ETV Bharat / state

ঝাড়গ্রামে জ্বলন্ত শলাকায় হাতির হত্যা ! 6 দিনের পুলিশি হেফাজতে 2 অভিযুক্ত - Elephant Death

Elephant Death: ঝাড়গ্রামে জ্বলন্ত শলাকার আঘাতে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় বন্যপ্রাণী হত্যার ধারায় 2 ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের বুধবার ঝাড়গ্রাম আদালতে পেশ করা হলে ছ'দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন বিচারক ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 21, 2024, 6:34 PM IST

Elephant Death
ঝাড়গ্রামে হাতি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের আদালতে পেশ (নিজস্ব ছবি)

ঝাড়গ্রাম, 21 অগস্ট: ঝাড়গ্রামে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের ছ'দিনের পুলিশ হেফাজত দিলেন বিচারক ৷ বুধবার তাদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলে পুলিশ । তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন 1972-এর 9 নম্বর ধারায় (বন্যপ্রাণী হত্যা) মামলা রুজু করা হয় ৷ অভিযুক্ত দু'জনের নাম অজয় মাহাতো ও দীপক মাহাতো । অজয়ের বাড়ি ঝাড়গ্রাম থানার রাজাবাসায় এবং দীপকের বাড়ি লাউড়িয়াদাম গ্রামে ।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের সকালে দুবরাজপুর হয়ে শাবক-সহ পাঁচটি হাতির একটি দল ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতির দলে থাকা একটি পুরুষ হাতির আক্রমণে একজন শহরবাসীর মৃত্যু হয় । তারপরেই বনদফতর ঘুমপাড়ানি গুলি করে পুরুষ হাতিটিকে পাকড়াও করে জঙ্গলে ছেড়ে দেয় । বাকি চারটি হাতি আশ্রয় নেয় নতুন জেলাশাসকের অফিসের পাশে থাকা পরিত্যক্ত প্রাণিসম্পদ দফতরের পাঁচিল ঘেরা একটি ছোট্ট জঙ্গলে । হাতি দেখার জন্য শহরবাসীর ভিড় উপছে পড়েছিল চারিদিকেই । এই অবস্থায় বনদফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সূর্যের আলো নামার পর এই চারটি হাতিকে জঙ্গলে পাঠানো হবে । কিন্তু বিকেলের পর চিত্রটা বদলে যায় ।

হুলা পার্টির সদস্যরা হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর জন্য কাজে নেমে পড়ে । গজরাজের দলটির সঙ্গে শাবক থাকায় স্ত্রী হাতিটি উত্তেজিত অবস্থায় ছিল । অভিযোগ, হাতিটিকে বাগে আনার জন্য হুলা পার্টির এক সদস্য পরিত্যক্ত একটি একতলা বাড়ির উপর উঠে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রী হাতিকে জ্বলন্ত শলাকা ছুড়ে মারেন । জ্বলন্ত শলাকা হাতিটির মেরুদণ্ডে গিয়ে আটকে যায় । মেরুদণ্ডে জ্বলন্ত হুলার শলাকা ঢুকে যেতেই কাতর চিৎকার শুরু করে স্ত্রী হাতিটি । কিছুক্ষণের মধ্যেই তার পেছনের দুটি পা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয় । তারপরেই দীর্ঘ চেষ্টার পর নিজে শুঁড় দিয়ে শলাকাটিকে ধরে শরীরের থেকে বার করে বাইরে ছুড়ে ফেলে স্ত্রী হাতিটি ।

কাতর চিৎকার করতে করতে হামাগুড়ি দিতে থাকে গজরাজ । এই অবস্থায় হাতিটি অচৈতন্য হয়ে গেলে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলমহলের জুলজিক্যাল পার্কে । চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার পরের দিন 16 অগস্ট হাতিটির মৃত্যু হয় । 17 অগস্ট হাতিটির ময়নাতদন্ত হয় । ময়নাতদন্তের পরেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, হুলা পার্টির জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে কেবলমাত্র একটি হাতির নয় দু'টি হাতির মৃত্যু হয়েছে । হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলেও দাবি করা হয় । যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল কি না সেই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি বনদফতর । ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থানায় এফআইআরও করা হয়েছিল বনদফতরের পক্ষ থেকে । এরপর ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

