নৈহাটি, 7 সেপ্টেম্বর: আরজি কর-কাণ্ডে তোলপাড়ের মধ্যেই এবার মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে হামলাকারীর হাতে আক্রান্ত হয়েছেন ক্যানসারে আক্রান্ত স্বামীও। ঘটনা ঘিরে তীব্র শোরগোল পড়েছে উত্তর 24 পরগনার নৈহাটিতে। ঘটনার পর থেকে কার্যত আতঙ্কে দিন কাটছে ওই মহিলার পরিবারের। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এই ঘটনায় শান্তনু সরকার ওরফে পায় নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ।
জানা গিয়েছে, নৈহাটির অরবিন্দ পল্লির বাসিন্দা অর্চনা দাস ও তাঁর পরিচিত কয়েকজন মহিলা প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন শনিবার সকালে। হাঁটতে হাঁটতে তাঁরা পৌঁছন নৈহাটি স্টেডিয়ামের কাছে। সেই সময় অর্চনা দাস লক্ষ্য করেন, রাস্তার পাশে এক ব্যক্তি ফোনে চিৎকার করে গালিগালাজ করছেন অন্য কাউকে। চোখের সামনে এই ঘটনা দেখে প্রতিবাদে সরব হন তিনি ৷ যার জেরে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আক্রান্ত মহিলা।
শুধু তাই নয়, পুলিশের কাছে অভিযোগ করার কথা বললে কোনও ভয় না-পেয়ে উল্টে মহিলার গালে সপাটে কয়েকবার সে চড়ও মেরেছে বলে অভিযোগ ৷ এরপরই তিনি বাড়িতে ফিরে পুরো ঘটনাটি জানান ক্যানসার আক্রান্ত স্বামী খোকন দাসকে। স্ত্রীর মুখে একথা শোনার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, বাড়িতে ছেলে ঢুকিয়ে মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে শায়েস্তা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সরগরম হয়ে উঠেছে নৈহাটি।
আক্রান্ত ওই মহিলা বলেন, "প্রকাশ্য রাস্তায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে দেখেই প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু, তার ফলে এই পরিণতি হবে, তা ভাবতেই পারিনি। আরজি করের ঘটনার মতো এরও প্রতিবাদ হওয়া উচিত। সাংসদ এসে আমাদের আশ্বস্ত করে গিয়েছেন। বলেছেন, তাঁরা পাশে আছেন ৷"
মহিলার ক্যানসার আক্রান্ত স্বামী খোকন দাস বলেন, "ওরা তো আমাকে মেরেই ফেলছিল। যদি না কয়েকজন ঘটনাস্থলে এসে আমাকে রক্ষা করত!ওরা হুমকি দিয়ে বলেছে, বাড়িতে এসে গুলি করে খুন করবে। আতঙ্কে রয়েছি।" এদিকে, অভিযোগ দায়ের হতেই পুলিশ শান্তনু সরকারকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।