কলকাতা, 26 সেপ্টেম্বর: রাস্তার ফুটপাথেই মশার বসত ৷ শহরের বিভিন্ন জায়গায় ফুটপাথের ধার ধরে রয়েছে গ্রিন বাফার জোন ৷ সবুজায়ন করতে লাগানো হয়েছে গাছের চারা ৷ সেই চারাগুলির সুরক্ষায় দেওয়া হয়েছে সুন্দর সবুজ, হলুদ রঙের বাঁশের বেড়া ৷ এদিকে বর্ষার মরশুমে সেই বাঁশের বেড়াই হয়েছে ডেঙ্গি মশা ইডিস ইজিপটাইয়ের আঁতুড়ঘর ৷ এমন জায়গায় ডেঙ্গির মশার খোঁজ পেয়ে মাথায় হাত কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্য বিভাগের ভেক্টর কন্ট্রোল বিভাগের কর্মীদের ৷ তবে এতে উদাসীনতার ছবির বদল হয়নি বিন্দুমাত্র ৷
বেশ কিছুদিন আগে বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, বিধান সরণি, এস এন ব্যানার্জি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ-সহ একাধিক রাস্তায় ফুটপাথের ধার ধরে এই গ্রিন বাফার জোন দেখা যাচ্ছে ৷ এত দিন এই জায়গাগুলিতে লোহার রেলিং লাগানো হত ৷ তবে পৌরনিগমের আর্থিক সংকট সামাল দিতে বিকল্প বাঁশের সুন্দর বেড়া দেওয়া শুরু হয়েছে ৷ দেখতেও ভালো লাগছে ৷
সাজানো রঙিন বাঁশের মাথাগুলিতেই বর্ষার জল জমেছে ৷ সেখানে ডিম পাড়ছে ডেঙ্গি মশা ৷ কিন্তু নজরদারি না-থাকায় প্রায় অধিকাংশ জায়গায় এই মশার বাড়বাড়ন্ত ৷ এই ঘটনা চোখে আসতেই প্যান্ডেল নিয়ে ক্লাব কর্তাদের সতর্ক করেছে ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা ৷ কর্পোরেশনের তরফে পুজো কমিটিগুলির কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে লম্বা বাঁশগুলির মাথায় বালি দেওয়া হয় ৷
কলকাতা পৌরনিগমের পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস জানান, বাঁশের মাথায় গর্ত থাকে ৷ আর সেই বাঁশটি লম্বা করে লাগানো হলে সেই গর্তে জল জমা হতে থাকে ৷ জমে থাকা জলে ইডিস ইজিপটাই মশারা ডিম পাড়ে ৷ সেখান থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা সৃষ্টি হয় ৷ তাই ওই ধরনের মাথাগুলি কোনও ভাবে ঢেকে দিতে হবে ৷ বালি দিয়ে বুজিয়ে দিলেও হবে ৷ জল যেন কোনও ভাবেই না জমতে পারে ৷ একটি টায়ারে জল জমে থাকলে সেখান থেকে দু-একটা নয় প্রায় 5 হাজার পূর্ণাঙ্গ মশার জন্ম হতে পারে ৷ আর বাঁশ বা ফুলদানির মতো সরু অংশে প্রায় একসঙ্গে শতাধিক ডেঙ্গি মশা জন্মাতে পারে ৷