ETV Bharat / state

দলীয় নির্দেশ মানবেন, শৃঙ্খলার পাঠ পড়ে 'ধর্মযুদ্ধ'-এ ইতি টানলেন হুমায়ুন কবীর - HUMAYUN KABIR

বিতর্কিত মন্তব্য করে বারবার দলকে অস্বস্তিতে ফেলছিলেন তৃণমূল বিধায়ক ৷ শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে দলীয় অনুশাসন মেনে চলার কথা দিলেন হুমায়ুন ৷

TMC MLA HUMAYUN KABIR
বিধানসভার বাইরে হুমায়ুন কবীর (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : March 18, 2025 at 3:53 PM IST

3 Min Read

কলকাতা, 18 মার্চ: অবশেষে হুমায়ুন পর্বের ইতি । গত কয়েকদিন শুভেন্দু অধিকারীর সংখ্যালঘু বিধায়কদের নিয়ে করা মন্তব্যের পর পাল্টা হিসাবে যেভাবে বারংবার দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মুখ খুলছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর । বিশেষ করে তাঁর কিছু বক্তব্য নিয়ে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছিল । কোনওভাবেই লাগাম দেওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে ।

আর সে কারণেই দলের তরফ থেকে তাকে শো-কজ করা হয় । বিশেষ করে তার জাত নিয়ে করা মন্তব্যতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুশি ছিলেন না । আর সেই জায়গা থেকে আজ বিধানসভায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল । আর সেখানেই হাজির হয়ে হুমায়ুন মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলবেন তিনি ।

হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

এদিন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফ থেকে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় সংবিধানের শপথ নিয়ে এমন কিছু বলা যায় না যাতে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে । কাজেই তিনি যে ধরনের কথা বলছেন সেগুলিকে সংবিধান সমর্থন করে না । সেই জায়গা থেকে তাকে এটা বুঝতে হবে কী করা যায় কী যায় না । এদিন এই বৈঠকে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন হুমায়ুন ।

তবে এই বৈঠক থেকে হুমায়ুনের মতো বাকি বিধায়কদের সতর্ক করা হয়েছে । ইচ্ছে মতো যখন তখন মুখ খুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেললে তা সহ্য করা হবে না । এ ক্ষেত্রে সকলকেই নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে ।

এদিন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজ হুমায়ুনকে বলা হয়েছে বিধায়ক হিসেবে তাকে কিছু জিনিস মেনে চলতেই হবে । তোমার মনে ক্ষোভ দুঃখ থাকতেই পারে । কিন্তু, এমন কিছু বলতে পারো না যেটা সংবিধান সম্মত নয় । তোমার কিছু বক্তব্য থাকলে তা বলার জায়গা অন্য । তবে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে তুমি যে ধরনের কথা বলছ, সেগুলি তুমি বলতে পারো না ৷ এদিন মুখোমুখি সাক্ষাতে তিনি কথা দিয়েছেন আগামী দিনে দলীয় অনুশাসন মেনে চলবেন । তবে একতরফা ভাবে অনুশাসন চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই ৷ তাঁর কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলে, আমাদেরও তা জানতে হবে ।"

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের পর একা হুমায়ুন কবীর নয়, আরও অনেকে মুখ খুলেছিলেন । তাদের সম্বন্ধে পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, "যারা যারা এমন মন্তব্য করেছিলেন সকলকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেছেন । তাদের নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই । তবে সকলকেই বলব দলীয় অনুশাসন মেনে চলুন ।"

এদিন পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, "আজকের আলোচনা ভালোই হয়েছে । শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন । তাঁরা যা নির্দেশ দিয়েছেন তাতে আমি খুশি । বিধায়ক হিসাবে আমি দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নই । তাই দলের নির্দেশ এবং শৃঙ্খলা আমি মেনে চলব ।

প্রসঙ্গত, দলের নির্দেশ বা শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ভরতপুরের বিধায়ক কতদিন এই নির্দেশ মেনে চলেন সেটা দেখার । কারণ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে শো-কজ করা হল । এর আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছিল । দলীয় শৃঙ্খলা আরেকবার ভাঙলেই তাঁর ওপর সাসপেনশনের খাঁড়া নেমে আসতে পারে । ফলে আগামী দিনে তিনি কোন পথে চলবেন সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের ।

