
খাম খুলতেই চমকে গেলেন বৃদ্ধা ! পুলিশ সেজে অভিনব কায়দায় বারাসতে গয়না চুরি
খাম খুলতেই বৃদ্ধা দেখেন, তাতে সোনার অলংকার নেই । বরং রয়েছে দুটো ঢিল ও ইনিটিশনের চুরি ।

Published : October 15, 2025 at 8:18 PM IST
বারাসত, 15 অক্টোবর: পুজোর মুখে গলায় সোনার গয়না দিয়ে বেরবেন না । গয়নাগুলো খামে ভরে ব্যাগে রাখুন । 'পুলিশে'র পরামর্শে গয়না খুলে খামে ভরে রেখেছিলেন । সেই খাম খুলতেই বৃদ্ধা হতবাক হয়ে গেলেন । লোপাট হয়ে গিয়েছে 36 গ্রাম সোনার গয়না । সোমবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনা জেলা সদর বারাসত শহরে ।
কয়েকদিন পরেই বারাসতের ঐতিহ্যবাহী কালীপুজো শুরু হচ্ছে । দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । ফি বছর কালীপুজোর মুখে বারাসতে ছিনতাই কিংবা কেপমারির ঘটনা বারবার ঘটে থাকে । তাই সে ব্যাপারে চলতি বছর পুলিশ আগাম সতর্কতামূলক বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে । শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে । বাড়ানো হয়েছে পুলিশের টহলদারিও । তারই মধ্যে পুলিশ সেজে শহরের বুকে ঘটে গেল অভিনব কায়দায় কেপমারির ঘটনা ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভরদুপুরে বারাসত পুরসভার 30 নম্বর ওয়ার্ডের মুখার্জিপাড়ার বাসিন্দা ছায়া পাল নামে এক বৃদ্ধা পাড়ার দোকানে যাচ্ছিলেন । অভিজাত পরিবারের ওই বৃদ্ধার গায়ে বেশ কয়েকটি সোনার অলংকার ছিল । পথে পুলিশ পরিচয় দিয়ে দুই যুবক ওই বৃদ্ধাকে সোনার অলংকার খুলে ব্যাগে রাখতে বলেন । ঠিক সেই সময় তাঁদের সামনে দিয়ে সোনার গয়না পরা এক যুবক যাচ্ছিলেন । ওই দুই যুবক তাঁকেও ধমক দিয়ে সোনার গয়না খুলে পকেটে রাখতে বলেন । সঙ্গে তাঁরা ওই যুবককে একটি খামও দিয়েছিলেন ।
পথচারী যুবক সোনার গলার চেন খুলে খামে ভরে পকেটে রেখে দেন । ওই বৃদ্ধাও পুলিশ পরিচয় দেওয়া যুবকের কথা শুনে হাতের ও গলার সোনার অলংকার খুলে ফেলেন । ওই যুবকরা একটি খাম দিয়েছিলেন । বৃদ্ধা গয়না খুলে ওই খামে ভরে তা ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে নেন । ওই দুই যুবক অলংকার খামে ভরার সময় বৃদ্ধাকে সাহায্য করেছিলেন ।

ছায়া পাল বলেন, "কিছুক্ষণ পরে খাম খুলতেই দেখি তাতে সোনার অলংকার নেই । তাতে ছিন দুটো ঢিল ও ইমিটিশনের চুরি ।" এরপরেই বৃদ্ধার পরিবারের লোকেরা বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই দুই যুবক আসলে ছিনতাইবাজ চক্রের সাগরেদ । রাস্তায় যে যুবক সোনার গয়না খুলে পকেটে ভরেছিলেন, সম্ভবত তিনিও ওই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন ।

এই নিয়ে বারাসতের এসডিপিও বিদ্যাগর আজিঙ্কা অনন্ত বলেন, "30 নম্বর ওয়ার্ডের ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে । সাধারণ মানুষের কাছে আমরা আবেদন জানাচ্ছি, পুলিশ পরিচয় দিয়ে কেউ কিছু বললে, তারা যেন একটু খোঁজখবর নেন ।"

