ETV Bharat / state

ব্রিগেডে না গেলে পদ হারাবেন নেতা নেত্রীরা ! হুংকার মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার

TMC Janagarjan Sabha at Brigade: রবিবার ব্রিগেডের মাঠে জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছেন তৃণমূল দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই সভায় লোক টানতে ব্যস্ত দলের নেতা-মন্ত্রীরা ৷ কটাক্ষ বিজেপির ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 9, 2024, 8:50 PM IST

Etv Bharat
মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া
ব্রিগেডে না গেলে পদ হারাবেন নেতা নেত্রীরা !

সবং, 9 মার্চ: জনগর্জন সভায় নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন ৷ না গেলে পদ হারাতে হবে হুংকার মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার। এই ধরনের হুংকারকে যদিও পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি ৷ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের পদই নেই আর হারানোর কি আছে। পালটা কটাক্ষ বিজেপির ৷

ব্রিগেড নিয়ে সবং-এ সভা ডেকেছিলেন জলসম্পদ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন সবং-এর তৃণমূলের নেতা-নেত্রীস ব্লক আধিকারিক-সহ শাসকদলের উচ্চপদের নেতৃত্বরা। সেইখানেই সভার শেষের দিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুমকি দিয়ে বসেন মানস বাবু। তিনি মাইক হাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন "এই ব্রিগেডে আমাদেরকে সবাইকে যেতে হবে, ভরাতে হবে মঞ্চ।" এরপর হুমকির সুরে বলেন, "যদি এই ব্রিগেডে তৃণমূলের কোনও নেতা-নেতৃত্ব না যান, তাহলে আগামী দিনে তাঁরা তাঁদের পদ হারাবে। একটা নেতার পদ থাকবে না রাজ্যে। সবাইকেই যেতে হবে সেই ব্রিগেডে।" মন্ত্রীর এই হুমকিসুরে সকলে ব্রিগেডে যাওয়ার আহ্বান নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, "এখন তৃণমূলের সভায় নেতা নেত্রী বিধায়করা যাচ্ছেন না, যাচ্ছে না মানুষও।নেতা-নেত্রীরা দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূলের থেকে ৷ তাই বাধ্য হয়ে মন্ত্রী এই ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁকে দল দায়িত্ব দিয়েছে জেলা থেকে লোক নিয়ে যাওয়ার ৷ তিনি না নিয়ে গেলে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে, চলে যাবে চাকরি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে এ ধরনের হুমকি দিচ্ছেন সভায়।" অন্যদিকে বিজেপির সহ-সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন, "তৃণমূলের এক ও একাধিক নেতা-নেত্রী রয়েছেন, যাঁদের একাধিক পদ রয়েছে। তাঁদের হারানোর আর কি আছে। তাই এখন সভায় না গেলে হুংকার দিচ্ছেন মন্ত্রী।"

আগামিকাল 10 মার্চ কলকাতায় জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। যেখানে উপস্থিত থাকবেন খোদ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র অনুযায়ী, এই ব্রিগেড সভায় লোক ভরাতে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রী বিধায়ক সাংসদরা। জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে চলছে মিটিং-মিছিল, সভা। সূত্র অনুযায়ী সেই মঞ্চ থেকেই মানুষের মধ্যে জনসংযোগ কর্মসূচি করবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুরে সভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু সেই সভায় নেত্রীর পছন্দমত লোক ভরাতে পারেনি জেলা নেতৃত্ব। আর তাতে কিছুটা নাকি ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল নেত্রীর মুখে।

যদিও নেত্রীর বক্তব্য শুরুর মুখেই মানুষ যারা ঢুকেছিল তারা অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন সভা মঞ্চ ছেড়ে। এরপর দেখা যায় সেখানে তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মঞ্চের মুখ বন্ধ করে সেই মানুষজন আটকাতে। এরই মধ্যে আগামী 10 মার্চ কলকাতায় জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে নেত্রী। কিন্তু সেই সভায় যাতে নেতা-নেত্রী এবং লোকজন অনুপস্থিত না থাকেন তার জন্যই আগে থেকেই বিভিন্ন সভা মঞ্চ করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন

1. ভাঙছে প্রথা ! ব্রিগেডে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা মমতার

2. তৃণমূলের ব্রিগেড সভাকে 'জলসা ও ফ্যাশন প্যারেড' বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর, পালটা ফিরহাদের

3. 'ভাঙছে মমতার দল, নো ভোট টু তৃণমূল', বিজেপির ব্যাট হাতে ময়দানে অভিজিৎ

ব্রিগেডে না গেলে পদ হারাবেন নেতা নেত্রীরা !

