ঘাটাল, 10 এপ্রিল: শৌচকর্ম করতে গিয়ে যুবকের লালসার শিকার হয়েছিল সাত বছরের নাবালিকা ৷ ধর্ষণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত ৷ আট বছর ধরে মামলা-মোকদ্দমা চলার পর অবশেষে শুক্রবার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল ঘাটাল মহকুমা আদালত । স্বস্তির ছায়া নির্যাতিতার পরিবারে ।
2017 সালের ঘটনা ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার অন্তর্গত এক গ্রামের বছর সাতেকের নাবালিকা এলাকায় গাজনের মেলা দেখতে গিয়েছিল ৷ সেখানে গিয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সে মেলা ছেড়ে একটু দূরে যায় ৷ সেই সময় ওই এলাকার পেশায় স্বর্ণশিল্পী এক যুবক নাবালিকাকে একা পেয়ে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ।
ঘটনার পরের দিন বিষয়টি জানতে পেরে নাবালিকার পরিবারের লোকেরা চন্দ্রকোনা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত ৷ সেই থেকেই আদালতে চলছিল মামলা ৷ অবশেষে আট বছরের মাথায় রায় দান করল ঘাটাল মহকুমা আদালত । অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ময়ূখ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় ৷ এরপর তার দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ঘোষণা করে ঘাটাল মহকুমা আদালত ।
এই বিষয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী দিলীপ কুমার দাস বলেন,"2017 সালের ঘটনা ঘটার সময় নাবালিকার বয়স ছিল 7 বছর । শৌচকর্ম করতে গিয়ে এই যুবক ওকে তুলে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে । 8 বছর মামলা চলার পর আজকে তার রায় হয়েছে এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক ।"