পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

এমআরআই পায়ের, রিপোর্ট মাথার ! চূড়ান্ত গাফিলতির নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে

Goofs up in MRI Report by North Bengal Medical College: প্রেসক্রিপশনে লেখা পায়ের এমআরআই ৷ কিন্তু, প্যাথোলজি বিভাগ থেকে রিপোর্ট এল মাথার ৷ এমনই গাফিলতির অভিযোগ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 20, 2023, 10:02 PM IST

দার্জিলিং, 20 নভেম্বর: চিকিৎসক দিয়েছিলেন পায়ের এমআরআই করাতে ৷ কিন্তু, রিপোর্ট মিলল মাথার ! এই ঘটনায় চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ৷ একমাস আগের ঘটনায় অভিযোগকারীর বয়ান শোনার জন্য আজ তাঁকে হাসপাতালে ডেকে পাঠায় কর্তৃপক্ষ ৷ যদিও, কর্তৃপক্ষের দাবি, দুই রোগীর এক নাম হওয়ায়, এই সমস্যা হয়েছে ৷ যদিও, দালাল চক্রের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী রোগী আবু বকর সিদ্দিকি ৷ এই অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সহকারি সুপার ৷

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপরার বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিকির সঙ্গে ৷ গত অক্টোবর মাসে পায়ের সমস্যার নিয়ে চিকিৎসা করাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আসেন তিনি ৷ সেখানে আউটডোরে দেখানোর পর চিকিৎসক তাঁকে পায়ের এমআরআই করানোর কথা প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন ৷ হাসপাতাল থেকে সেই এমআরআই করানোর জন্য বেশ কয়েকদিন ঘুরেও তিনি তারিখ পাননি ৷ দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিক ঘুরছিলেন ৷ সেই সময় হাসপাতালেই তিনি দালাল চক্রের ফাঁদে পড়েন বলে অভিযোগ ৷ দালালকে টাকা দিতেই চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এমআরআইয়ের ডেট পেয়ে যান ৷

গত 15 অক্টোবর এমআরআই রিপোর্ট নিয়ে ফের চিকিৎসকের কাছে যান ৷ সেই রিপোর্ট দেখে মাথায় হাত পড়ে চিকিৎসকের ৷ পায়ের এমআরআইয়ের জায়গায় দেওয়া হয়েছে মাথার রিপোর্ট ৷ এর পরেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ জানান আবু বকর সিদ্দিক ৷ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ একমাস পেরিয়ে যাওয়ার পর, সোমবার ওই রোগীকে তদন্তের স্বার্থে ডেকে পাঠানো হয় হাসপাতালে ৷

আবু বকর সিদ্দিকি বলেন, "বহুদিন এমআরআই করানোর জন্য ঘুরতে হয় ৷ ডেট মেলেনি ৷ দালালকে টাকা দিতেই পরের দিন ডেট পাওয়া যাচ্ছে ৷ করার কথা ছিল পায়ের এমআরআই ৷ আমার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে মাথার ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সব জানিয়েছি ৷ আজকে যদি আমার মাথার সমস্যা হতো, আর রিপোর্ট অন্য আসত ? যদি, সেই রিপোর্ট দেখে চিকিৎসা হলে কী হত ?" যদিও, হাসপাতালের সহকারি সুপার গৌতম দাসের দাবি, "দুই রোগীর নাম এক হওয়ায় ওই বিভ্রাট হয়েছে ৷ না হলে এরকম হত না ৷ তবে, ভুল একটা হয়েছে ৷ আর দালাল চক্রের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে ৷"

আরও পড়ুন:

ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বেসরকারি ল্যাবের 'দালালচক্র', গ্রেফতার 1

দালালচক্র রুখতে তৎপর পুলিশ, এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার চার

ABOUT THE AUTHOR

...view details