ওয়াশিংটন, 12 জানুয়ারি: ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে প্যালেস্তাইনকে সাহায্য করায় ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথিদের উপর তীব্র হামলা চালাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী ৷ হুথিদের ব্যবহৃত এক ডজনেরও বেশি এলাকায় বৃহস্পতিবার বোমাবর্ষণের পাশাপাশি যুদ্ধজাহাজ থেকে ছোড়া টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ব্যাপক প্রতিরোধমূলক হামলা চালানো হয় ৷ বেশ কয়েকজন মার্কিন আধিকারিক অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে এ কথা জানিয়েছেন । তাঁরা জানান যে, টার্গেট করা হয়েছে লজিস্টিক্যাল হাব, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এবং অস্ত্রভান্ডারগুলিতেও ৷
ইজরায়েলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছিল হুথিরা ৷ তারই পালটা জবাব দিয়ে হুথিদের বিরুদ্ধে এটা আমেরিকার ও ব্রিটেনের সামরিক প্রতিক্রিয়া ৷ এর আগে, হুথিদের আক্রমণ বন্ধ করতে বলেছিল হোয়াইট হাউস এবং অংশীদার দেশগুলি ৷ আক্রমণ বন্ধ না করলে হুথিদের সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে বলে চূড়ান্ত সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল ৷ তবে তার এক সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই ইয়েমেনে জোরালো হামলা চালানো হল বলে খবর ৷ সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আধিকারিকরা ।
সতর্কতাটি কিছু স্বল্পকালীন প্রভাব ফেলেছিল বলে মনে করা হচ্ছিল, কারণ বেশ কয়েকদিন ধরে আক্রমণ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । তবে, মঙ্গলবার হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে তাদের সর্বকালের বৃহত্তম ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ৷ মার্কিন এবং ব্রিটিশ জাহাজ ও আমেরিকান ফাইটার জেট 18টি ড্রোন, দুটি ক্রুজ মিসাইল এবং একটি অ্যান্টি-শিপ মিসাইল গুলি করে নামিয়েছে ৷ এরপর বৃহস্পতিবার হুথিরা এডেন উপসাগরে একটি জাহাজ-বিরোধী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যা দেখা গিয়েছে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে ৷ কিন্তু জাহাজে তা আঘাত করেনি ।
হুথি বিদ্রোহীরা 19 নভেম্বর থেকে কয়েক ডজন ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র-সহ 27 টি হামলা চালিয়েছে ৷ তারা বৃহস্পতিবার বলেছে যে, ইয়েমেনে তাদের লক্ষ্য করে আমেরিকান বাহিনী যে আক্রমণ চালাবে, ভয়ংকর ভাবে তার সামরিক জবাব দেবে তারা ৷
আরও পড়ুন:
