নয়া দিল্লি, 2 জুলাই : পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে ৷ গতকাল বাড়ল এলপিজি গ্যাসের দাম ৷ এককথায় মধ্য়বিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সবস্তরের মানুষের রান্নাঘরেও আগুন লাগল ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই মূল্যবৃদ্ধির কড়া সমালোচনা করে সাধারণ মানুষকে সংসার চালাতে ঋণ দেওয়ার পরামর্শ দিল কংগ্রেস ৷
একটি সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, "এলপিজি গ্যাসের দাম 25 টাকা বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের কাটা ঘায়ে নুনের ছিঁটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকার ৷ এটা অনৈতিক, স্বেচ্ছাচারিতা, অযৌক্তিক ৷"
বিশ্ব বাজারে গ্যাসের দাম আর দেশের অভ্য়ন্তরে গ্যাসের দামের মধ্যে ফারাক তুলে ধরেন তিনি ৷ এবছর মার্চে সৌদি আরামকো-র এলিপিজি গ্যাসের দাম ছিল $587/মেট্রিক টন ৷ সেই সময় দেশে তার দাম ছিল 819 টাকা ৷ এখন সৌদি আরামকো-র এলিপিজি গ্যাসের দাম $523/মেট্রিক টন হলেও ভারতে তা 834 টাকা ৷ কিন্তু হিসেব অনুযায়ী দাম হওয়া উচিত 552 টাকা ৷ গত 7 মাসে এলপিজি গ্যাসের দাম 240 টাকা বেড়েছে বলে দাবি করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : পরিষেবা মাশুলে পরিবর্তন আনল এসবিআই , দেখে নিন আপনার পকেটে কত টান পড়বে
এ নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করে কংগ্রেস নেতা জানান যে, দেশে 29 কোটি মানুষ এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করেন ৷ মোদি-সরকারের উজ্জ্বলা প্রকল্প মনে করিয়ে দিয়ে সুপ্রিয়া বলেন, "এত দিন উজ্জ্বলার কথা প্রচার করেছে মোদি সরকার, কিন্তু এখন এই প্রকল্পের সুবিধেভোগী কতজন 834 টাকায় এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে পারবেন ?" করোনা সংক্রমণের প্রভাবে দেশে বর্তমানে 3 কোটি লোক দারিদ্রসীমার নীচে চলে গিয়েছেন, 1 কোটি লোক কাজ হারিয়েছেন, দেশে গরিব মানুষের হার 97 শতাংশ, দাবি সুপ্রিয়ার ৷ বিগত তিন বছরে মাথাপিছু জিডিপি সবচেয়ে কম ৷ এই অবস্থায় মানুষের হাতে নগদ টাকা না দিয়ে পেট্রল, ডিজেল আর এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানোয় চাহিদা আরও কমবে বলে জানান কংগ্রেসের মুখপাত্র ৷
অর্থমন্ত্রীর সম্পর্কে তিনি জানান, দেশের অর্থনীতি কী ভাবে পরিচালনা করতে হয়, তা অর্থমন্ত্রী জানেন ৷ এই সমস্যা সমাধানে নির্মলা সীতারামন যেন মানুষকে জ্বালানি, গ্যাস কেনার জন্য বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করে দেন, আর এটাই একমাত্র পরিচ্ছন্ন পদ্ধতি ৷ কংগ্রেসের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমানোর দাবি জানানো হয়েছে ৷