ETV Bharat / city

মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে একাধিক প্রস্তাব শিক্ষক মহলের

কবে হবে 2021 সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা তা নিয়ে একাধিক প্রস্তাব ও সুপারিশ ওঠে । কোরোনা পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত 2021 সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উভয়ই।

teachers_recommendation
teachers_recommendation
author img

By

Published : Nov 2, 2020, 10:06 PM IST

Updated : Nov 2, 2020, 10:27 PM IST

কলকাতা, 2 নভেম্বর : আগামী বছর অর্থাৎ 2021 সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে হবে, আদৌ হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহল। এই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে একাধিক প্রস্তাব ও সুপারিশ দিল রাজ্যের শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক মহল। সেই সুপারিশগুলির মধ্যে একাধারে যেমন, বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মার্চ মাসে একসঙ্গে নেওয়ার কথা রয়েছে, তেমনি পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে সিলেবাস কম করে তার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথাও উঠেছে। আবার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই সব পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হোক, সেই সুপারিশও করা হয়েছে।

প্রতি বছর নভেম্বর মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচনী অর্থাৎ টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, কোরোনা আবহে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস হলেও রাজ্যের সব পড়ুয়া যে তাতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন তা আশা করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, কালীপুজোর পর রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে নভেম্বর মাসে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া কার্যত অসম্ভব বলে জানাচ্ছে শিক্ষক মহল। এ ছাড়া, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাধ্যমিক শেষের পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে সাধারণত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, কোরোনা পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত 2021 সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উভয়ই।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে থেকে শুরু হবে, আদৌ পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে কিছুদিন আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে বেশ কয়েকটি সুপারিশ পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি। আজ আবার শিক্ষা দপ্তরের কাছে কিছু সুপারিশ জানানো হয় স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের তরফে।

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির তরফে পাঠানো প্রস্তাবগুলি নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, "এই বছর তো 30 নভেম্বরের মধ্যেও স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। দশম শ্রেণির দুই মাস ক্লাস হলেও দ্বাদশের কোন ক্লাস করার সুযোগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে যদি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা করা হয় তাহলে আমরা বলেছি, সিলেবাসটা যতদূর সম্ভব কমাতে এবং যদি টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে সবাইকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে। এ ছাড়া, পরীক্ষাটা যদি জুনে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলেই একমাত্র টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে আমরা জানিয়ে দিয়েছি ওই চিঠিতেই। আমরা ওই চিঠি শিক্ষামন্ত্রী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছি।"

টেস্ট পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নেওয়া অসম্ভব। তা এই বছরের জন্য সকল ছাত্র- ছাত্রীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। এই সুপারিশ জানানো হয়েছে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের তরফেও‌। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওই ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। সব দিক বিবেচনা করে, মার্চ মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হোক। সেক্ষেত্রে একই সঙ্গে দুটি পরীক্ষা একদিন অন্তর নেওয়া, পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি, আলাদা আলাদা কেন্দ্রে একই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নেওয়া যায় কিনা সেটা ভাবা যেতে পারে। প্রশ্নের ধরণ বদলে MCQ ধাঁচে করা যায় কিনা তা ভাবতে অনুরোধ করছি। উভয় ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা 70 নম্বরের হোক। বাকি 30 নম্বর প্রোজেক্ট বা ফিল্ড স্টাডিস বা সার্ভে ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ হোক। এগুলো স্কুল জমা নেবে। আমরা এই সুপারিশগুলোও করেছি।"

কলকাতা, 2 নভেম্বর : আগামী বছর অর্থাৎ 2021 সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে হবে, আদৌ হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহল। এই পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে একাধিক প্রস্তাব ও সুপারিশ দিল রাজ্যের শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক মহল। সেই সুপারিশগুলির মধ্যে একাধারে যেমন, বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মার্চ মাসে একসঙ্গে নেওয়ার কথা রয়েছে, তেমনি পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে সিলেবাস কম করে তার ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথাও উঠেছে। আবার উদ্ভূত পরিস্থিতিতে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে টেস্ট পরীক্ষা ছাড়াই সব পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হোক, সেই সুপারিশও করা হয়েছে।

প্রতি বছর নভেম্বর মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচনী অর্থাৎ টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, কোরোনা আবহে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। অনলাইনে ক্লাস হলেও রাজ্যের সব পড়ুয়া যে তাতে অংশগ্রহণ করতে পারছেন তা আশা করা যায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, কালীপুজোর পর রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে নভেম্বর মাসে টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া কার্যত অসম্ভব বলে জানাচ্ছে শিক্ষক মহল। এ ছাড়া, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়। মাধ্যমিক শেষের পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে সাধারণত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, কোরোনা পরিস্থিতিতে এখনও পর্যন্ত 2021 সালের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেনি মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ উভয়ই।

বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা কবে থেকে শুরু হবে, আদৌ পরীক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। তাই রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে কিছুদিন আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে বেশ কয়েকটি সুপারিশ পাঠিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতি। আজ আবার শিক্ষা দপ্তরের কাছে কিছু সুপারিশ জানানো হয় স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের তরফে।

পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির তরফে পাঠানো প্রস্তাবগুলি নিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকার বলেন, "এই বছর তো 30 নভেম্বরের মধ্যেও স্কুল খোলার কোনও সম্ভাবনা নেই। দশম শ্রেণির দুই মাস ক্লাস হলেও দ্বাদশের কোন ক্লাস করার সুযোগ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে যদি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা করা হয় তাহলে আমরা বলেছি, সিলেবাসটা যতদূর সম্ভব কমাতে এবং যদি টেস্ট পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে সবাইকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে। এ ছাড়া, পরীক্ষাটা যদি জুনে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলেই একমাত্র টেস্ট পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে আমরা জানিয়ে দিয়েছি ওই চিঠিতেই। আমরা ওই চিঠি শিক্ষামন্ত্রী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়েছি।"

টেস্ট পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নেওয়া অসম্ভব। তা এই বছরের জন্য সকল ছাত্র- ছাত্রীকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। এই সুপারিশ জানানো হয়েছে স্টেট ফোরাম অফ হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের তরফেও‌। প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওই ফোরামের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। সব দিক বিবেচনা করে, মার্চ মাসেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হোক। সেক্ষেত্রে একই সঙ্গে দুটি পরীক্ষা একদিন অন্তর নেওয়া, পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি, আলাদা আলাদা কেন্দ্রে একই দিনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নেওয়া যায় কিনা সেটা ভাবা যেতে পারে। প্রশ্নের ধরণ বদলে MCQ ধাঁচে করা যায় কিনা তা ভাবতে অনুরোধ করছি। উভয় ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা 70 নম্বরের হোক। বাকি 30 নম্বর প্রোজেক্ট বা ফিল্ড স্টাডিস বা সার্ভে ইত্যাদির জন্য বরাদ্দ হোক। এগুলো স্কুল জমা নেবে। আমরা এই সুপারিশগুলোও করেছি।"

Last Updated : Nov 2, 2020, 10:27 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.