ঝাড়গ্রাম, 21 অগস্ট: ঝাড়গ্রামে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের ছ'দিনের পুলিশ হেফাজত দিলেন বিচারক ৷ বুধবার তাদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলে পুলিশ । তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন 1972-এর 9 নম্বর ধারায় (বন্যপ্রাণী হত্যা) মামলা রুজু করা হয় ৷ অভিযুক্ত দু'জনের নাম অজয় মাহাতো ও দীপক মাহাতো । অজয়ের বাড়ি ঝাড়গ্রাম থানার রাজাবাসায় এবং দীপকের বাড়ি লাউড়িয়াদাম গ্রামে ।

প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসের সকালে দুবরাজপুর হয়ে শাবক-সহ পাঁচটি হাতির একটি দল ঝাড়গ্রাম শহরের বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকায় ঢুকে পড়ে। হাতির দলে থাকা একটি পুরুষ হাতির আক্রমণে একজন শহরবাসীর মৃত্যু হয় । তারপরেই বনদফতর ঘুমপাড়ানি গুলি করে পুরুষ হাতিটিকে পাকড়াও করে জঙ্গলে ছেড়ে দেয় । বাকি চারটি হাতি আশ্রয় নেয় নতুন জেলাশাসকের অফিসের পাশে থাকা পরিত্যক্ত প্রাণিসম্পদ দফতরের পাঁচিল ঘেরা একটি ছোট্ট জঙ্গলে । হাতি দেখার জন্য শহরবাসীর ভিড় উপছে পড়েছিল চারিদিকেই । এই অবস্থায় বনদফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সূর্যের আলো নামার পর এই চারটি হাতিকে জঙ্গলে পাঠানো হবে । কিন্তু বিকেলের পর চিত্রটা বদলে যায় ।

হুলা পার্টির সদস্যরা হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠানোর জন্য কাজে নেমে পড়ে । গজরাজের দলটির সঙ্গে শাবক থাকায় স্ত্রী হাতিটি উত্তেজিত অবস্থায় ছিল । অভিযোগ, হাতিটিকে বাগে আনার জন্য হুলা পার্টির এক সদস্য পরিত্যক্ত একটি একতলা বাড়ির উপর উঠে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রী হাতিকে জ্বলন্ত শলাকা ছুড়ে মারেন । জ্বলন্ত শলাকা হাতিটির মেরুদণ্ডে গিয়ে আটকে যায় । মেরুদণ্ডে জ্বলন্ত হুলার শলাকা ঢুকে যেতেই কাতর চিৎকার শুরু করে স্ত্রী হাতিটি । কিছুক্ষণের মধ্যেই তার পেছনের দুটি পা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয় । তারপরেই দীর্ঘ চেষ্টার পর নিজে শুঁড় দিয়ে শলাকাটিকে ধরে শরীরের থেকে বার করে বাইরে ছুড়ে ফেলে স্ত্রী হাতিটি ।

কাতর চিৎকার করতে করতে হামাগুড়ি দিতে থাকে গজরাজ । এই অবস্থায় হাতিটি অচৈতন্য হয়ে গেলে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গলমহলের জুলজিক্যাল পার্কে । চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার পরের দিন 16 অগস্ট হাতিটির মৃত্যু হয় । 17 অগস্ট হাতিটির ময়নাতদন্ত হয় । ময়নাতদন্তের পরেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, হুলা পার্টির জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে কেবলমাত্র একটি হাতির নয় দু'টি হাতির মৃত্যু হয়েছে । হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলেও দাবি করা হয় । যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে হাতিটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল কি না সেই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেনি বনদফতর । ঘটনায় ঝাড়গ্রাম থানায় এফআইআরও করা হয়েছিল বনদফতরের পক্ষ থেকে । এরপর ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.