কাঁথির সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের মৃত্যুতে রহস্য, প্রশ্ন হাতের চ্যানেল নিয়ে
কাঁথি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে ৷ তাঁর হাতের চ্যানেল থেকে রক্তপাত হয় এবং তারপর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷

Published : October 18, 2025 at 3:05 PM IST
কাঁথি, 18 অক্টোবর: হাতের চ্যানেল থেকে রক্তক্ষরণ এবং তারপর মৃত্যু ! সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের এমন মৃত্যু ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসক বছর তিরিশের শালিনী দাস কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন ৷ তিনি অ্যানাস্থেশিয়ার চিকিৎসক ছিলেন ৷ শুক্রবার সকালে তিনি যখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তখন তাঁর হাতে কোনও চ্যানেল ছিল না বলে জানিয়েছেন তাঁর মা ৷ গতকাল রাত 11টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন হাতে চ্যানেল নিয়ে ৷ এরপর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তাঁর হাতের চ্যানেল থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে ৷
দ্রুত তাঁকে তাঁর ভাড়া বাড়ির পাশে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখান থেকে চিকিৎসকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে তমলুক হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক ৷ তমলুক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়, জানিয়েছে মৃতের পরিবার ৷ তবে ঠিক কী কারণে চিকিৎসক শালিনী দাসের মৃত্যু হয়েছে, সেনিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তমলুক থানার পুলিশ ৷
তমলুকের পুলিশ সুপার আফজাল আব্বাস বলেন, "তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এখন এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না ৷ ময়নাতদন্ত হবে ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷" রহস্যজনক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
চিকিৎসক শালিনী দাস আদতে দমদমের বাসিন্দা ৷ কর্মসূত্রে তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ চিকিৎসকের সঙ্গে থাকতেন তাঁর মা ৷ দু'বছর আগে তিনি তমলুক হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ৷ গত তিন মাস শালিনী কাঁথি মহাকুমা হাসপাতালে কাজ করছিলেন ৷ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ডিউটি শেষে তিনি মায়ের কাছে তমলুকে ফিরে যেতেন ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, শালিনী অ্যানাস্থেশিয়ার চিকিৎসক ছিলেন ৷ সরকারি হাসপাতালে চাকরির পাশাপাশি তিনি বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে অ্যানাস্থেশিয়া দিতে যেতেন ৷ গতকাল সকাল 7টা নাগাদ বেসরকারি হাসপাতালে অ্যানাস্থেশিয়া দেওয়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলেন চিকিৎসক শালিনী ৷
প্রথমে তিনি মহিষাদলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান ৷ সেখান থেকে তমলুকে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে যান ৷ এরপর বাড়ি ফেরেন রাত 11টা নাগাদ ৷ ফিরে আসার পর তাঁর মা দেখেন শালিনীর হাতে চ্যানেল করা রয়েছে ৷ সকালে যখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, তখন চিকিৎসকের হাতে কোনও চ্যানেল ছিল না ৷ এদিকে বাড়ি ফিরে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শালিনী ৷ তাঁর হাতের চ্যানেল থেকে রক্তপাত হওয়া শুরু হয় এবং পরে মৃত্যু ৷ কোন হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁর হাতে এই চ্যানেল করেছিলেন, কেন করেছিলেন বা কারা তাঁর হাতে চ্যানেল করে দিয়েছিলেন ? এমন একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷

