কাংকের, 3 মার্চ: ছত্তিশগড়ের কাংকের জেলার হিদুর জঙ্গলে পুলিশ ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলিযুদ্ধ ৷ যে ঘটনায় বস্তার ফাইটার বাহিনীর কনস্টেবল রমেশ কুরেঠি শহিদ হয়েছেন ৷ তল্লাশি অভিযানে চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনীর উপর মাওবাদীরা হামলা চালায় ৷ প্রায় দেড় ঘণ্টা দু’পক্ষের মধ্যে গুলিযুদ্ধ চলে ৷ ঘটনায় এক মাওবাদীকে নিকেশ করেছে বাহিনী ৷ কাংকের জেলার পুলিশ সুপার আই কে এলেসেলা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৷
জেলা পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, আজ কাংকের থানার ছোটেবেঠিয়া এলাকার অন্তর্গত হিদুরের জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পায় বাহিনী ৷ এরপরই তল্লাশি অভিযানে নামে বস্তার ফাইটারের নিরাপত্তা বাহিনী, কাংকের ডিআরজি ও পুলিশ ৷ সেই তল্লাশি অভিযান চলাকালীন অতর্কিত বাহিনীর উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা ৷ কাংকের ডিআরজি, পুলিশ এবং নকশালদের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা জঙ্গলের মধ্যে এনকাউন্টার চলেছে ৷ পরবর্তী সময়ে পুলিশের বাহিনী, বিএসএফ এবং ডিআরজির তরফে আরও বাহিনী পাঠানো হয় ৷ বিদুরের জঙ্গল ও তার আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে ৷
তবে, এই হামলায় রাজ্য পুলিশের বস্তার ফাইটারের একটি ইউনিটের কনস্টেবল রমেশ কুরেঠি মাওবাদীদের গুলিতে শহিদ হয়েছেন ৷ নিহত রমেশ কুরেঠি কাংকের জেলার পাখাঞ্জুরের সঙ্গম গ্রামের বাসিন্দা ৷ এনকাউন্টারে এক মাওবাদীকে নিকেশ করেছে বাহিনী ৷ ঘটনাস্থল থেকে ওই মাওবাদীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ তার কাছ থেকে একটি একে-47 রাইফেল উদ্ধার করা হয় ৷
উল্লেখ্য, গত 27 ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিজাপুরের জংলা থানা এলাকার ছোট তুঙ্গালির জঙ্গলে পুলিশ ও মাওবাদীদের মধ্যে এনকাউন্টার হয়েছিল ৷ সেই এনকাউন্টারে আধাসেনা 4 নকশালকে খতম করে ৷ ঘটনাস্থল থেকে মৃত মাওবাদীদের দেহ ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় ৷ এর ঠিক একদিন আগে, সোমবার সন্ধেয় কাংকেরের কয়লিবেদা থানা এলাকার আলপারাস জঙ্গলে নকশাল এবং ডিআরজি বাহিনীর মধ্যে এনকাউন্টার হয় ৷ সেখানেও ডিআরজির গুলিতে তিন মাওবাদী মারা যায় ৷
আরও পড়ুন:
- বস্তারে বিজেপি নেতাকে কুপিয়ে খুন মাওবাদীদের
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান থেকে সাক্ষীদের এনে ফাঁসানো হয়েছে, শিলদাকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি মাওবাদী নেতার
- শিলদায় মাওবাদী হামলার 14 বছর পর সাজা ঘোষণা, দোষী সাব্যস্ত 23