তরণ তারণ (পঞ্জাব), 6 ডিসেম্বর: ফের ভারতের আকাশসীমায় প্রবেশ করল ড্রোন (Drone) ৷ পাকিস্তানের দিক থেকেই ওই ড্রোনটি ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে 5 ডিসেম্বর মধ্যরাতে ৷ বিএসএফের পঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের জওয়ানরা ওই ড্রোন নামায় ৷ ড্রোনে একটি প্যাকেট আটকানো ছিল ৷ সেই প্যাকটে থেকে হেরোইন (Heroin) উদ্ধার হয়েছে বলে খবর ৷
মঙ্গলবার বিএসএফের পঞ্জাব ফ্রন্টিয়ারের (BSF Punjab Frontier) একটি সূত্র থেকে জানানো হয়েছে যে ওই রাজ্যের তরণ তারণের কালিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে ৷ মধ্যরাতে যখন জওয়ানরা পাহারা দিচ্ছিলেন, তখন কোনও কিছুর শব্দে তাদের সন্দেহ হয় ৷ তখনই তাঁরা ড্রোনটিকে দেখতে পান ৷ ড্রোন থেকে প্রায় আড়াই কেজি মাদক উদ্ধার হয়েছে ৷
পাকিস্তানের সীমান্ত (Pakistan Border) থেকে এভাবে ড্রোন উড়ে আসার ঘটনা নতুন নয় ৷ আগেও একাধিকবার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৷ সেনাবাহিনীর দাবি, কখনও গোয়েন্দাগিরি করতে, কখনও মাদক ও অস্ত্র পাচার করতে ড্রোন ব্যবহার করা হয় সীমান্তের ওপার থেকে ৷
নভেম্বরের মাসের 8 তারিখ রাতে পাকিস্তান সীমান্তে একটি ড্রোন গুলি করে নামায় বিএসএফ ৷ ঘটনাটি ঘটে পঞ্জাবের ফিরোজপুর জেলায় ৷ পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোনটি ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল ৷
সেই সময় বিএসএফের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ফিরোজপুরের একটি গ্রামে ঘটে ৷ ওই গ্রাম একেবারে পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত ৷ সেখানে বিএসএফের 136 নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ৷ সেই রাতে 11টা 25 মিনিট নাগাদ জওয়ানরা একটি শব্দ শুনতে পান ৷ তখনই তাঁরা অনুমান করেন যে ড্রোন উড়ছে আকাশে ৷ পরে ড্রোনটিকে গুলি করে নামানো হয় (BSF Shoots Down Pak Drone) ৷ পরে ওই এলাকায় বিএসএফ ও পঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police) তল্লাশি অভিযান চালায় ৷ সেই অভিযান ওই ড্রোন উদ্ধার হয় ৷ নভেম্বরের শেষেও ফের ড্রোন উদ্ধার হয় পঞ্জাব থেকেই৷ পঞ্জাবের অমৃতসর জেলার চাহারপুর গ্রামে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর এই ঘটনাটি ঘটে ৷
আরও পড়ুন: পঞ্জাব সীমান্তে ড্রোনের বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত বিএসএফ, গোয়েন্দা বিভাগ