কলকাতা, 18 মার্চ: অবশেষে হুমায়ুন পর্বের ইতি । গত কয়েকদিন শুভেন্দু অধিকারীর সংখ্যালঘু বিধায়কদের নিয়ে করা মন্তব্যের পর পাল্টা হিসাবে যেভাবে বারংবার দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করে মুখ খুলছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর । বিশেষ করে তাঁর কিছু বক্তব্য নিয়ে দলকে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছিল । কোনওভাবেই লাগাম দেওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে ।

আর সে কারণেই দলের তরফ থেকে তাকে শো-কজ করা হয় । বিশেষ করে তার জাত নিয়ে করা মন্তব্যতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও খুশি ছিলেন না । আর সেই জায়গা থেকে আজ বিধানসভায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে তাকে সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল । আর সেখানেই হাজির হয়ে হুমায়ুন মঙ্গলবার জানিয়ে দিলেন, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলবেন তিনি ।

হুমায়ুন কবীরের বক্তব্য (ইটিভি ভারত)

এদিন শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির তরফ থেকে তাঁকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় সংবিধানের শপথ নিয়ে এমন কিছু বলা যায় না যাতে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে । কাজেই তিনি যে ধরনের কথা বলছেন সেগুলিকে সংবিধান সমর্থন করে না । সেই জায়গা থেকে তাকে এটা বুঝতে হবে কী করা যায় কী যায় না । এদিন এই বৈঠকে নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন হুমায়ুন ।

তবে এই বৈঠক থেকে হুমায়ুনের মতো বাকি বিধায়কদের সতর্ক করা হয়েছে । ইচ্ছে মতো যখন তখন মুখ খুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেললে তা সহ্য করা হবে না । এ ক্ষেত্রে সকলকেই নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে চলতে হবে ।

এদিন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আজ হুমায়ুনকে বলা হয়েছে বিধায়ক হিসেবে তাকে কিছু জিনিস মেনে চলতেই হবে । তোমার মনে ক্ষোভ দুঃখ থাকতেই পারে । কিন্তু, এমন কিছু বলতে পারো না যেটা সংবিধান সম্মত নয় । তোমার কিছু বক্তব্য থাকলে তা বলার জায়গা অন্য । তবে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে তুমি যে ধরনের কথা বলছ, সেগুলি তুমি বলতে পারো না ৷ এদিন মুখোমুখি সাক্ষাতে তিনি কথা দিয়েছেন আগামী দিনে দলীয় অনুশাসন মেনে চলবেন । তবে একতরফা ভাবে অনুশাসন চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী নই ৷ তাঁর কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলে, আমাদেরও তা জানতে হবে ।"

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর ধর্ম নিয়ে মন্তব্যের পর একা হুমায়ুন কবীর নয়, আরও অনেকে মুখ খুলেছিলেন । তাদের সম্বন্ধে পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্য, "যারা যারা এমন মন্তব্য করেছিলেন সকলকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করেছেন । তাদের নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই । তবে সকলকেই বলব দলীয় অনুশাসন মেনে চলুন ।"

এদিন পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, "আজকের আলোচনা ভালোই হয়েছে । শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সদস্যরা আমার কথা মন দিয়ে শুনেছেন । তাঁরা যা নির্দেশ দিয়েছেন তাতে আমি খুশি । বিধায়ক হিসাবে আমি দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নই । তাই দলের নির্দেশ এবং শৃঙ্খলা আমি মেনে চলব ।

প্রসঙ্গত, দলের নির্দেশ বা শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ভরতপুরের বিধায়ক কতদিন এই নির্দেশ মেনে চলেন সেটা দেখার । কারণ এই নিয়ে দ্বিতীয়বার তাঁকে শো-কজ করা হল । এর আগেও শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছিল । দলীয় শৃঙ্খলা আরেকবার ভাঙলেই তাঁর ওপর সাসপেনশনের খাঁড়া নেমে আসতে পারে । ফলে আগামী দিনে তিনি কোন পথে চলবেন সেদিকে নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.