কলকাতা, 30 এপ্রিল: সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়েও চার ডিগ্রি কম রয়েছে। হাওয়ায় জ্বলন নেই, বরং স্বস্তি অনুভূত হচ্ছে। আকাশে বিক্ষিপ্ত মেঘের সারি। রোদের তেজ গায়ে সেভাবে লাগছে না। ভ্যাবসা গরমের বদলে বেশ কিছুটা নরম গ্রীষ্মের তেজ।
বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প এই রাজ্যের বাতাসে প্রবেশ করছে। ফলে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আগামী রবিবার পর্যন্ত বঙ্গে বৃষ্টির কারণে বঙ্গে তাপপ্রবাহের কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং, ঝড়-বৃষ্টি এমনকি শিলাবৃষ্টির হাত ধরে স্বস্তিদায়ক আবহাওয়া মিলতে পারে বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময়েও।
আজ বুধবার ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দক্ষিণের সব জেলায় বৃষ্টির পাশাপাশি 40 থেকে 50 কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার দুই 24 পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হুগলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বভাস রয়েছে। সঙ্গে 40 থেকে 50 কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ও হতে পারে। দক্ষিণের বাকি জেলাতেও ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দক্ষিণের সব জেলাতেই ওই দিন বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামিকাল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মালদহ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বৃষ্টির সঙ্গে 40 থেকে 50 কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাতেও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ওই দিন উত্তরের আট জেলাতেই হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা এবং প্বার্শবর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 31.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 4.4 ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 19.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে 7 ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ 96 শতাংশ সর্বনিম্ন 52 শতাংশ।
আজ বুধবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সঙ্গে 40 থেকে 50 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন যথাক্রমে 33 ডিগ্রি এবং 25 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে।