কালিম্পংয়ে বন্যা পরিস্থিতির ছবি কালিম্পং, 4 অক্টোবর: রাতভর টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গোটা পাহাড়। তিস্তার জল আচমকা বেড়ে যাওয়ায় জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। নদীর স্রোতে ভেসে গিয়েছে একাধিক পাহাড়ি গ্রাম। বন্ধ হয়ে পড়েছে 10 নম্বর জাতীয় সড়ক। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। থমকে গিয়েছে সেবক রংপো রেল প্রকল্পের কাজও ।
রাত থেকে টানা বৃষ্টি হলেও ভোরের দিক থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে শুরু করে। তিস্তা বাজার, 10 মাইল, 11 মাইল-সহ একাধিক জায়গায় তিস্তা নদীর জলের তীব্র স্রোতে ভেসে গিয়েছে একাধিক ঘরবাড়ি। তবে প্রশাসন সতর্ক থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। মাঝরাত থেকেই প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ।
কালিম্পংয়ের তিস্তা বাঁধ নিয়েই উদ্বেগে রয়েছেন আধিকারিকরা। নদীর জল এতটাই বেড়ে যায় যে 10 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে জল বইতে শুরু করে। তার জেরে আজ বুধবার ভোর থেকে ওই সড়কের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে সমস্ত থানাকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ গ্রামে কাজে নামানো হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে ৷ মাইকে প্রচার চালিয়ে স্থানীয়দের সচেতন করার কাজও হচ্ছে।
শুধু কালিম্পং নয়, তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি আঘাত হেনেছে সিকিমের উপরও ৷ যে হারে তিস্তা নদীতে জল বাড়ছে তাতে এখানকার চুংথাং বাঁধ উপচে জল চলে আসছে ৷ তিস্তার লোয়ার ক্যাচমেন্টে সিংতাম ইন্দ্রেনী ফুট ব্রিজ ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ তার জেরে সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ এদিকে আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে । এর মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। এর ফলে পাহাড়ি অঞ্চলে ধসের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ বৃদ্ধি পেতে পারে নদীর জলস্তরও । দেশে বর্ষা বিদায় শুরু হলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষা যাওয়ার এখন কোনও সম্ভাবনা নেই ।
আরও পড়ুন : দু'দিন থেকে টানা বৃষ্টির জের, কালিম্পংয়ে জাতীয় সড়কে ধসে বিপাকে পর্যটকরা