বোলপুর, 30 এপ্রিল: দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহকে পাশে বসিয়ে প্রসাদও খেলেন ৷ আর তারপরই অনুব্রত বললেন, "বীরভূম-সহ বাংলায় যেন শান্তি থাকে ৷" 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনে কি এই ঘটনার (জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন) কোনও প্রভাব পড়বে ? জবাবে অনুব্রত বলেন, "আজকে একটা ধর্মের দিনে ভোটের কথা তুলে দিলেন ? একটা ভালো দিনে ভোটের কথা বলতে পারি না।"
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো বাড়ি বাড়ি জগন্নাথ মন্দিরের ছবি ও প্রসাদ বিতরণ করা শুরু হবে বলেও জানালেন অনুব্রত ৷ বুধবার, বীরভূম জেলার একাধিক জায়গায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার দেখানো হয়। ভোগ বিতরণের আয়োজনও করা হয় ৷
2018 সালে দিঘায় সমুদ্র তটে জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 2022 সালে শুরু হয়েছিল নির্মাণ কাজ ৷ রাজস্থানের বেলে পাথর ব্যবহার করে কলিঙ্গ স্থাপত্যের আদলে মন্দিরটি নির্মাণ হয় ৷ প্রায় 213 ফুট উচ্চতার মন্দির। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দিরের দ্বারোদঘাটন ও বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয় ৷ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ টলিউডের এক ঝাঁক তারকা থেকে শুরু করে শিল্পীরা এবং রাজ্যের বিভিন্ন মঠ ও ধামের ধর্ম প্রচারকরা ৷
বোলপুরে মহাপ্রভুর আশ্রমে ও রেল ময়দানে বসে জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের সম্পূর্ণ সম্প্রচার দেখেলেন অনুব্রত মণ্ডল। ছিলেন, রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল, বোলপুর মহকুমা শাসক অয়ন নাথ, এসডিপিও রিকি আগরওয়াল-সহ দলের কাউন্সিলররা ৷ মন্ত্রীর সঙ্গে প্রসাদ খেলেন অনুব্রতও।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আজ অক্ষয় তৃতীয়া ৷ খুব ভালো দিন ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথ দেবের মন্দির উদ্বোধন করলেন ৷ আমি বলব, যেন গোটা বীরভূম জেলায় শান্তি থাকে ৷ শান্তির পরিবেশ থাকে ৷ গোটা পশ্চিমবঙ্গে এবং বিশ্বেও যেন শান্তি থাকে ৷ মুখ্যমন্ত্রী যখন বলেছেন তখন বাড়ি বাড়ি প্রসাদ আর ছবি যাবে ৷ উনি যখন পাঠাবেন তখনই বিতরণ শুরু হয়ে যাবে ।"
