কলকাতা, 30 মার্চ: ঠিক পাঁচ বছর আগে, 2019 লোকসভা ভোটের মুখে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর মুখে। দীর্ঘদিন কলকাতা প্রেসক্লাবের সামনে অনশনে ছিলেন 2016 নবম-দ্বাদশ এসএলএসটি'র চাকরিপ্রার্থীরা। সেখানেই 2019 সালে অনশনের 28 দিনের মাথায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন চাকরিপ্রার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, "মেধাতালিকাভুক্ত সকল যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হবে। দরকারে আইন পরিবর্তন করেই তাঁদের নিয়োগ হবে।" ওই সময় চাকরিপ্রার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।
তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলেছে। চলছে 2024 সালের নির্বাচনী প্রচার। এই নির্বাচনে বিরোধীদের বড় হাতিয়ার রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দুর্নীতির জেরে বর্তমানে জেলবন্দি। তবে দীর্ঘ এই পাঁচ বছরে অনেকটা সময় কেটে গেলেও এখনও হয়নি এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ। এখনও নিয়োগের দাবিতে সেই রাস্তাতেই বসে রয়েছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। একাধিকবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রীর কথায়, আইনি জটিলতা কাটলেই নিয়োগ দিতে প্রস্তুত দফতর। পাঁচ বছর আগের সেই আশ্বাস আবারও শোনা যাচ্ছে। তাহলে কোথাও গিয়ে কি ভোটের শিখণ্ডী করা হচ্ছে তাঁদের?
রমজানের রোজা রেখেই ধরনামঞ্চে সামিল হয়েছেন কুদরত ই কবীর। ইটিভি ভারতের তরফে তাঁকে এই প্রশ্ন করলে তিনি একমত পোষণ করেন। তাঁর কথায়, "আমাদের ভোটের শিখণ্ডী করা হচ্ছে। 2019 সালে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আইন পরিবর্তন করে নিয়োগ হবে আমাদের। পাঁচ সদস্যের কমিটি তৈরি করেছিলেন। তারপর কীভাবে দুর্নীতি হল, তা বাংলার মানুষ দেখেছে। লোকসভা ভোট ঘোষণার তিনদিন আগে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী এজি'র সঙ্গে বৈঠক করেন।"
চাকরিপ্রার্থী কুদরত আরও বলেন, "এক চরম নাটকীয় ব্যস্ততা ফের দেখা যায় ৷ বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে আমাদের। আসলে এই সরকারের কথায় কোনও দাম নেই।" অন্যদিকে তীব্র রোদের তেজ সত্ত্বেও রোজ চাকরি জন্য ধরনায় আসছেন করবী নস্কর। তিনি বলেন, "শিক্ষামন্ত্রী বারবার কোর্টে বল ছেড়ে দিচ্ছেন। ওনারা সব কিছু পারেন। তবে এখন সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। শিক্ষামন্ত্রী কোনও দায়িত্ব নিচ্ছেন না। ওনারা সঠিক হলফনামা দিলে তবেই আমাদের নিয়োগ হবে। শিক্ষামন্ত্রী যে বলছেন চাকরি পাব, সেটা কবে? আমরা মরে যাওয়ার পর ?"
আরও পড়ুন: