কলকাতা, 31 অগস্ট : কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাতে চলেছেন শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Subhrajit Chatterjee) বাবা-মা ৷ গতবছর একটি নার্সিংহোমে শুভ্রজিতের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ তারপর একাধিক হাসপাতাল ঘুরে শেষ পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয় 18 বছরের ওই তরুণের ৷ এই ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে গত বছরই মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা-মা ৷ হাইকোর্টের নির্দেশে শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত-সহ অন্যান্য ফরেনসিক পরীক্ষাও করা হয় ৷ তাতে দেখা যায়, করোনায় মৃত্যু হয়নি শুভ্রজিতের ৷ এমনকী, মৃত্যুর সময় সে করোনা পজিটিভও ছিল না ! সোমবারই হাতে আসে সেই রিপোর্ট ৷ তবে কেন এবং কীভাবে ছেলেকে হারালেন চট্টোপাধ্য়ায় দম্পতি ? তার উত্তর পেতেই এবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন :COVID POSTMORTEM : মৃত শুভ্রজিৎ করোনা আক্রান্ত ছিল না, উল্লেখ আরটি-পিসিআর রিপোর্টে
শুভ্রজিতের বাবা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় আজ (মঙ্গলবার) কলকাতা হাইকোর্টে এসে বলেন, ‘‘2020 সালের 10 জুলাই মারা যায় আমাদের ছেলে ৷ এতদিন পর তার রিপোর্ট পেলাম ৷ চোরের রাজত্বে বাস করছি আমরা ৷ থানা, পুলিশ সব অপদার্থ ৷ ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে নার্সিংহোম ৷ অযোগ্য ডাক্তার, নার্স ৷ এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই আমরা ৷ যারা দোষী, তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ৷’’ কান্না জড়ানো গলায় বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘আমাদের একমাত্র ছেলে ৷ তার দেহ পর্যন্ত পাইনি আমরা ৷ করোনার ভুল রিপোর্টের জন্যই ওর দেহ আমাদের দেওয়া হয়নি ৷’’
আরও পড়ুন :Delta Plus AY-12 : উত্তরাখণ্ডে করোনা আক্রান্তের শরীরে ডেল্টা প্লাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
গত বছর এই ঘটনা সংবাদ শিরোনামে নজর কেড়েছিল ৷ মাত্র 18 বছরের তরতাজা একটা জীবনের এমন পরিণতি মানতে কষ্ট হয়েছিল আমজনতারও ৷ শুভ্রজিতের পরিবারের দাবি ছিল, বাড়াবাড়ি রকমের শ্বাসকষ্ট হওয়াতেই শুভ্রজিৎকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র সাদা কাগজে ‘কোভিড পজিটিভ’ লিখে দায় সাড়ে ৷ এরপর সাগর দত্ত হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শুভ্রজিৎকে ৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি ৷ মৃত তরুণের মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় ইএসআই হাসপাতালই ওই ওই নার্সিংহোমে ‘রেফার’ করেছিল তাঁদের ছেলেকে ৷ আর তার জন্যই শুভ্রজিতের এই মর্মান্তিক পরিণতি হয় বলে দাবি তাঁর পরিবারের ৷