হায়দরাবাদ, 3 অক্টোবর: হোমওয়ার্ক করে আনেনি ৷ এতেই রেগে গিয়েছিলেন শিক্ষক ৷ যার শাস্তি হিসেবে খুদে পড়ুয়ার মাথায় স্লেট দিয়ে মেরেছিলেন ৷ আঘাতের অভিঘাত এতটাই প্রবল ছিল যে তার জেরে মৃত্যু হল খুদে পড়ুয়ার ৷ মৃত ছাত্রের নাম হেমন্ত ৷ সে তেলেঙ্গানার রামন্তপুর শহরের বিবেক নগরের কৃষ্ণবেণী ট্যালেন্ট স্কুলের আপার কেজিতে পড়ত ৷ শনিবার বাড়ির কাজ করে না আনায় শিক্ষক ওই পড়ুয়ার মাথায় স্লেট দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ ৷
এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই স্কুল কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ হেমন্তকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে ৷ কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি ৷ আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার মৃত্যু হয় তার ৷ ছেলের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ হয়ে বাবা-মা ও আত্মীয়-পরিজনরা পড়ুয়ার দেহ নিয়ে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনার যথোপযুক্ত তদন্ত করে ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নেয় মৃত ছাত্রের পরিবার ৷ শেষকৃত্যের জন্য মৃতদেহ নিয়ে চলে যান পরিবারের সদস্যরা ৷
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্র হেমন্ত বেশ কিছুদিন ধরেই স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিল ৷ তবে এই ঘটনা ঘটে যাবে তা কেউই ভাবতে পারেননি ৷ পড়ুয়াদের যত্ন নেওয়ার কথা যাদের, সেই শিক্ষকরা কখনও কখনও শাসন করতে গিয়ে পরিণতির কথা না ভেবেই কঠোর শাস্তি দিয়ে ফেলেন ৷ তবে এই ধরনের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় শিক্ষকদের দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করা উচিত ৷ প্রয়োজন পড়লে কঠোর হতে হবে কিন্তু কখনওই তার জন্য সীমা অতিক্রম করা উচিত নয় ৷ কারণ অতিরিক্ত শাসন করলে হিতে বিপরীত হতে পারে ৷ এক্ষেত্রে যেমনটা হল। মৃত্যু কখনওই কাম্য নয় ৷ তাই সবসময় ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি বিবেচনা করেই শিক্ষা দেওয়া উচিত ৷
আরও পড়ুন : মায়ের বিরুদ্ধে থানায় ছোট্ট খুদে, পুলিশের কাছে পরিবারকে বাঁচানোর আর্জি
