কলকাতা, 26 জানুয়ারি : "সংবাদমাধ্যম আমাদের বেসুরো বলছে । তৃণমূল দলের মধ্যে আমার ক্ষোভ অভিমান জমেছে । সোমবার আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী সভায যাতে বিতর্ক সৃষ্টি না হয়, তাই আজকে আমার এই ক্ষোভ রাখলাম মানুষের কাছে ।" বললেন প্রবীর ঘোষাল । জানালেন, "আমি দলের শুদ্ধিকরণের কথাও প্রস্তাব দিয়েছি । আমি বলেছিলাম পচা মুখ সরিয়ে দিতে হবে ।"
তিনি বলেন, "কয়েকটি ক্ষোভের মধ্যে একটি হল কানাইপুর হীরালাল পাল কলেজে গভর্নিং বডি তৈরি হয় আমার সুপারিশে । যেহেতু আমি বিধায়ক, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি । কিন্তু প্রশাসনিক ভবন তৈরি হওয়ার পর উদ্বোধনে ডাকা হয়নি । আমন্ত্রণপত্রে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও আমার নাম নেই । এ বিষয়ে অবশ্য আমি কোনও তৃণমূল নেতৃত্বকে জানাইনি । কারণ আমি কোনও বিতর্ক চাইনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে ।"
আরও পড়ুন : 'বেসুরো' প্রবীর ঘোষালকে কটাক্ষ ফিরহাদের
অভিমানী প্রবীর ঘোষাল আরও বলেন, "গত 23 ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর গান মেলা সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম । সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে প্যারীমোহন কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সুপারিশে জন্য আমি আবেদন করেছিলাম । সেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে বলে দিলেন এটা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না ।"
এর আগেও রাস্তা নিয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক । তিনি বলেন, "আমাকে হারানোর জন্য একটা চক্র কাজ করছে । এই চক্র বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে, তৃণমূলে যাতে ভালো লোক থাকতে না পারেন সেই জন্য । উত্তরপাড়া বিধানসভায় যাতে আমাকে হারিয়ে দেওয়া যায়, সেই জন্যই এই চক্র কাজ করছে ।"
আরও পড়ুন : ইস্তফা প্রবীরের, শোকজ করল তৃণমূল
তিনি আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে । দলের মধ্যে যে চক্র কাজ করছে, তার কথা আমি বলেছিলাম । তাঁকে আমি এও জানিয়েছিলাম আমি বিধায়ক হব না । কিন্তু তখন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন আমি যাতে অন্য কোনও বিধানসভায় পদপ্রার্থী হই সেটি দেখতে । আমার বক্তব্য ছিল, আমার আর নির্বাচনের লড়ার প্রয়োজন নেই । আর বিধায়ক হয়ে করে-কম্মে খাওয়ার মানসিকতা আমার নেই । আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও জানিয়েছিলাম আমি উত্তরপাড়া বিধানসভা থেকেই দাঁড়াব ।"