজাবেথে যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার শুরু করেন সূর্যকুমার যাদব ৷ এদিন শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন যশস্বী জয়সওয়াল ৷ 41 বলে 60 রানের ঝকঝকে ইনিংস সাজান 6টি চার 2টি ছক্কা দিয়ে ৷ শুভমন গিল এবং তিলক বর্মা দ্রুত প্যাভেলিয়নে ফিরলেও সূর্যর সঙ্গে তিনি গড়েন 112 রানের পার্টনারশিপ ৷ তবে সূর্য এদিন তাঁর তেজে ভস্ম করে দিলেন নান্দ্রে বার্গার, লিজাদ উইলিয়ামসদের ৷ তাবরাজ শামসি থেকে শুরু করে আন্দিলে ফেকলুকওহায়ো কেউই বাঁচাতে পারেননি তাঁর রোষ থেকে ৷
মাত্র 55 বলে এদিন নিজের শতরান পূর্ণ করেন সূর্যকুমার ৷ 7টি চার আর 8টি ছয় দিয়ে 181.82 স্ট্রাইক রেটে 100 রানের এই ইনিংস উপহার দেন তিনি ৷ যদিও শেষ পর্বে পরপর উইকেট পতনের জেরে ছবির ফিনিশিং টাচটা মধুরেন সমাপয়েৎ হল না ৷ বিশেষত, দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটিং লাইনআপের সামনে কোনও স্কোরকেই নিরাপদ বলা যায় না ৷ তবে সূর্য দেখিয়ে দিলেন টি-20 তাঁর সঠিক বিচরণ ক্ষেত্র ৷ ওয়ান-ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর ব্যাটিং দেখে আশাহত হয়েছিলেন অনেকেই ৷ তবে টি-20 ফরম্যাটে সত্যিই সূর্য একমেবাদ্বিতীয়ম ৷
ভয়-ডর এড়িয়ে খোলা মনে যেভাবে একের পর এক দর্শনীয় শট খেলে গেলেন তিনি তা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে থেকে যাবে অনেক দিন ৷ বিশেষত দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনও ভারতীয় ব্যাটারের এমন আস্ফালন অনেকদিন দেখেননি ক্রীড়াপ্রেমীরা ৷ নির্ধারিত 20 ওভারে 7 উইকেট খুইয়ে ভারত এদিন সংগ্রহ করেছে 201 রান ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বাধিক দু'টি করে উইকেট শিকার করেন কেশব মহারাজ এবং উইলিয়ামস ৷ একটি করে উইকেট পেয়েছেন শামসি এবং বার্গার ৷
আরও পড়়ুন: