কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি : আগামী 12 ফেব্রুয়ারি বিধাননগর-সহ রাজ্যের 4 পৌরনিগমে ভোট ৷ তার ঠিক 15 দিন পরে ভোট রয়েছে রাজ্যের 108টি পৌরসভাতেও ৷ শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিটি আসনে ভোট করতে বদ্ধপরিকর রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ সেই লক্ষ্যেই প্রতিটি জায়গাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে আদালতে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন । নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে রাজ্যের তরফেও (State Election Commission keen to conduct peaceful election) ৷
বিধাননগর পৌরনিগমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি-সহ অন্যান্য দাবিতে মোট দু'টি মামলা দায়ের হয়েছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে । দুটি মামলার শুনানি শেষ হয়েছে । যদিও শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ।
নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র বলেন, ‘‘বিধাননগরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিক নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ ভোটারদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য দফায় দফায় রোডমার্চ করা হচ্ছে । পুলিশকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।’’
পাল্টা নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘কলকাতা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশন একই কথা বলেছিল ৷ কিন্তু ভোটের পর হিংসার একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে ৷ এই ধরনের ঘটনা কমিশনের ব্যর্থতা নয় ?’’
মামলাকারী প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী পিঙ্কি আনন্দ বলেন, ‘‘সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গায় ফ্লেক্স-ব্যানার ছেঁড়া হয়েছে । বিধানসভা ভোটের পরেও একাধিক জায়গায় লাগাতার সন্ত্রাসের পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল । 14 ফেব্রুয়ারি 4টি পৌরনিগমের ভোটগণনা । পৌরসভার ভোটগণনার দিন এখনও জানানো হয়নি । আমরা ভোটগণনা একসঙ্গেই করার দাবি জানাচ্ছি । ত্রিপুরার মতো এখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করা হোক ৷’’
অন্যদিকে সল্টলেকের বাসিন্দা ছবি বসুর তরফে আইনজীবীর শ্রীজীব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের সাত মাস পরেও কলকাতা পৌরসভার ভোটে কী হয়েছে তা আমরা সবাই দেখেছি ৷ কলকাতার ভোটারদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, ব্যাপক ছাপ্পা ভোট করা হয়েছে । বুথে অশান্তি তৈরি করার জন্য সাধারণ ভোটাররা অংশগ্রহণ করতে পারেনি । সাধারণ মানুষ যদি ভোট দিতে নাই পারে তাহলে ভোটের অর্থ কী ?’’
প্রত্যেকটি মামলারই রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিসন বেঞ্চ ৷ আরও পড়ুন : স্কুলে হাইব্রিড মোডে পঠনপাঠনের মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের ম্যানুয়াল অনুযায়ী পোলিং এজেন্টকে সেই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ভোটার হতে হবে ৷ কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে নিকটবর্তী পোলিং বুথ থেকে কাউকে এজেন্ট হিসেবে বসানো যেতে পারে ।’’
প্রত্যেকটি মামলারই রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