ETV Bharat / state

রাজ্যে ওয়াকফ আন্দোলন ও অশান্তিতে বাণিজ্যে ক্ষতি 30 কোটি ! মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ বণিকমহল - WAQF PROTEST

দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর্জি চেম্বার অফ কমার্সের পূর্ব ভারতীয় সংগঠনের ৷ ক্ষতির মুখে আড়াই লক্ষের বেশি খুচরো ব্যবসায়ী ৷

WAQF VIOLENCE
রাজ্যে ওয়াকফ আন্দোলন ও অশান্তিতে বাণিজ্যে ক্ষতি 30 কোটি ! (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 16, 2025 at 3:23 PM IST

3 Min Read

শিলিগুড়ি, 16 এপ্রিল: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত রাজ্যের বেশকিছু অংশ ৷ ওয়াকফ প্রতিবাদকে ঘিরে ছড়িয়েছে অশান্তি ৷ উত্তাল হয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর ৷ সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে ৷ এমনকি 3 জনের প্রাণও গিয়েছে এর জেরে ৷

আর তার প্রভাব এবার সরাসরি রাজ্যের বাণিজ্যে পড়েছে ৷ এর প্রভাবে ছোট-বড় বিভিন্ন ব্যবসা মিলিয়ে গত একসপ্তাহে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ যার পরিমাণ প্রায় 30 কোটি টাকা বলে জানাচ্ছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি ৷ ফলে মাথায় হাত পরেছে ব্যবয়ায়ায়ীদের ৷

তাই ফেডারেশন অফ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি প্রদান করা হল ৷ সংস্থার দাবি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে ৷ তা না-হলে আগামিদিনে বাংলার বাণিজ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে ৷ সংস্থার তরফে এ-ও বলা হয়েছে, অশান্তির জন্য প্রতিটি ব্যবসায়ী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ৷ যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে রাজ্যের অর্থনীতিতে ৷

রাজ্যে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান-সহ মালদা ও দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ও উত্তপ্ত হয়েছে ওয়াকফ ইস্যুতে ৷ দাবি করা হয়েছে, এর জেরে ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় 30 কোটি টাকা ৷ কারণ হিসেবে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, কোথাও দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে ৷ আবার কোথাও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাই ব্যবসায়ীরা আর ব্যবসা করতে চাইছেন না ৷ কিছু-কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় পরিস্থিতির সামান্য বদল হলেও, ব্যবসায় হাল ফেরেনি ৷

চেম্বার অফ কমার্সের পূর্ব ভারতীয় সংস্থার অধীনে 268টি ব্যবসায়ী সংগঠন রয়েছে ৷ এছাড়া 2 লক্ষ 57 হাজার খুচরো ব্যবসায়ী রয়েছেন ৷ সকলেই এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এই পরিবেশ চলতে থাকলে বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়বে ৷

তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য মমতার কাছে আবেদন জানিয়েছে চেম্বার অফ কমার্সের পূর্ব ভারতীয় সংস্থার সদস্যরা ৷ তাঁরা চান খোদ মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন ৷ যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হয়, তাহলে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা ৷

সংগঠনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, "আমাদের প্রতিটি ব্যবসায়ী ভীষণ আতঙ্কিত ৷ সবরকম ব্যবসায় আমাদের ধাক্কা লেগেছে ৷ যেভাবে এই অশান্তি বেড়েই চলেছে, এরপরে আর কেউ ব্যবসা করতেই চাইবে না ৷ তাই আমরা বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলাম ৷ নইলে আমরা সচরাচর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাই না ৷ কিন্তু, এবার বিষয়টা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে ৷ কারা এসব করছে, তা আমাদের অজানা ৷ কিন্তু এসবের জন্য প্রায় 30 কোটি টাকার ব্যবসার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ৷ এগুলি বন্ধ না-হলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে ৷"

শিলিগুড়ি, 16 এপ্রিল: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় উত্তপ্ত রাজ্যের বেশকিছু অংশ ৷ ওয়াকফ প্রতিবাদকে ঘিরে ছড়িয়েছে অশান্তি ৷ উত্তাল হয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি, ধুলিয়ান, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর ৷ সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে ৷ এমনকি 3 জনের প্রাণও গিয়েছে এর জেরে ৷

আর তার প্রভাব এবার সরাসরি রাজ্যের বাণিজ্যে পড়েছে ৷ এর প্রভাবে ছোট-বড় বিভিন্ন ব্যবসা মিলিয়ে গত একসপ্তাহে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ যার পরিমাণ প্রায় 30 কোটি টাকা বলে জানাচ্ছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি ৷ ফলে মাথায় হাত পরেছে ব্যবয়ায়ায়ীদের ৷

তাই ফেডারেশন অফ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিস অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি প্রদান করা হল ৷ সংস্থার দাবি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে ৷ তা না-হলে আগামিদিনে বাংলার বাণিজ্যের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে ৷ সংস্থার তরফে এ-ও বলা হয়েছে, অশান্তির জন্য প্রতিটি ব্যবসায়ী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ৷ যার প্রভাব সরাসরি পড়ছে রাজ্যের অর্থনীতিতে ৷

রাজ্যে মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান-সহ মালদা ও দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড়ও উত্তপ্ত হয়েছে ওয়াকফ ইস্যুতে ৷ দাবি করা হয়েছে, এর জেরে ব্যবসায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় 30 কোটি টাকা ৷ কারণ হিসেবে সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, কোথাও দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে ৷ আবার কোথাও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাই ব্যবসায়ীরা আর ব্যবসা করতে চাইছেন না ৷ কিছু-কিছু জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের নিরাপত্তায় পরিস্থিতির সামান্য বদল হলেও, ব্যবসায় হাল ফেরেনি ৷

চেম্বার অফ কমার্সের পূর্ব ভারতীয় সংস্থার অধীনে 268টি ব্যবসায়ী সংগঠন রয়েছে ৷ এছাড়া 2 লক্ষ 57 হাজার খুচরো ব্যবসায়ী রয়েছেন ৷ সকলেই এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, এই পরিবেশ চলতে থাকলে বাংলায় ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়বে ৷

তাই দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের জন্য মমতার কাছে আবেদন জানিয়েছে চেম্বার অফ কমার্সের পূর্ব ভারতীয় সংস্থার সদস্যরা ৷ তাঁরা চান খোদ মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন ৷ যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না-হয়, তাহলে কেন্দ্রের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়ে দেন ব্যবসায়ীরা ৷

সংগঠনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল বলেন, "আমাদের প্রতিটি ব্যবসায়ী ভীষণ আতঙ্কিত ৷ সবরকম ব্যবসায় আমাদের ধাক্কা লেগেছে ৷ যেভাবে এই অশান্তি বেড়েই চলেছে, এরপরে আর কেউ ব্যবসা করতেই চাইবে না ৷ তাই আমরা বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলাম ৷ নইলে আমরা সচরাচর মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠাই না ৷ কিন্তু, এবার বিষয়টা হাতের বাইরে চলে গিয়েছে ৷ কারা এসব করছে, তা আমাদের অজানা ৷ কিন্তু এসবের জন্য প্রায় 30 কোটি টাকার ব্যবসার ক্ষতি হয়ে গিয়েছে ৷ এগুলি বন্ধ না-হলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেই থাকবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.