নন্দীগ্রাম, 18 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য ৷ ঠিক সেই সময় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে এক গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠল ৷ শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ, ওই মহিলাকে প্রস্রাব খাওয়ানোর কথাও বলা হয়েছিল অভিযুক্তদের তরফে ৷ এই ঘটনার অভিযোগের তির বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, এটা একান্তই পারিবারিক বিবাদের ঘটনা ৷
এই ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি নেতা অভিজিৎ মাইতি বলেন, "এটা ওদের পারিবারিক গণ্ডগোল । খামোখাই এটাতে রাজনৈতিক রঙ চাপানো হচ্ছে । এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই ।"
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে । ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে । যদিও এ বিষয়ে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । মহিলার স্বামী বলেন, "আমি প্রথমে বিজেপি করতাম । 2021 সালের পর বিজেপিতে থেকে আমি অত্যাচারিত হই ৷ এরপর আমি তৃণমূলে যোগদান করি । তারপর থেকেই আমার পরিবারের উপর অত্যাচার শুরু করে বিজেপি । বর্তমান আমি তৃণমূলের কর্মী ।"
পরিবার সূত্রে খবর, নির্যাতিতার স্বামী রাজ্যের বাইরে ছিলেন ৷ অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়ে গৃহবধূর উপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয় বিজেপি নেতাদের তরফে ৷ এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে ৷ সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে বিজেপি নেতা নারায়ণ দাস তাঁর স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে রাস্তার উপর দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যান । তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ মহিলা জল খেতে চাইলে তাঁকে প্রস্রাব করে খাইয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয় । অভিযোগ, নির্যাতিতার বাড়িও ভাঙচুর করা হয় বিজেপির তরফে ।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, "গৃহবধূর উপর বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর স্বামী-সহ 30 থেকে 35 মিলে অমানবিক অত্যাচার করেছে ৷ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ৷ নারী সুরক্ষার নাম করে বিরোধী দলনেতা সারা বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন । কিন্তু নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল করার অপরাধে বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিবস্ত্র করে রাস্তার উপর দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।" যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি ৷