কলকাতা, 10 ফেব্রুয়ারি:সদ্য ঝাড়খান্ড-পুরুলিয়া সীমান্ত এলাকা থেকে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার হন মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী। এবার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে দক্ষিণ 24 পরগণার বাড়ি থেকে উদ্ধার হল একটি আগ্নেয়ায়ন্ত্র-সহ বেশ কয়েকটি সিমকার্ড এবং নগদ 21 হাজার টাকা। মিলেছে একটি ল্যাপটপও।
ইতিমধ্যেই ধৃত সব্যসাচী গোস্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দক্ষিণ 24 পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকা থেকে আরও এক মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা। মূলত সব্যসাচীর উপর দায়িত্ব ছিল এই রাজ্যে একাধিক স্লিপার সেলের অন্তর্গত সদস্যদের সক্রিয় করে তোলা ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, সব্যসাচী অত্যাধুনিক যোগাযোগের মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অন্য মাওবাদী নেতা এবং স্লিপারসেলের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
কীভাবে এই রাজ্যে স্লিপার সেলের সদস্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায় এবং নতুন করে তাদের চাঙ্গা করা যায়- সেই কাজের জন্য তাঁকে নিয়োজিত করা হয়েছিল। তবে সব্যসাচী গোস্বামী কীভাবে মাওবাদীদের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সেই বিষয়ে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ সম্পূর্ণ হয়নি বলে জানা গিয়েছে ৷ মাওবাদী নেতাকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে চলেছেন কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দার।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ধৃত মাওবাদী নেতা সব্যসাচী গোস্বামী ওরফে কিশোরদাকে জেরা করে মঙ্গলবার রাতে নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ ৷ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতের নাম সঞ্জয় মণ্ডল । দক্ষিণ 24 পরগনার বারুইপুরের চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় । তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা । মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ধৃত সব্যসাচীর মাথার 10 লক্ষ টাকা দাম ধার্য করেছিল এনআইএ । লালবাজার সূত্রে খবর, গত 11 জানুয়ারি পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি থেকে ওই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ।