চুঁচুড়া, 23 এপ্রিল: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার ঘটনার পর ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছেন সেখানে আটকে থাকা বাঙালি পর্যটকরা ৷ বেড়েছে দুশ্চিন্তা ৷ আটকে আছেন বহু পর্যটক । অন্যান্য রাজ্যের মতোই পশ্চিমবঙ্গ থেকে গত একমাস আগে থেকেই বহু বাঙালি পর্যটক পাড়ি দিয়েছিলেন কাশ্মীর । মঙ্গলবারের ঘটনার পর সকলেই আটকে পড়েছেন ৷
মঙ্গলবারের পহেলগাঁওয়ে এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ । তার মধ্যে চুঁচুড়ার জয়গুরু ট্যুরের তরফে থেকে 25 জন বাঙালিকে পহেলগাঁওয়ে নিয়ে গিয়ে বিপদে পড়েছেন তারা । গত মঙ্গলবারই তারা একটার পর পৌঁছেছিলেন তারা । হুগলির চুঁচুড়া, পাণ্ডুয়া, সিমলাগড়-সহ বিভিন্ন জায়গায় থেকে পর্যটকরা পৌঁছেছিলেন । শ্রীনগর থেকে দুপুরে পৌঁছতেই এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েন। বর্তমানে পর্যটকরা দুশ্চিন্তায় মধ্যে আছেন। কী করে বাড়ি ফিরবেন বুঝে উঠতে পারছেন না। হোটেলের মধ্যেই কার্যত গৃহবন্দি দশা তাঁদের । পহেলগাঁওয়ের রাস্তাঘাট থমথমে । সমস্ত দোকানপাট বন্ধ। কোনও যানবাহন চলছে না। রাস্তায় টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা ৷
আটকে থাকা পর্যটকদের বক্তব্য :
কলকাতা থেকে গিয়েছেন অনুষ্কা ঘোষ । তিনি বলেন, "মঙ্গলবার যে জঙ্গিহানা হয়েছে তাতে আমরা আতঙ্কে আছি। জঙ্গিরা পর্যটকদের উপর গুলি চালিয়েছে। ভয় তৈরি হয়েছে। স্থানীয় কাশ্মীরের বাসিন্দারা সাহায্য করছেন। সেনাবাহিনী কন্ট্রোল করেছে। আমাদের একটা চাওয়া যাতে ভালোয় ভালোয় বাড়ি ফিরে যেতে পারি।"
বাঙালি পর্যটক জয়ন্ত সমাদ্দারের কথায়, "আমরা খুব বেঁচে গিয়েছি। হোটেলের মধ্যে উৎকণ্ঠায় আছি। আমাদের বাইরে বেরোতে দিচ্ছে না। শ্রীনগরে যেতেও পারছি না। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা বাড়ি ফিরতে পারব।"
ট্যুর সংস্থার কর্ণধারের বক্তব্য :
গত 16 এপ্রিলে কলকাতা থেকে একদল পর্যটকদের নিয়ে কাশ্মীরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন ট্যুর সংস্থার কর্ণধার সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা কাশ্মীরের শ্রীনগর হয়ে পহেলগাঁও পৌঁছন। ওই দিনই তাদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা ছিল। মর্মান্তিক ঘটনার কারণে তারা হোটেলেই আটকে পড়েন।
সঞ্জীব বলেন, "দীর্ঘদিন ধরেই কাশ্মীরে আসছি। একটা শান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তাই বহু পর্যটক হাজির হয়েছিলাম এখানে। এই ঘটনার পর ফের অশান্ত হয়ে গেল কাশ্মীর। এখন অনেকটাই আতঙ্কে আছি পর্যটকদের নিয়ে। কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। মে মাস পর্যন্ত আমাদের কাশ্মীর আসার বুকিং ছিল। এই জঙ্গি হানার পর বেশিরভাগ বুকিং ক্যানসেল হয়েছে। এখানকার পর্যটন ব্যবস্থাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হোটেল মালিকরাও ভেঙে পড়েছেন ৷ জানি না আগামিদিনে কী হবে ।"