সবং, 9 মার্চ: জনগর্জন সভায় নেতা মন্ত্রী বিধায়কদের উপস্থিতি একান্ত প্রয়োজন ৷ না গেলে পদ হারাতে হবে হুংকার মানস রঞ্জন ভূঁইয়ার। এই ধরনের হুংকারকে যদিও পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি ৷ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের পদই নেই আর হারানোর কি আছে। পালটা কটাক্ষ বিজেপির ৷

ব্রিগেড নিয়ে সবং-এ সভা ডেকেছিলেন জলসম্পদ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া। সেই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন সবং-এর তৃণমূলের নেতা-নেত্রীস ব্লক আধিকারিক-সহ শাসকদলের উচ্চপদের নেতৃত্বরা। সেইখানেই সভার শেষের দিকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হুমকি দিয়ে বসেন মানস বাবু। তিনি মাইক হাতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন "এই ব্রিগেডে আমাদেরকে সবাইকে যেতে হবে, ভরাতে হবে মঞ্চ।" এরপর হুমকির সুরে বলেন, "যদি এই ব্রিগেডে তৃণমূলের কোনও নেতা-নেতৃত্ব না যান, তাহলে আগামী দিনে তাঁরা তাঁদের পদ হারাবে। একটা নেতার পদ থাকবে না রাজ্যে। সবাইকেই যেতে হবে সেই ব্রিগেডে।" মন্ত্রীর এই হুমকিসুরে সকলে ব্রিগেডে যাওয়ার আহ্বান নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

বিজেপি জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, "এখন তৃণমূলের সভায় নেতা নেত্রী বিধায়করা যাচ্ছেন না, যাচ্ছে না মানুষও।নেতা-নেত্রীরা দূরত্ব তৈরি করেছে তৃণমূলের থেকে ৷ তাই বাধ্য হয়ে মন্ত্রী এই ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। তাঁকে দল দায়িত্ব দিয়েছে জেলা থেকে লোক নিয়ে যাওয়ার ৷ তিনি না নিয়ে গেলে তাঁর মন্ত্রিত্ব চলে যাবে, চলে যাবে চাকরি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে এ ধরনের হুমকি দিচ্ছেন সভায়।" অন্যদিকে বিজেপির সহ-সভাপতি শংকর গুছাইত বলেন, "তৃণমূলের এক ও একাধিক নেতা-নেত্রী রয়েছেন, যাঁদের একাধিক পদ রয়েছে। তাঁদের হারানোর আর কি আছে। তাই এখন সভায় না গেলে হুংকার দিচ্ছেন মন্ত্রী।"

আগামিকাল 10 মার্চ কলকাতায় জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে তৃণমূল। যেখানে উপস্থিত থাকবেন খোদ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র অনুযায়ী, এই ব্রিগেড সভায় লোক ভরাতে ইতিমধ্যে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূলের নেতা-নেত্রী বিধায়ক সাংসদরা। জেলায় জেলায়, ব্লকে ব্লকে চলছে মিটিং-মিছিল, সভা। সূত্র অনুযায়ী সেই মঞ্চ থেকেই মানুষের মধ্যে জনসংযোগ কর্মসূচি করবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুরে সভা করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু সেই সভায় নেত্রীর পছন্দমত লোক ভরাতে পারেনি জেলা নেতৃত্ব। আর তাতে কিছুটা নাকি ক্ষোভ দেখা দিয়েছিল নেত্রীর মুখে।

যদিও নেত্রীর বক্তব্য শুরুর মুখেই মানুষ যারা ঢুকেছিল তারা অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন সভা মঞ্চ ছেড়ে। এরপর দেখা যায় সেখানে তৃণমূল নেতৃত্ব এবং পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে মঞ্চের মুখ বন্ধ করে সেই মানুষজন আটকাতে। এরই মধ্যে আগামী 10 মার্চ কলকাতায় জনগর্জন সভার ডাক দিয়েছে নেত্রী। কিন্তু সেই সভায় যাতে নেতা-নেত্রী এবং লোকজন অনুপস্থিত না থাকেন তার জন্যই আগে থেকেই বিভিন্ন সভা মঞ্চ করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন

1. ভাঙছে প্রথা ! ব্রিগেডে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সম্ভাবনা মমতার

2. তৃণমূলের ব্রিগেড সভাকে 'জলসা ও ফ্যাশন প্যারেড' বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর, পালটা ফিরহাদের

3. 'ভাঙছে মমতার দল, নো ভোট টু তৃণমূল', বিজেপির ব্যাট হাতে ময়দানে অভিজিৎ

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.