কলকাতা, 18 জুন: সদ্য হরিয়ানা থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে কলকাতা পুলিশে যোগ দিয়েছে বেলা ৷ তবে দৈনন্দিন কসরতের সময় তাকে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ কী এমন হল বেলার ? ডাক্তারি পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর জানা গিয়েছে, সমস্যাটা বেলার চোখে ৷ তার দুটি চোখেই পড়েছে সাদা পুরু আস্তরণ ৷ যার ফলে পুলিশি কাজকর্মে তাকে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ৷ লক্ষ্যে স্থির হওয়া যাচ্ছে না ৷
বেলা কলকাতা পুলিশের সারমেয় বিভাগের একনিষ্ঠ কর্মী ৷ তবে ল্যাব্রাডর প্রজাতির এই কুকুরকে নিয়ে বর্তমানে চিন্তায় রয়েছে লালবাজার ৷ এ ব্যাপারে বেলগাছিয়ার পশু চিকিৎসালয়ের ডাক্তারদের পরামর্শ নেওয়া হয় । কিন্তু সে ভাবে সমস্যার সমাধান কেউ করতে পারেননি । পরামর্শ নেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ স্কোয়াডের পশু চিকিৎসকেরও । কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি ৷
চিকিৎসকদের থেকে বেলার হ্যান্ডলার শীর্ষেন্দু সরকার এবং কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, বাইরের চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া এ ক্ষেত্রে খুব প্রয়োজনীয় । কারণ যত দিন অতিবাহিত হবে, চোখের সমস্যা তত বৃদ্ধি পাবে । অবহেলা করলে এর পরিণতি খুবই ভয়াবহ হতে পারে । এই কথা শোনার পর আপাতত কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ঠিক করা হয়েছে যে, ওই ল্যাব্রাডর প্রজাতির সারমেয়টিকে নিয়ে যাওয়া হবে চেন্নাই (Kolkata Police dog squad member)।
কিন্তু এখানেই সমস্যার জট তৈরি হয়েছে । যেহেতু সারমেয়টি কলকাতা পুলিশের বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের অধীনে রয়েছে, ফলে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই সে ভাবে আর সংশ্লিষ্ট সারমেয়টিকে কাজে লাগাতে পারবেন না পুলিশকর্মীরা । পাশাপাশি এই মুহূর্তে সব থেকে বড় প্রশ্ন হল, চেন্নাইয়ে চিকিৎসার জন্য যে খরচ হবে তার বন্দোবস্ত কীভাবে হবে এবং বিশেষ করে কে বা কারা ওই সারমেয়টিকে চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে নিয়ে যাবেন ? এবং সেই ব্যক্তির আর্থিক দায়ভার কোথা থেকে বহন করা হবে সেই নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন (Dog squad member to be treated in Chennai)।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের ডগ স্কোয়াডের এক পুলিশকর্মী বলেন যে, ডগ স্কোয়াডে একাধিক নিয়মবহির্ভূত দায়ভার তাঁদের উপর এক প্রকার বলপূর্বক চাপিয়ে দেন উঁচুতলার কর্তারা । এ ক্ষেত্রেও সে রকমই কিছু করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি ৷ বেলাকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার জন্য সে রকম ভাবেই কারও উপর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে (Lal bazar news)৷